দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
বেশ কিছু দিন পর ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরেছি। আমি আগেও বলেছি যে ঢাকায় থাকতে আমার ভালো লাগে না। ঢাকা থেকে যখন এলাকায় ফিরে আসি তখন আমার খুবই ভালো লাগে। নিজের এলাকা থেকে দুরে থাকার জন্য অনেক দিন যাবত বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা হয়নি। তাই এলাকায় ফিরেই চিন্তা করলাম বন্ধুদের সাথে দেখা করতে হবে। তাই বন্ধু ফেরদৌসকে ফোন দিলাম। তারপর দু'জন মিলে ঠিক করলাম তিনটার দিকে আমরা বের হবো।
প্রথমে আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল পদ্মার চরে। সাথে আরেক বন্ধুর যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই বন্ধু না আসায় আমরা আমাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করলাম। চলে গেলাম বন্ধু রাফসানের এলাকায়। ওর ইলেকট্রনিক্সের শোরুম আছে। টেলিভিশনে ফ্রিজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম হোম এপ্লায়েন্স ও বিক্রি করে। ও দোকান দেয়ার পরে আমাদের একটি সুবিধা হয়েছে। আমরা প্রায়ই ওর দোকানে গিয়ে আড্ডা দেই। তাতে সময় সবার ভালোই কাটে।
পূর্ব নির্ধারিত সময়ে আমি আমাদের যেখানে দেখা করার কথা ছিল সেখানে পৌছালাম। কিন্তু বরাবরের মতো বন্ধু ফেরদৌস আসতে কিছুক্ষণ দেরি করল। তারপর ফেরদৌস এলেই আমরা দুজন রওনা দিলাম রাফসানের দোকানের উদ্দেশ্যে। সাথে অন্য যে বন্ধুর যাওয়ার কথা ছিল তাকেও ফোনে জানিয়ে দিলাম সেখানে আসার কথা। সে জানালো সেও সেখানে আসছে। বন্ধুর মোটরসাইকেলে করে অল্প সময় সেখানে পৌঁছে গেলাম। পৌছানর পর যথারিতি আমাদের গল্প শুরু হয়ে গেল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা গল্প করছিলাম।
এর ভীতর আসরের আযান শুনতে পেলাম। আজান শুনে আমি গেলাম নামাজ পড়তে। নামাজ পড়ে ফিরে এসে দেখি আমার অন্য বন্ধুরা শোরুমে নেই। তারা আশেপাশে কোথাও ঘুরতে গিয়েছে। আমি ফোন দিলে তারা জানাল সামনে একটি ছোট্ট ব্রিজ আছে নদীর উপর। সেখানে গিয়ে তারা বসেছে। আমি তাদেরকে ফোনে জানালাম আমিও সেখানে আসছি। তারপর কিছুক্ষণ হেঁটে তাদের কাছে পৌছালাম। গিয়ে দেখি যে জায়গাটাতে তারা বসে আছে জায়গাটা আসলেও সুন্দর। একটি নদীর উপরে ছোট্ট একটি ব্রিজ। সেই ব্রিজের রেলিং এর উপর দুজন বসে গল্প করছিল।
আমিও গিয়ে তাদের সাথে গল্প যোগ দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে আড্ডা দেয়ার পর আমরা আবার বন্ধুর শোরুম এর কাছে ফিরে এলাম। বন্ধুর এলাকায় গেলে আমাদের একটি বিষয় কখনো ভুল হয় না। সেটা হচ্ছে তার এলাকার ডাবল হিটের গরুর দুধের চা খাওয়া। চা আমি খুব একটা পছন্দ করি না। কিন্তু বন্ধু এলাকায় গেলে কখনো আমি মিস করি না। এই চা এর দোকানদার আমাদের পরিচিত। কারণ দীর্ঘদিন যাবত তার দোকান থেকে আমরা চা খাই।
এই দোকানে অবশ্য শুধু আমরা নই শহর থেকে ও অনেক ছেলে মেয়েরা আসে চা খেতে। আসলে এইখানের চা খেতে চমৎকার। চা শেষ করে যখন আমরা চায়ের দোকান থেকে বাড়ি আসলাম। হাঁটতে হাঁটতে দেখি রাস্তার পাশে এক বৃদ্ধ লোক একটি ছোট সাইজের সিঙ্গারা ভাজছে। এই সিঙ্গারা গুলি আমার খুবই পছন্দ। বন্ধুরা আর আমি গোটা দশেক সিঙ্গারা খেলাম। সাথে ছিল আলুর চপ এবং পেঁয়াজু।
ভোজন পর্ব শেষ করে আবার বন্ধুর শো রুমে ফিরে এলাম। তারপর যখন বাড়ি ফিরে আসার চিন্তা করছি তখন মাগরিবের আজান শুনতে পেলাম। আমি বনধু ফেরদৌসকে বললাম তুমি একটু বস। আমি নামাজ পড়ে আসি নামাজ পড়ে ফেরার পর দুজনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোনো নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি
পদ্মার পাড়ে না গিয়ে এই দিকটায় যে পরিবেশ উপভোগ করেছেন সেটিও আমার কাছে ভালো লেগেছে ছবি দেখে কারন গ্রামীণ পরিবেশ সবসময়ই অনেক সুন্দর এবং শান্ত। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জীবনটাই এমন যেখানেই যাই বন্ধু বান্ধব সারা লাইফটা একেবারেই মনে হবে কিছুই না । কর্ম জীবনে হোক আর গ্রামীণ জীবনে হোক শহরে জীবনে হক সব জায়গাতেই বন্ধু ছাড়া চলে না । মানুষ কখনো একাই বাঁচতে পারে না । আপনার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে গ্রামে বাড়ি মুহূর্ত গুলো খুব ভালোই কেটেছে । ফটোগ্রফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
'বন্ধু বিনা জীবন বৃথা'😂। ঠিকই বলেছেন দাদা নিজের এলাকা ছেড়ে নিজের বন্ধু-বান্ধব ছেড়ে থাকতে কারোরই ভালো লাগেনা। আর অনেকদিন পর যদি প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় সেই আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন
বাহ ভাইয়া আপনি বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে যখন ছোট ছিলাম সবসময় বন্ধুদের নিয়ে থাকতাম। কিন্তু যত বড় হইতেছি ততই নিজেরা অনেল ব্যস্ত হয়ে যাইতেছি। যার কারণে তাদের সাথে সেই রকম যোগাযোগ করতে পারি না। তবে অনেকদিন পর তাদের সাথে কিছু সময় কাটালে মনটা অনেক হালকা হয়ে যায়। তাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে পারি। তেমনি ভাই আপনার বন্ধুত্ব যেন অটুট থাকে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া, ❤️❤️
দেখে মনে হচ্ছে ও বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আপনি সময় কাটানোর প্রত্যেকটি জায়গার ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ভাবে করেছেন। ছোটবেলা বন্ধুদেরকে নিয়ে যতটা সময় কাটানো যায় যত বড় হয় তত সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সময় বের করে বন্ধুদের সাথে আজকে সময় কাটাতে পেরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
চা এর কথা শুনেই খেতে ইচ্ছে করছে,যদিও আমি মাত্রই চা খেয়ে উঠলাম।আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা না দিলে ভালো লাগেনা।