কন্যাকে নিয়ে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ পর্ব-২।১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আমার চিড়িয়াখানা ভ্রমণ এর দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো। প্রথম পর্বে আমি আপনাদেরকে চিড়িয়াখানার কোন জন্তু জানোয়ারের ছবি দেখাতে পারিনি। বর্তমানে চিড়িয়াখানার ভিতরে বেশিরভাগ পশু পাখির ছবি তোলা সমস্যা। কারণ বেশিরভাগ পশু পাখির খাঁচা এক ধরনের নেট দিয়ে ঘিরে দেয়া। যার ফলে ভালো ভাবে ছবি তোলা যায় না। আপনি যদিও এই নেট দেয়ার অন্যতম কারণ আমরা সাধারন দর্শনার্থীরা। সাধারণ দর্শনার্থীদের অসহিষ্ণুতা এবং অমানবিক আচরণের জন্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছে।
প্রথমে আপনাদের সাথে বানরের ছবি শেয়ার করছি। আমার মনে হয় বাচ্চারা সবচাইতে বেশি খুশি হয় বানর দেখে। কারণ বানর নানারকম কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকে। বাচ্চারা এটা খুবই পছন্দ করে। আমরা যখন বানরের খাঁচার কাছে গেলাম তখন দেখি এই বানরটির এবং সাথে আরেকটি ছোট বানর খাঁচার বাইরে আছে। আমরা এটা দেখে একটু খুশি হলাম। কারণ আমরা এদেরকে অনেকটা কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম। যখন আমরা বানরের খাঁচার কাছ থেকে অন্য দিকে যাচ্ছিলাম। তখন হঠাৎ করে দেখি এই বানরটি হিংস্রভাবে একজনকে আঁচর দিতে যাচ্ছে। আমরা দাঁড়িয়ে লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম যে কি ব্যাপার? তখন একজন জানালো যে একজন দর্শনার্থী এই বানরের গায়ে সিগারেটের ছাই ছুঁড়ে মেরেছে। তাই বানরটা এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। যে লোকটা এই কর্ম করেছে তাকে আমি বেশকিছু কড়া কথা শুনিয়ে দিলাম। তখন আমার মনে হচ্ছিল আসলে খাঁচায় কার থাকা উচিত। এই বানরটির না বানরটিকে উত্যক্ত করা ঐ লোকটির।
চিড়িয়াখানায় প্রচুর হরিণ রয়েছে বিভিন্ন জাতের। দর্শনার্থীরা হরিণ দেখে খুবই আনন্দ পায়। হরিণের থাকার জন্য বিস্তীর্ণ খোলা জায়গা রয়েছে। যদিও পুরো জায়গাটা ঘিরে রাখা। এখানে হরিণকে খাবার খেতে দেখা যাচ্ছে। আমার মেয়ে হরিণকে বাদাম খেতে দিয়েছিলো।
একটি ছোট আকৃতির কুমির। এর আগে আমি যখন চিড়িয়াখানায় এসেছিলাম তখন আমি বিশাল আকৃতির কুমির দেখেছিলাম। কিন্তু এবার একটিও বড় আকৃতির কুমির দেখিনি চিড়িয়াখানায়। এটা লবণাক্ত পানির না মিঠা পানির কুমির আমার ঠিক মনে নেই।
এটা হচ্ছে চিড়িয়াখানার সবচাইতে আকর্ষণীয় প্রাণী। সবাই যে প্রাণীটিকে আগ্রহ সহকারে দেখতে চাই দি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বাঘ এর খাঁচাটা এত বড় যে কাছ থেকে ছবি তোলার কোন উপায় নেই। যদিও আগে এই বাঘের খাঁচাটা ছিল অন্য জায়গায়। কিন্তু বাঘটাকে দেখে তার চলাফেরা দেখে মোটেও ভালো লাগেনি। মনে হচ্ছিল বাঘটা স্থুলতার সমস্যায় ভুগছে।
আর এটা হচ্ছে বেবুন। আমরা বেশ কিছুক্ষণ এর খাঁচার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম ছবি তোলার জন্য। কিন্তু ব্যাটা কিছুতেই উপর থেকে নিচে নামছিলো না। যেই আমরা এর খাঁচা থেকে অন্য খাঁচার দিকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি সুবোধ বালকের মতো উপর থেকে একদম নিচে এসে চুপচাপ বসে গেলো। তখনই আমি ছবিটা তুলে ফেলি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeu7bMtmK6H5wsD2CFwpuo284mVAKuMo8rpv8AWFAX5pV/IMG_20210731_195547.png)
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
প্রত্যেকটি ফোটোগ্রাফি খুব সুন্দর।তবে বেবুন এই নামটি আমি প্রথম শুনছি।আমার মনে হয় এটিও বানরের কোনো প্রজাতিই হবে।একই ধরনের দেখতে।সত্যিই বাচ্চারা খুব খুশি হয় নতুন নতুন প্রাণী দেখলে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।
চিড়িয়াখানার বানর,হরিণ,বাঘ,কুমির,বেবুন ইত্যাদি প্রাণী পরিচয় এবং আচার-আচরণ খুব সুন্দরভাবে তুলেছে। এবার বড় কুমির না থাকলেও ছোট কুমিরটিকে ও দেখতে অনেক সুন্দর রাখছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আরো কিছু প্রাণী সম্পর্কে জানার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
চিড়িয়াখানা ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বের পোস্ট ও আলোকচিত্র গুলো অনেক সুন্দর ও দেখার মতো হয়েছে। সুন্দর পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন প্রাণী গুলোর । সেই সাথে প্রণী গুলোর নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
মনে হলো আমিও আপনার সাথে পার্কটা ঘুরে দেখলাম। খুব ভালো হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।
বাচ্চারা বানরের বান্দরামি খুবই উপভোগ করে। এইজন্যই হয়তো তারা বানর দেখলে খুশি হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
সত্যিই বলেছেন ভাইয়া,বাচ্চারা বানর খুব পছন্দ করে বানরের ভাবভঙ্গি দেখে শিশুরা যেমন আনন্দিত হয় তেমন বয়স্কদের আনন্দ দেয়। তবে আমার খুব খারাপ লেগেছে বানরটি হিংস্র হয়ে যাওয়ার কারণটি পড়ে। মানুষ এরকম পশুর মত আচরণ করে তা মেনে নেওয়া যায়না। তবে চট্টগ্রামে জেলার চিড়িয়াখানায় বাঘ রাখা হয় একটি ছোট্ট খাঁচায়। অনেক ভালো লেগেছে আপনার আনন্দের মুহূর্ত গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া"
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
এই লেখাটা পড়ে একদম অবাক হয়ে গেলাম।আসলে আমরা তো পৃথিবীর সেরা জীব! তাহলে এ কেমন আচরণ আমাদের! আর আমরা মানুষ জাতি হয়ে কি করে এতো অমানবিক হয়ে যেতে পারি। আমি মনে করি আপনি একদম সঠিক কাজ করেছেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সবমিলিয়ে অনেক ভালো ছিল। আপনাকে সবসময় স্বাগতম।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনাকে সবসময় স্বাগতম
ভাইয়া কন্যাকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন চিড়িয়াখানায়। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে তুলেছেন। অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাইয়া বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের জন্য তাদের ঘুরতে নিয়ে যাওয়া অনেক জরুরী ।খুব ভালো লাগল ।ছবি গুলো দারুণ তুলেছেন ।