নরককুণ্ড থেকে নিস্তার। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
এবার যখন ঢাকায় এলাম তখন পরিকল্পনা ছিল আট থেকে দশ দিন থাকবো সর্বোচ্চ। কিন্তু মানুষের পরিকল্পনায় তার জীবন চলে না। নানা রকম ঘটনা দুর্ঘটনা আনন্দ বেদনার মধ্যে ঢাকায় প্রায় ২৭ দিন থাকলাম। কিন্তু প্রথম কয়েক দিন পর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু আসতে চাইলেই তো আর আসা যায় না। এর ভীতর কয়েকদিন ফোনে টিকেট বুকিং দিয়েছি। কিন্তু পরে আবার বুকিং ক্যানসেল করতে হয়েছে বিভিন্ন সমস্যার কারণে। কিন্তু আজকে অবশেষে বাড়ি ফিরতে পেরেছি। যদিও আজকে বাড়ি ফেরার সময় ও বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে। যে বাসের সিট বুকিং দিয়েছিলাম সেই বাস ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছিলো। পরে অন্য একটি বাসে আসতে হয়েছে।
আজ অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। কারণ আমাদের সকাল সাড়ে আটটার ভেতর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর কথা। ঢাকা শহরে রাস্তাঘাটে সব সময় হাতে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বের হওয়া উচিত। কারণ এখানে আপনি কখনো সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন না। উবার এর মাধ্যমে গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছলাম। ঢাকার উবার ড্রাইভারদের একটা জিনিস খুব খারাপ। তারা প্যাসেঞ্জার নিয়ে রিফুয়েলিংয়ের জন্যে যায়। এটা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে।
অবশেষে যখন বাসে উঠে বসলাম তখন আমার খুবই আনন্দ লাগছিল। মনে হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত এই নরক কুণ্ডলী থেকে বের হতে পেরেছি বড় কোনো বিপদ ছাড়া। একটা সময় ছিল যখন আমি ঢাকা থেকে বাড়ির দিকে যেতাম পুরোটা সময় আনন্দে থাকতাম।এ শহর থেকে পালাতে পারলে বাঁচি না এমনটা মনে হতো। আজ অনেকদিন পর ঠিক তেমন মনে হচ্ছিল।
ঢাকা শহর আসলেই মানুষ বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, প্রচন্ড জ্যাম, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সবকিছু মিলিয়ে সম্পূর্ণ একটা অসহনীয় অবস্থায় পড়েছে ঢাকার লোকজন। এই কারণেই এই শহরটাকে আমার কখনোই ভালো লাগেনা। বাসে ওঠার পর মোটামুটি নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়েছিলো। যদিও বাসে ওঠার আগে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। সে ঘটনা অন্যদিন বলবো।
যে বাসে আজকে বাড়িতে এসেছি বাসটা এসি বাস। বেশ আরামদায়ক ছিলো। এই গরমের ভেতরে এসি বাসে না আসতে পারলে অনেক সমস্যাই পরতাম। ফেরিঘাট পর্যন্ত মোটামুটি নির্বিঘ্নেই এসেছি। যদিও পুরোটা রাস্তায় যানবাহনের বিক্ষিপ্ত চলাচল আমাদের গতি কমিয়ে দিয়েছিলো। ফেরিঘাটে এসে আর এক বিপত্তির শিকার হলাম। সেখানেও দেখি দীর্ঘ গাড়ির সাড়ি। প্রায় এক ঘন্টার উপরে লেগে গেল ফেরিতে উঠতে। যদিও তারপর আর তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। ফেরি পার হতে আমাদের মাত্র আধা ঘন্টা সময় লেগেছে। ফেরি পার হওয়ার পর আমাদের বাড়ি পৌঁছতে সবমিলিয়ে ঘন্টাখানেক লেগেছে।
যখন মাকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছলাম তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে মন থেকে শুকরিয়া আদায় করলাম। কারণ আমার মা যখন আড়াই বছর আগে বিদেশে গিয়েছিলো তখন আমার শুধু ভয় করত মনে হতো মা আর কখনো বাড়িতে ফিরতে পারবে না। আজকে আমি মাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পেরে অনেক খুশি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
আসলেই ঢাকা শহর আমরা যেমন ভাবি ঠিক তেমন না। অনেক অনেক সমস্যা।আসলে যখন বাসে উঠলেন খুবই আনন্দ লাগছিল শুনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে একটা সময় ভাবতেন ঢাকায় যাব যে অনেকদিন থাকব আর এখন মনে হচ্ছে বাঁচতে পারলে বাঁচি। আসলেই ঢাকা শহর অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। শব্দদূষণ প্রচন্ড। আবার পরিবেশ দূষণ, বায়ু দূষণ। আলহামদুলিল্লাহ আপনি আপনার মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন খুবই ভালো লাগছে। আপনাদের জন্য দোয়া রইল ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আপনার মা কে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন এটা আসলেই অনেক বেশি খুশির সংবাদ। আপনার আনন্দে সামিল হতে পেরে নিজের ই খুশি লাগছে।
আপনার এসব কথা সবাই ই বলে, সবাই ই প্রচন্ড রকমের ঢাকা শহরকে অপছন্দ করে।
আসলে আমরা সবাই মিলে এই শহরটাকে ধ্বংস করেছি।
ভাইয়া আপনি আপনার মাকে নিয়ে সুন্দর ভাবে বাড়ি ফিরতে পেরছেন এটাই বড় পাওয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আপনার নিজের ব্যক্তিগত কিছু শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই ঢাকা টা আসলেই নরককুণ্ড হয়েছে।প্রতিদিন অফিস যেতে আর আসতে ২ ঘন্টা করে ৪ ঘন্টা নষ্ট হয়। মনে হয় সময়ের কোনো মূল্যই নাই। এই দুরভোগ থেকে কবে মুক্তি মিলবে কে জানে। আপনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন বলে শুভকামনা
যত তাড়াতাড়ি পারেন অন্য কোথাও শিফট হয়ে যান। আগে জীবন বাঁচান। ঢাকা শহরে থাকতে হলে চরম অমানবিক জীবন যাপন করতে হয়।
ভাই আমি আপনার সাথে একমত। আমি দীর্ঘ আটটি বছর পার করেছি ঢাকাতে ২০১২ তে যখন আমি ঢাকা ত্যাগ করলাম তখন আমিও আপনার মত এমন অনুভূতির অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভাল হয়েছে চলে এসেছেন নিজ বাস ভবনে। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলেই ভাই আপনি একদম মনের কথা বলেছেন।ঢাকার জনজীবন টা যেনো বিষিয়ে উঠেছে একদম।আর তবে এটা শুনে ভালো লাগলো আপনি আপনার মাকে নিয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পেরেছেন।
ভাইয়া মাকে নিয়ে বাড়িতে পৌছালেন, আপনার মা যে খুশি হয়েছে এটা আমার কাছে বেশ লাগলো। আমারও একি চিন্তা ভাইয়া, ঢাকা শহরে আর বসবাস করতে ইচ্ছে করেনা। দম আটকে আসে।
বাঁচতে চাইলে দ্রুত ঢাকা শহর থেকে পালিয়ে যান।
শুনে ভালো লাগলো যে নিরাপদে নিজের দেশে ফিরতে পেরেছেন। আর ঢাকা শহর শুধু বেড়ানোর জন্যই বেস্ট আমি মনে করি , একে বাড়ে থাকার জন্য জায়গা নই এটা আমাদের জন্যে। কারণ আমরা হচ্ছি গ্রামের সতেজ বাতাস আর পাখির ডাকে ঘোম ভেঙ্গে উঠা মানুষ , আমাদের শহরে ভালো লাগবেনা এটাই স্বাভাবিক। অনেক সুন্দর কিছু কথা বললেন ভাইয়া , ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাই আপনি আপনার মাকে নিয়ে দূষণের শহর ঢাকা থেকে যে বাড়ি যেতে পেরেছেন সেটা শুনে আমার অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া ঢাকা শহরকে মানুষ সবাই অপছন্দ করে । কিন্তু ঢাকা শহরকে আমরাই দূষণের শহর বানিয়েছি আমাদের বিভিন্ন অবাঞ্ছিত কর্মের কারণে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলেই ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে ভাইয়া। চারদিকে বিষাক্ত বাতাস আমাদের দিন দিন অসুস্থ করে দিচ্ছে। আমি গ্রামের সেই নিরিবিলি বাসাস খুব পছন্দ করি। আর আসলেই পরিকল্পনা করে জীবন চলে না। লাইফ হচ্ছে আনপ্রেডিক্টেবল।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।