দর্শনীয় ঘুড়ি উৎসব (দ্বিতীয় পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
এই ঘুড়ি উৎসবের মূল আকর্ষণ হচ্ছে নানা আকৃতির নানা রকমের নানা রঙের ঘুড়ি। অনেক বড় আকারের ঘুড়ি যেমন থাকে। তেমনি ছোট ছোট ঘুড়িও থাকে। আর যারা ঘুড়ি ওড়াতে ভালোবাসেন। তারা তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করার চেষ্টা করেন সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ঘুড়ি বানিয়ে। আর এই ঘুড়ি গুলি থাকে এই উৎসবের মূল আকর্ষণ। যাদের ঘুড়ি দেখতে সবচাইতে সুন্দর হয় তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো শহরের মানুষের মাঝে একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। সবাই এদিন পদ্মার পাড়ে এসেছিল একটি সুন্দর সময় অতিবাহিত করার জন্য। ফরিদপুরের জেলা প্রশাশক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সাথে ফরিদপুর শহরের আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাবতেও অবাক লাগে একটি ফেসবুক গ্রুপের এই অনুষ্ঠান এখন পুরো শহরের মানুষের অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। একটা সময় ফরিদপুরে একটি মেলা হতো পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের নামে। সেই মেলাটার নাম ছিল জসিম মেলা। কয়েক বছর হল সেই মেলাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শহরের মানুষের ভেতরে এক ধরনের হাহাকার কাজ করতো যে শহরের মানুষের সবচাইতে প্রিয় আয়োজনটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই জন্য। এই ঘুড়ি উৎসব শুরু হওয়ার পর থেকে সেই হাহাকার অনেকটাই কমে গিয়েছে। শহরের মানুষ নতুন একটি উৎসব পেয়েছে উদযাপন করার মত।
এবারের ঘুড়ি উৎসবে জনসমাগম বেশি হলেও গতবারের তুলনায় ঘুড়ির সংখ্যা কম ছিল। গতবার আরো নানা রকমের ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিয়েছিল। এবার সেই তুলনায় ব্যতিক্রমধর্মী ঘুড়ির উপস্থিতি উৎসবে কিছুটা কম ছিল। তার পরেও যে ঘুড়ি গুলি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল তার ভিতরে এমন একটি ঘুড়ি ছিল যেটি মূলত একশটি ঘুড়ির সমন্বয়ে তৈরি করা। উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই ঘুড়িটি। তাছাড়া আরও একটি ঘুড়ি ছিল সেটির দিকেও মানুষের বেশ আগ্রহ ছিল। ঘুড়িটি একটু অদ্ভুত আকারের ছিলো।
সন্ধ্যা হয়ে গেলে ঘুড়ি উৎসব শেষ হয়ে যায়। তারপর শুরু হয় উৎসবের আরেকটি অংশ। এই অংশটাও কম আকর্ষণীয় নয়। অনেকের কাছে এই অংশটি বেশি আকর্ষণীয়। এক সাথে অসংখ্য ফানুস ওড়ানো শুরু হয়। একসাথে এত ফানুস দেখতে অসাধারণ লাগে। সাথে থাকে আতশবাজির ঝলকানি। আগত দর্শনার্থীরা এই পর্বটা খুবই পছন্দ করে।
এই পর্বটা শেষ হলে তারপর শুরু হয় কনসার্ট। যারা পরিবার নিয়ে আসে তারা সন্ধ্যা হওয়ার পরপরই বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু যারা পরিবার ছাড়া আসে তারা সবাই কনসার্টের জন্য রয়ে যায়। আমি অবশ্য কনসার্ট পর্যন্ত থাকতে পারিনি। কনসার্ট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই আমি চলে এসেছিলাম। পরে অবশ্য মনে হয়েছে আমি ভালো একটা পর্ব মিস করেছি।
এই উৎসবে গেলে একটি সমস্যা মুখোমুখি হতে হয়। সেটা হচ্ছে ফেরার সময় দীর্ঘ পথ হেঁটে আসতে হয়। কারণ প্রচুর জনসমাগম হওয়ার কারণে রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলাচলের উপায় থাকেনা। যার ফলে অনেকটা পথ হেঁটে শহরের কাছাকাছি এসে তারপর কোন বাহন এর ব্যবস্থা করতে হয়। আশা করছি সামনের বছরে ঘুড়ি উৎসব এইরকম উৎসবমুখর পরিবেশে হবে এবং সেখানে পরিবার নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। রাতের উৎসবের একটি ভিডিও পোস্টে দিয়েছি। আশা করি দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
আমিও ঘুড়ি ওড়াতে পারি না। তবে দেখতে খুব ভালো লাগে।
ঘুড়ি ভালোবাসে না, ভালোবাসে নাই এরকম কোন মানুষ আছে নাকি আমার মনে হয়না। শৈশব এবং কৈশোর ঘুড়ির পিছনেই কেটে যায়। আর আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঘুড়ি উৎসবের নানান রঙ্গের ঘুড়ি। এবং সেগুলো উপভোগ করা খুবই আনন্দের ব্যাপার। আর আপনাদের ফরিদপুরে এত সুন্দর একটা ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করেছেন জেলা প্রশাসক আসল খেলাধুলা মানে আনন্দ। এবং আপনি অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আমিও অবাক হয়ে গেলাম। ফেইসবুক গ্রুপের একটা অনুষ্ঠান এখন এটা কোন পর্যায়ে চলে গেছে !
ছোটবেলায় আমি অনেক ঘুরি উড়িয়েছি। তবে আমি তেমন একটা ঘুড়ি উড়াতে পারি না৷ এখন তো ভুলেই গেছি। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
আমি ও ঘুড়ি উড়াতে পারিনা। তবে দেখতে ভালো লাগে।
বৃহৎ পরিসরে এইবাবে ঘুড়ি উৎসব আর কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না৷ কত সুন্দর উদ্যোগ এটি,দেখেই খুব ভালো লাগতেছে। আর বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি হওয়ার কারণে এটি দেখতে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। এক লাইনে যে ঘুড়িগুলো উড়তেছে সেগুলো দেখেই তো মন ভালো হয়ে গেল। ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সময়টাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পুরো আয়োজনটা আসলেই অনেক বড় ছিলো।
প্রথমেই যে কথা বলার আমার বাবা ঘুড়ি ওড়াতে ভীষণ পছন্দ করেন। তাই এই পোস্টটি দেখার সাথে সাথে বাবার কাছে নিয়ে যাই। বাবা তো খুবই খুশি হয়ে যায় এত সুন্দর ঘুড়ি উৎসব দেখে। সত্যিই মনমুগ্ধকর একটি আয়োজন ছিল।
পুরো পরিবার নিয়ে চলে আসুন সামনের বছর। অনেক মজা হবে।
বাহ ভাইয়া এসব আমি কি দেখলাম। আমার মাথা হ্যাং হয়ে গেছে। একটা ঘুড়ি একেক রকমের। কোনটার সাথে কোন মিল নেই। স্পাইডারম্যান ঘুড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া আমাদের সাথে। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
আসলেই চমৎকার সব ঘুড়ি ছিলো সেখানে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব আমি প্রথম দেখলাম।এমন আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে।ভিন্ন রকমের ঘুড়ি দেখে আমি বিমোহিত। সত্যই এটি অনেক আনন্দের যদি আমিও যুক্ত হতে পারতাম খুব ভালো লাগতো।এমন একটি মুহুর্তকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এক কাজ করুন। নিজের এলাকায় একটা এই রকম আয়োজন করুন। খুব ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ, বন্ধু এবং শুভকাংখিদের সাথে আলোচনা করে এ ধরনের আয়োজন করতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
দর্শনীয় ঘুড়ি উৎসব টি দেখতে আসলেই অসাধারণ লাগছে। আপনি এর আগে এমন একটি ঘুড়ির উৎসব এর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন সেটি আমি পড়েছিলাম এবং সেই পোস্টটি অসাধারণ ছিল এবং আজকের এই পোস্ট টি পড়ে ও আমার অনেক মজা লাগছে। কেন না আমার সবচেয়ে মজার বিষয় লেগেছে রাতের বেলায় এমন সুন্দর সব লাইটিং ঘুড়ি উড়ানো দেখে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এককথায় সত্যি খুবই আকর্ষণীয় একটি উৎসব হচ্ছে এই ঘুড়ি উৎসব। আপনার পোস্ট দেখেই তো আমার যেতে ইচ্ছে করছে। এবং নানারকম রঙ বেরঙের ঘুড় দেখতে খুবই ভালো লাগছে। তবে স্পাইডার ম্যানের আকৃতিতে ঐ ঘুড়িটা দেখে অবাকই হলাম একটু।। বেশ ভালো একটি পোস্ট ছিল ভাই।
বিভিন্ন রকমের ঘুড়ি ছিলো সেখানে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এত এত রং বেরঙ্গের এবং বিভিন্ন রকমের ঘুড়ি আমি আগে আসলে কখনো দেখিনি। কবি জসীমউদ্দীনের মেলার পরিবর্তে এই উৎসবটি নিশ্চয়ই মানুষজন খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে কারণ তারা একটি উপলক্ষ পেয়েছে নতুন করে। ফরিদপুরের মানুষের জন্য এটি সত্যিই খুব দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। আমি আসলে এরকম আয়োজন কখনো দেখিনি। যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই এই সময়টাতে বেড়াতে যাওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ
সামনের বছর চলে আসুন ভাই।
জি ভাই। ওই দিকে ঘুরতে গেলে তো কোন সমস্যাই নেই কারণ আপনি আছেন।