ভাগ্নের মাটন কাচ্চি খাওয়া আর আমার তাকিয়ে থাকা। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
আগামীকাল ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরবো সেই পরিকল্পনা করেছি। কারণ দীর্ঘদিন হলো ঢাকায় এসেছি। বাড়ি ফেরার জন্য মনটা অস্থির হয়ে আছে। যদিও আরো কয়েকদিন আগেই ফিরতে পারতাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমার কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে আরো কয়েকটা দিন বেশি থাকতে হলো। ডাক্তার দেখানো বিভিন্ন রকম টেস্ট করা এসব করতেই কয়েকটা দিন কেটে গেল। যদিও এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত না যে কাল বাড়ি যেতে পারবো কিনা।
কারণ আল্লাহ পাক কপালে কি রেখেছেন সেটা এখনো জানিনা। আগামীকাল যেহেতু বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেছি তাই আজকে চিন্তা করলাম ভাগ্নেকে কিছু খাওয়াই। যদিও আমার বড় বোন তাকে বেশি বাইরের খাবার খেতে মানা করেছে। তার পরেও আমি তার কাছে বলে ভাগ্নেকে নিয়ে বাইরে গেলাম। একটা প্যান্ট কিনেছিলাম অনলাইন থেকে। প্রথমে গেলাম সেখানে। তাদের অফিস বনশ্রীতেই। কিন্তু প্যান্টটা আমার সাইজে কিছুটা ছোট হয়েছে। তাই প্যান্টটা চেঞ্জ করতে যাচ্ছিলাম। তখন ভাগনে কেও সাথে নিয়ে গেলাম।
যাওয়ার সময় ওকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে তুমি কি খাবে? ওডিসিশন নিতে পারছিল না। তখন আমি ওকে বললাম কাছেই একটা রেস্টুরেন্ট আছে। যারা কাচ্চি বিরিয়ানির জন্য বেশ বিখ্যাত। নাম 'দী মুঘল এম্পায়ার'। আমি ইউটিউবে তাদের কিছু রিভিউ দেখেছিলাম। সেজন্য আমি ভাগ্নেকে পরামর্শ দিলাম সেখান থেকে কাচ্চি খাওয়ার। ও বলল ঠিক আছে।
ওই রেস্টুরেন্ট থেকে কাচ্চি খাওয়ার আমার অনেক ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে হয় না। আমার হঠাৎ করে কোলেস্টেরল অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় বাইরের খাবার খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী একমাস বাইরের খাবার খাব না। তো যাই হোক ভাগ্নেকে নিয়ে প্যান্ট চেঞ্জ করে সরাসরি চলে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টটা বাইরে থেকে খুব একটা ভালো বোঝা যায় না। ভিতরে ঢোকার পর দেখলাম মোটামুটি একটি ছিমছাম রেস্টুরেন্ট।
বেলা কেবল বাজে ১২ঃ৩০। সেজন্য এখনো লোকজন তেমন একটা আসেনি। আমরা ভিতরে গিয়ে বসার পর ওয়েটার আসলো। আমি শুধু আমার ভাগ্নের জন্য মাটন কাচ্চি অর্ডার করলাম সাথে কোলড্রিংস। আর আমার জন্য অর্ডার করলাম শুধু বাদাম শরবত। কিছুক্ষনের ভিতর খাবার পরিবেশন করলো। প্রথমে দিয়েছিল বাদাম শরবত। কিন্তু ছবি তোলার আগেই সেটা খেয়ে ফেলেছি। যার ফলে সেটার আর কোন ছবি তোলা হয়নি।
তার অল্প কিছুক্ষণ পরেই পরিবেশন করলো কাচ্চি। কাচ্চিটা দেখলাম একজনের জন্য পরিমাণ যথেষ্ট ছিলো। কাচ্চিতে ছিল দুই পিস মাটন, এক পিস আলু এবং একজনের জন্য পর্যাপ্ত রাইস। দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো কাচ্চিটা খেতে খুবই মজা হয়েছে। আমার অবস্থা তখন খুবই করুন। যে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কথা আমি দীর্ঘদিন ধরে চিন্তা করছি। শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আমার সামনে বসে আমার ভাগ্নে খাচ্ছে। আর আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। একজন খাদ্য রসিক মানুষের জন্য এটা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
একবার মনে হচ্ছিল আর এক প্লেট অর্ডার দিই। কিন্তু তারপরেই আমার কঠিন প্রতিজ্ঞার কথা মনে পড়ে গেল। যার ফলে নিজের লোভ সংবরন করলাম। শারীরিক অবস্থা ভালো হলে ইনশাল্লাহ তখন আবার খাওয়া যাবে। আমার ভাগ্নে খায় ধীরে ধীরে। ওর খাওয়া হতে হতেই রেস্টুরেন্টে আরো কিছু লোক চলে আসলো। সাথে বিভিন্ন কোম্পানির ফুড ডেলিভারীর সাথে জড়িত লোকজন তো আছেই।
এই একটা ব্যাপার আমার কাছে এখন খুবই ভালো লাগে। আপনার কোন কিছু খেতে ইচ্ছা হলে আপনার রেস্টুরেন্টে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন রকম কোম্পানি তাদের সার্ভিস চালু করেছে হোম ডেলিভারির। শুধু তাদের অ্যাপসটা ইন্সটল করবেন। তারপর অর্ডার করলেই আপনার বাড়িতে চলে আসবে কাঙ্ক্ষিত খাবার। আমার ভাগ্নের খাওয়া শেষ হতেই আমরা দ্রুত বিল পরিশোধ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ঢাকা সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় কাটাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে , তবে আপনি ঠিক কথা বলেছেন যে কোথাও যাওয়ার কথা আমরা বলি ঠিকই কিন্তু কপালে কি আছে সেটা একমাত্র সৃষ্টি করতে ভালো জানেন , বিরিয়ানী আমার ও অনেক পছন্দের , তবে খাওয়া পরে না সবসময় , বাহিরের খাবার যদিও শরীরের অনেক ক্ষতি করে তবু লোভ সামলানো যায়না , আর আপনার যেহেতু সমস্যা আছে তবে একটু নিয়ম মাফিক কোলে ভালো , বাসায় বসে অর্ডার করে ভিবিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবার পাওয়াটা অনেক সুবিধা আমাদের জন্যে। অনেক ভালো লাগলো আপনার কথা গুলু , তবে আপনার শরীরের অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনি এমন এমন পোস্ট করেন না ভাই লোভ সামলানো দায়। মাটন কাচ্ছির নাম শুনলেই আমার জিভে জল চলে আসে। আমার সবচেয়ে ফেভারিট এবং প্রিয় খাবার। আর আপনি অসম্ভব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। আর আমি যদি আপনার সাথে থাকতে পারতাম মনে হয় আরো ভালো মন্দ বেশি খেতে পারতাম। কিন্তু আপনি তো আবার খাবারের প্রতি অনীহা ডায়েট কন্ট্রোল করছেন, তার পরও যে সামনে থাকলে যে খান না এটা তো হতেই পারে না। যাইহোক আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে আপনার ভাগ্নের মাটন কাচ্চি বিরানি খাওয়ার সময় টা অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাই আপনি রেস্টুরেন্টের আশেপাশে একটু কম কম ঘুরবেন। বেশি খেলে কিন্তু আপনার জন্য বিপদ।
ভাইরে সেই চেষ্টায় আছি।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আজকাল কিছু খেতে ইচ্ছে করলে অন্য কোথাও যেতে হয়না। সহজেই বাসায় বসেই অর্ডার করেই খেয়ে ফেলা যায়। আর তাতে রেস্তোরায় যাওয়ার চেয়েও অনেক কম খরচ হয়। আর আপনি খেতে না পারার বিষয়টি খারাপ লাগলো আসলেই। ইনশাল্লাহ সুস্থ হলে সব অবশ্যই হবে ভাইয়া। 😇
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
দোয়া করি ভাইয়া,তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠুন। আর কাচ্চি বিরিয়ানি দেখেই যাচ্ছি শুধু,আপনার মত৷ খাওয়া হচ্ছে না,আমারও গ্যাস্টিকের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব খাওয়া বন্ধ।😥 ভাগ্নের জন্য ভালোবাসা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে আপনি ঢাকায় খুব সুন্দরভাবে সময় কাটাচ্ছেন। বাইরের বিভিন্ন লোভনীয় খাবার দেখে লোভ সামলানো যায় না কিন্তু সেগুলো সত্যি ভাই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে।