বন্ধুদের সাথে পদ্মার চরে ঘোরার পুরনো স্মৃতি রোমান্থন করা।
কয়েকদিন আগে আমি আমার দুই বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম পদ্মার চরে ঘুরতে। সেই ঘোরাফেরা নিয়ে আপনাদের মাঝে ইতিমধ্যে একটি পোস্ট শেয়ার করেছি। আজ সেই ঘোরাফেরা প্রসঙ্গে আরো কিছু কথা বলতে এই পোস্টটি করছি। সেদিন পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়ে অনেক পুরনো একটি স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। তখন আমি চাকরি করি। একদিন হঠাৎ করে এমনি শীতের সময়ের এক সকালে কয়েক বন্ধু মিলে চলে গিয়েছিলাম পদ্মার চরে ঘুরতে। সংখ্যায় আমরা প্রায় ৬/৭ জন ছিলাম। সেই দিনের আবহাওয়াটা ছিল চমৎকার।
সেদিন আমরা কয় বন্ধু মিলে অনেকটা সময় পদ্মার চরে ঘোরাফেরা করেছিলাম। সেই ভ্রমণটা ছিল একেবারেই অপরিকল্পিত। কিন্তু আমরা সেই ভ্রমণটা অনেক উপভোগ করেছিলাম। সেদিন ঘোরাফেরার সময় আমরা স্থানীয় মুদির দোকান থেকে বিভিন্ন জিনিস কিনে খেয়েছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে একটা সময় আমরা অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তারপর একটি জায়গায় অনেক খড় বিছানো দেখতে পেয়ে সেই খড়ের উপরই আমরা সবাই লাইন ধরে শুয়ে ছিলাম।
দুদিন আগে যখন বন্ধুদের সাথে পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন সেদিনের স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল। পদ্মার চরে সময়টা অনেক ভালো কাটিয়েছি। সেখানে গিয়ে এমন কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পেয়েছি। যেটা এখন সচরাচর দেখা যায় না। একদম গ্রামীণ মেঠো পথ আর মাঠের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া পায়ে চলা পথ। যেটা এখন গ্রামাঞ্চলেও সহজে দেখতে পাওয়া যায় না। তাছাড়া আরো ছিল বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। পদ্মার চরে এবার ঘুরতে গিয়ে একটি মজার ঘটনা ঘটেছিলো।
আমরা তিন বন্ধু উদ্দেশ্যহীন ভাবেই পদ্মার চরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। এর ভেতরে একটি বড়ই গাছ দেখতে পেলাম। তবে যেই বাড়ির পাশে বড়ই গাছটি ছিল সেই বাড়িতে কোন মানুষজনকে দেখতে পেলাম না। তখন বন্ধু ফেরদৌস বলল একটা বড়ই খেয়ে দেখি কেমন স্বাদ। আমি তাকে বললাম যেহেতু এই বাড়িতে মানুষ নেই। তাই গাছের মালিকের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে বড়ই খাওয়া ঠিক হবে না। ফেরদৌস বললো কোন সমস্যা হবে না। এই কথা বলে সে গাছ থেকে পাকা দেখে একটি বড়ই পেরে খেতে গেল। কিন্তু যেইনা বড়ইয়ে কামড় দিয়েছে। ওমনি দেখতে পেল বড়ই এর ভেতরটা পঁচা। তখন আমরা সাথে থাকা দুই বন্ধু হেসে উঠলাম। ফেরদৌসকে বললাম দেখেছো। যদি নসিবে না থাকে তাহলে তুমি হাতের কাছে থাকতেও খাবার খেতে পারবে না।
সেদিন চরে অনেকক্ষণ ঘোরাফেরার পর আমি কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই ফেরার সময় একটি মোটরসাইকেলে করে খেয়াঘাট পর্যন্ত ফিরেছিলাম। সেই গল্প এর আগে আপনাদের কাছে করেছি। তবে খেয়াঘাটে এসে যখন দেখতে পেলাম আমাদের নৌকা ছাড়তে কিছুটা দেরি হবে। তখন আমরা তিন বন্ধু বসে গেলাম চা খেতে। যদিও আমি সচরাচর বাইরের দোকান থেকে চা খাই না। কারণ এদের চাটা আমার কাছে ভালো লাগে না খেতে। তবে সেদিন চা ভালোই লেগেছিল আমার কাছে। আবার যে কবে এমন একটি ভ্রমণে বন্ধুদের সাথে যেতে পারবো সেটাই চিন্তা করছি। এই ধরনের ঘোরাফেরা আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। তবে সময়-সুযোগের অভাবে আর এ ধরনের ঘোরাফেরা হয়ে ওঠে না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পদ্মার চর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অনেকদিন পর তাহলে ভালো সময় পার করেছেন ।আমিও কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে পদ্মা নদীর চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের বাসা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে আমরা মাঠে হেঁটে হেঁটে সেই পদ্মা নদীর তীরে গিয়েছিলাম। মজা হয় কিন্তু শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে যেমনটা আপনার হয়েছিল।
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।
আপনি পদ্মার চরে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়ে পুরোনো ভ্রমন নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন। আপনারা ৬/৭ জন বন্ধু খুব সুন্দর ভ্রমন করেছেন।আপনারা বরই গাছ দেখেছিলেন কিন্তু বরইয়ের ভেতর পঁচা ছিল।আপনি আপনার খুব সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করলেন এ জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি যে কত ঘোরাঘুরি করতে পারেন😉।আসলে বন্ধুের সাথে ঘোরাঘুরির মজাই আলাদা।যাই হোক আসলেই ঘটনাটা বেশ মজার ছিলো,যদি না থাকে নসিবে সামনে থাকা খাবারও খাওয়া যায় না।সরিষা ফুলের ছবিটা বেশ,ভালো লাগছে দেখতে।আবার কবে মানে দেখবো কাল পরশু ঘুরতে যাবেন বন্ধু দের সাথে, হা হা।
😂😂,বড়ই গাছ দেখলে ঢিল মারতে মন চাইবে এটা তো কথাতেই আছে😂।আপনি বললে তো মন তা মানবেনা।
ভাগ্য ভালো পোকা খেয়ে ফেলেনি🤣।
পদ্মা চড়ে যে অনেক প্রিয় একটি জায়গা তা বেশ ভালো ভাবেই বুঝতেছি ৷ আপনি এর আগেও অনেকবার এ পদ্মার চড় নিয়ে লিখেছেন ৷ সাতজন মিলে খড়ের শুয়ে ছিলেন অনেক আগের দিনগুলো ৷ আসলে সৃতি কখনো ভুলে যাওয়ার নয় ৷
যা হোক এরপর তো গ্রামের দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ পচা বড়ই আসলে ওই ভাই না খেয়েছে তাই পচা পেয়েছে ৷ হাহাহা !
যা হোক অনেক ভালো লাগলো ভাই পদ্মার চড়ে কাটানো মুহূর্তের আলোকচিত্র গুলো ৷
পদ্ম চর ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমরা প্রতি বছর দু-একবার মেইন পদ্মা তে ঘুরতে যাই। আপনার বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোর গল্প করে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে ঘরের উপরে সবাই লাইন ধরে শুয়ে ছিলেন এর আগে আমাদের সঙ্গেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল আমরাও এরকম ভাবে শুয়ে পড়েছিলাম সবাই। তবে ফেরদৌস ভাইয়ের জন্য খুবই খারাপ লাগলো সে বড়ই খাওয়ার জন্য বড়ই পেড়ে নিয়ে আসলো বটে কিন্তু খেতে পারল না আহ কি কষ্ট হাহাহা। যাইহোক বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তটা সব সময়ই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হয়। আপনার সুন্দর এই মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।