আমার তোলা দশটি আলোকচিত্র। ১০% প্রিয় সাইফক্সের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


স্টিমিট এ কাজ শুরু করার পর আমার একটি অভ্যাস হয়ে গিয়েছে যে কোথাও গেলে কিছু ভালো লাগলে সেটার ছবি তুলে নি এইভাবে ছবি তুলতে তুলতে আমার ফোনের মেমোরি প্রাইস ভরে গিয়েছে আমার সমস্যা হচ্ছে আমি ছবিসহ যে ডিলিট করতে পারিনা কারণ যখনই ছবি ডিলিট করতে চাই তখনই মনে হয় আরে এই ছবিটা তো ভালোই হয়েছে আজ আপনাদের সাথে গত কয়েকদিনের তোলা ছবিগুলো থেকে দশটা ছবি ভাগ করে নেব এটা একটা রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট তো চলুন দেখা যাক ছবিগুলো

প্রথম ছবি

IMG_20211120_065959.jpg

স্থান- লিংক

এটা ফরিদপুর পুলিশ লাইনের অপজিটে একটি ভাস্কর্য। চমৎকার এই ভাস্কর্যটি অতিসম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা বোঝাতে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমি এই রাস্তা দিয়ে সকালে হেটে যায়। যখনই এই ভাস্কর্যটির সামনে দিয়ে হেঁটে যেতাম তখন দেখার চেষ্টা করতাম যে ভাস্কর্যটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে কিনা। এবার ঢাকা থেকে ফিরে যখন সকালে হাঁটতে বের হয়েছি। তখন হঠাৎ করে খেয়াল করে দেখি ভাস্কর্যটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। দেখে বেশ ভালই লাগছিল। যে শিল্পী এটা নির্মাণ করেছেন তিনি যে যথেষ্ট দক্ষ সেটা বোঝা যাচ্ছে।

দ্বিতীয় ছবি

IMG_20211120_151446.jpg

স্থান- লিংক

গত কালকে বিকেলে যখন বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হয়েছিলাম তখন হঠাৎ করে এই দৃশ্যটি চোখে পড়ে। আমি সাথে সাথেই এই ঘটনার ছবি তুলে নেই। আগে এই ধরনের আড্ডা দেখা যেত বয়স্কদের মাঝে। এখন এই ধরনের আড্ডা বিলুপ্তপ্রায় হয়ে উঠেছে। এ ধরনের আড্ডা দেখলে কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে যাই। একসময় গ্রামে মোড়ে মোড়ে দুপুরে বা বিকালে এই ধরনের আড্ডা দেখা যেত। কালক্রমে সেটা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।

তৃতীয় ছবি

IMG_20211120_153558.jpg

স্থান- লিংক

শুকনো জ্বালানির বোঝা বহনকারী এক বৃদ্ধ। নদীর ওপার থেকে এই বৃদ্ধ লোকটি শুকনো কিছু জ্বালানি সংগ্রহ করে এনেছে। দৃশ্যটি দেখে খুব খারাপ লাগলো। আবার মনে হলো এটাতো খুবই পরিচিত দৃশ্য। বৃদ্ধ লোকটিকে এই বয়সেও কি কঠোর সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাই চিন্তা করছিলাম।

চতুর্থ ছবি

IMG_20211120_152631.jpg

স্থান- লিংক

অল্প কিছুদিন আগেও ভরা বর্ষায় নদীর চেহারা কি চমৎকার ছিল। এখন পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীতেই খালের সৃষ্টি হয়েছে। সেই খালেই আটকে পড়া একটি নৌকা। এই জাতীয় খালের পানি খুবই পরিষ্কার হয়। একদমই টলটলে পানি থাকে। এই খাল দেখলেই মনে হয় গোসল করতে নেমে যায়। কিন্তু শীতের দিনে আমি পানি খুব ভয় পাই। যার ফলে আর শেষ পর্যন্ত নামা হয়নি।

পঞ্চম ছবি

IMG_20211120_155152.jpg

স্থান- লিংক

অতি পরিচিত একটি গ্রামের দৃশ্য। যদিও একসময় এই কাজে গরু ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন সেখানে মানুষ যন্ত্র ব্যবহার করছে। পুরনো ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার একটা কষ্ট মনের ভেতর থাকলেও গ্রামের মানুষের জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে ভালই লাগছে।

ষষ্ঠ ছবি

IMG_20211120_155337.jpg

স্থান- লিংক

আহ্ কি চমৎকার শৈশব। এই বাচ্চাদের খেলাধুলা করা দেখে আমার শহরের বাচ্চাদের কথা মনে পড়ে গেল। এরা কি সুন্দর খোলা জায়গায় খেলাধুলা করে বেড়াচ্ছে। আর শহরে বেড়ে ওঠা বাচ্চাগুলি জায়গার অভাবে সারাদিন ঘরবন্দি হয়ে পড়ে থাকে। যার ফলে দিন দিন তারা মোবাইলের নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।

সপ্তম ছবি

IMG_20211121_142645.jpg

স্থান- লিংক

অষ্টম ছবি

IMG_20211121_142718.jpg

স্থান- লিংক

গ্রাম বাংলার মানুষজন যারা আছেন তারা এটা অবশ্যই চিনবেন। আমরা এটাকে বলি কলার মোচা। এটা রান্না করে খাওয়া যায়। যদিও আমার কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু শুনেছি খেতে নাকি খুবই মজা লাগে।

নবম ছবি

IMG_20211120_155949.jpg

স্থান- লিংক

চরের ভিতর একটা বাঁশের সেতু। আমি খুবই অবাক হয়ে গেলাম। দেখি এখান দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচুর মোটরসাইকেল যাতায়াত করছে। কিন্তু সেতুটি দিব্যি টিকে আছে। যখন মোটরসাইকেল এই সেতুর উপর দিয়ে যায়। তখন বিকট শব্দ হয়।

দশম ছবি

IMG_20211120_161306.jpg

স্থান- লিংক

চমৎকার একটি জায়গা। চরের ভেতর প্রাকৃতিকভাবেই একটি জলাশয় তৈরি হয়েছে। তার কাছেই আছে বেশ কিছু বাড়ি। পাশে একটি মাঠ যেখানে ছাগল এবং ভেড়া ঘাস খাচ্ছে। জায়গাটাকে দেখে মনে হল এখানে যদি একটি বাড়ি করে থাকতে পারতাম। কি চমৎকার হোতো।

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok


Polish_20211012_184119287.jpg

আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।

Sort:  
 3 years ago 

৩,৫,৬,৯ আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। এরকম ছবি ভবিষ্যতে প্রত্যাশা করছি।

 3 years ago 

অসাধারন ফটোগ্রাফি গুলো হয়েছে ভাই।দৃশ্যগুলি খুবই সুন্দর দেখতে ।এরমধ্যে কলার মোচা আর ভাস্কর্য টি চোখে পরার মতো হয়েছে ভাই ।এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য শুভকামনা থাকলো ভাই।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

 3 years ago 

দাদা এই ধরনের ফটোগ্রাফি পোস্ট আমার খুব ভালো লাগে। ভিন্ন দেশের জীবন চিত্র দেখার সুযোগ এখানে সব চেয়ে বেশি। ষষ্ঠ ছবি টা বেশি মন কেড়ে নিল। এইরকম শৈশব আমরা একটু আধটু পেলেও এখন কার শহরের বাচ্চারা একদম পাচ্ছে না। মোবাইল ল্যাপটপ আর টিভিতে কার্টুন দেখেই কাটছে ওদের শৈশব। যার কারণে সঠিক বিকাশ হচ্ছে না মনের।
সব কিছু মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো সব টা পড়ে।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার গান শুনতে ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে। আশা করি পরবর্তী হাংআউট এ আপনার গান শুনতে পাব।

 3 years ago 

আমি তো গান গাওয়ার জন্য রেডি থাকি। কিন্তু ওই দশটার পর মা খেতে ডাকে, চলে যেতে হয়। আর তখনই অন্য কেউ গান করে।কি বলি বলুন তো, আমার তো গান পোষ্ট করার ও ইচ্ছে হচ্ছে, ব্যস্ততার মাঝে হয়ে উঠছেনা। রাস্তার ধারে বাড়ি, সবসময় রেকর্ডিং করাও ঝামেলা।
পরের হাং আউট এ একটু আগে সুযোগ হলে অবশ্যই গাইবো দাদা। গান প্রাণ আমার। আর আপনাদের শোনাতে খুব ভালো লাগে ।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনি আপনার মেমোরি যতই লোড হক আপনি যে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন সে ফটোগ্রাফি গুলো আসলে ডিলিট করার মতো নয়। তাই আমার মনে হয় আপনি কখনো ডিলিট করতেও পারবেন না। এবং আপনি আমাদের সাথে দশটি ফটোগ্রাফি করেছেন এবং খুব সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে কলার মোচা যেটা দেখিয়েছেন আপনি কখনো খাননি, কিন্তু জানেন রান্না করে খাওয়া যায়। কিন্তু এই কলার মোচা ভর্তা করে খাওয়া যায়, ভর্তা খেলেও যে কতটা টেস্ট সেটা যদি কখনো না খান একবার খেয়ে দেখবেন। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

একবার খেয়ে দেখার ইচ্ছা আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

চরের ভিতর এভাবে জলাশয় তৈরি হতে কখনো দেখিনি। আমার কাছে দেখতে বেশ দারুণ লাগছে কিন্তু।জলাশয়ের ওই পারে ঘাস খাচ্ছে তা একটু একটু দেখা যাচ্ছে।প্রতিটি ছবিই অনেক ভালো হয়েছে।

 3 years ago 

আপনি ঠিক বলেছেন এখন আমাদের ছবি তুলা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে , তবে ভাইয়া আপনি একটা কাজ করতে পারেন আর সেটা হচ্ছে google photos ব্যবহার করতে পারেন , সেখানে হাজার হাজার ছবি রাখলেও ভরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর লেগেছে এক একটা ছবি একেকটা জায়গার সুন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে , তবে গ্রাম আর নদী বা প্রকিতির রূপ তার আগে কিছুই নেই।

 3 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

আপনার ফটোগ্রাফি বর্ণনা অসাধারণ হয়েছে প্রকৃতির কথাগুলো, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কথাগুলো আপনি ছবির মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার প্রতিটি ছবির পেছনের গল্প শুনে আমার অনেক ভালো লেগেছে। বয়স্কদের খেলাধুলা সত্যি এখন বিলুপ্তপ্রায় । আর নদ-নদী এলাকাগুলো আমার বিশেষ ভালো লাগে। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে খুব ইচ্ছা করে এই কনক্রিটের শহর আর ভালো লাগেনা। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে কিছু সুন্দর ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার ছবিগুলোর মধ্যে গ্রাম বাংলার দৃশ্য ফুটে উঠেছে। যা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আপনার তোলা দ্বিতীয় ছবিটি মনটা ছুয়ে গেল এই ছবির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে যে মানুষ বুড়ো হয়ে গেলেও তার সুখ যেন না কমে এখনো সবাই একসাথে বসে কি সুন্দর খেলছে এত বয়স হয়ে যাওয়ার পরেও। তারপরও আপনার প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য

 3 years ago 

ভাইয়া অসাধারন সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট করেছেন। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। দেখতে খুবই দৃষ্টিনন্দন। আমার কাছে চতুর্থ ফটোগ্রাফি টি খুবই বেশি ভালো লেগেছে। ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া ।

অসাধারণ ছবি উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে ভাল বলতেই হয়। আর ভাবনা হয় কবে আমিও পারব। সব সময় আমি পরামর্শ কামনা করি।

 3 years ago 

আসলে জায়গাটা খুবই সুন্দর। এই জন্য হয়তো ছবি গুলো ভালো হয়েছে।ধন্যবাদ আপানাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 59634.64
ETH 2590.21
USDT 1.00
SBD 2.47