গ্রামবাংলার অপার সৌন্দর্য অবলোকন। ১০% সাইফক্স।
আপনারা জানেন যে আমি মাঝে মাঝেই বন্ধু ফেরদৌস কে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। আমাদের এই ঘোরার উদ্দেশ্য থাকে গ্রামীণ সৌন্দর্য অবলোকন করা। এজন্য আমরা সবসময়ই শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে চলে যাই। কয়েকদিন আগে কথাপ্রসঙ্গে বন্ধু ফেরদৌস বলছিলো সে একটি নতুন জায়গায় গিয়েছে কয়েকদিন আগে। যে জায়গাটা নদীর পাড়ে অত্যন্ত সুন্দর একটি জায়গা।
জায়গাটা সম্বন্ধে তার কাছ থেকে জানতে পেরে আমারও সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হলো। তখন তাকে বললাম চলো তাহলে দুই এক দিনের ভিতরে সেখান থেকে ঘুরে আসি। তারপর পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা একদিন সেখানে রওনা দিলাম। শহর ছেড়ে আমরা ক্রমে সেই এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। জায়গাটি আমাদের শহর থেকে প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু কিছুদুর যাওয়ার পর দেখা দিলো বিপত্তি।
বন্ধু ফেরদৌস সেই জায়গায় যাওয়ার রাস্তাটা ভুলে গিয়েছে। যার ফলে আমরা একটি ভুল রাস্তায় কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি সামনে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। পরবর্তীতে আমরা বুঝতে পারলাম আমরা ভুল রাস্তায় ঢুকে পরেছি। সেখান থেকে বের হয়ে আমরা সঠিক রাস্তা খুঁজে পেলাম। তারপর দুইবন্ধু গল্প করতে করতে সেই জায়গায় গিয়ে পৌঁছালাম।
সেখানে পৌঁছে দেখি নদীর ঠিক পাড়েই বেশ কিছু লোকজন ধান মাড়াইয়ের কাজ করছে। এই জায়গাটি মূলত নদীর অংশ। কিন্তু এখন শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় পানি কমে গিয়েছে। তাই নদীর এই উর্বর মাটিকে মানুষ চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করেছে। সেখানে ধান রোপন করা হয়েছিলো। চাষিরা সব তাদের পাকা ধান উঠাতে ব্যস্ত ছিলো। কারণ আর কিছুদিন পরেই সেখানে পানি এসে পুরো জায়গাটা তলিয়ে যাবে। তাই চাষীদের ভেতর কর্মচাঞ্চল্য লক্ষ্য করলাম।
এই নদীতে পানির গভীরতা খুব বেশি নয়। দেখলাম বেশ কিছু ছেলেপেলে খুব মজা করে নদীতে গোসল করছে। কিছুক্ষণ পর একটি খেয়া নৌকা দেখতে পেলাম। সেই নৌকায় করে লোকজন এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করছে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করে তারপর অন্য দিকে রওনা দিলাম। রাস্তার দু'পাশ দিয়ে গ্রামীণ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা যাচ্ছিলাম। রাস্তার পাশেই দেখতে পেলাম সবুজ ফসলের ক্ষেত। আবার একটি খাল দেখতে পেলাম যেখানে পানি শুকিয়ে গিয়েছে। যার ফলে সেখানে কয়েকটি নৌকা অবহেলিতভাবে পড়ে রয়েছে।
এই সবই আমাদের চিরচেনা দৃশ্য। তার পরেও যতই দেখি ততই ভালো লাগে। বারবার ফিরে আসতে ইচ্ছা করে এই গ্রামবাংলায়। শহুরে কোলাহল আমাদের মোটেই আকর্ষণ করে না। আমাদের আকর্ষণ করে গ্রাম বাংলার এই শান্ত, নির্জন, নিস্তব্ধ পরিবেশ। যেখানে অবারিত সবুজের মেলা, বিশুদ্ধ বাতাস এর খেলা, পাখির কলকাকলি আরো সব চমৎকার আয়োজন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনার সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | নর্থ চ্যানেল |
আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন? আপনার ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার খুব ভালো লেগেছে দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। আসলে গ্রামবাংলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই বৈচিত্র্যময় দেখে খুব ভাল লাগে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যায়। এত অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলি সুন্দর ছিল এজন্যই হয়তো ছবিগুলো ভালোই এসেছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব সুন্দর বর্ণনা মধ্য দিয়ে আমার গ্রাম বাংলার কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছেন আপনার এত সুন্দর পোস্টের মধ্যে। আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর পোস্ট দেখে।
এমন চমৎকার পরিবেশে গেলে বর্ণনা এমনিতেই সুন্দর হয়ে যায়। চেষ্টা করবেন সময় পেলেই গ্রামে ঘুরতে যেতে। আশা করি ভালো লাগবে।
গ্রাম বাংলার অপরুপ দৃশ্য আমার কাছে ও খুব ভালো লাগে ভাইয়া। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে গ্রামবাংলায় এমন প্রকৃতির সাথে যেন হারিয়ে যায়। খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া গ্রাম এর প্রকৃতির ছবি গুলো আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া গ্রাম বাংলার কোলাহল আমাদেরকে যেমন আকর্ষণ করে শহরের কোলাহল আকর্ষণ করে না।
সুযোগ পেলেই এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে হারিয়ে যাবেন। দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে ফটোগ্রাফি দেখে জীবনন্দদাশের কবিতাটি মনে পড়ে গেল। চাকুরীর সুবাদে গ্রামের মুক্ত পরিবেশে আমার অনেক মুভ করা হয়। গ্রামের মুক্ত পরিবেশ খোলা বাতাস মনটা একেবারে জুড়িয়ে যায়। মস্তিষ্কের জল গুলো খুলে যায়। খুব ভালো লাগলো গ্রামের আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। সবশেষ আপনার প্রতি অনেক শুভকামনা রইল।
আসলেই ঠিক বলেছেন গ্রামের মুক্ত পরিবেশে খোলা বাতাসে মনটা একেবারে জুড়িয়ে যায়।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি অসাধারণ, আপনি গ্রামের সৌন্দর্যময় পরিবেশ ফটেগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সত্যিই খুবই ভালো লাগলো বিশেষ করে নদীর পাড়ে নৌকার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ। শুভকামনা রইল।
নদীতে নৌকা না থাকলে আসলে নদী কে নদী বলে মনে হয় না। নৌকা মনে হয় নদীকে পূর্ণতা দেয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই অসাধারন হয়েছে গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য। আপনার এই ফটোগ্রাফী গুলো খুবই আকর্ষনীয় হয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফী অনেক দক্ষতার সাথে করেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য ও পরিবেশ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রকৃতি র অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
জায়গাটা ছিল ছবির থেকেও অনেক সুন্দর। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার বন্ধু ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে আপনি অনেক সুন্দর একটি জায়গায় গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে জায়গাটি অনেক সুন্দর। গ্রাম বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে এই জায়গাগুলোতে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে আপনি আপনার কাটানো মুহূর্ত এবং অনুভূতি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপু চেষ্টা করবেন সময় পেলে এই ধরনের গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরতে যেতে। কারণ এই ধরনের পরিবেশ গেলে আপনার মনটা প্রফুল্ল হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি এবং ফেরদৌস ভাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে। অচেনা রাস্তায় ঘুরতে গেলে আমারও মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায়। করনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর মাঝামাঝি সময়ে একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। প্রথমে ভুল রাস্তায় গিয়েছিলাম। গ্রামীণ পরিবেশটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল ভাই। আপনাদের কাটানোর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো ভাই।
প্রিয় বন্ধুর সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে এমনিতেই ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় এমন চমৎকার গ্রামীণ পরিবেশ তাহলে তো কথাই নেই।
এভাবে গ্রাম অঞ্চলে ঘুরাঘুরি করলে কিন্তু মন ভালো থাকে। গ্রামের প্রকৃতি আমাদের মন কে শান্ত করে দেয়। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে জায়গাটা কতো সুন্দর। মন জুড়িয়ে গেলো। অসাধারণ।
জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর ছিলো। যদিও ছবিতে পুরোপুরি সে জায়গার সৌন্দর্য ফুটে ওঠেনি।
গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতোটাই সুন্দর যে আমরা সাধারন মানুষ কি শুধু এর প্রশংসা করি না বরং কতশত কবি লিখেছে কতশত কবিতা এই সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে। আপনার গ্রামীণ ফটোগ্রাফি গুলো ছিলো মনোমুগ্ধকর। ধান৷ ক্ষেত,নৌকা, আকাবাকা মেঠোপথ যেন অমলিন সৌন্দর্য। ভালো লেগেছে আপনার আজকের পোস্ট টি।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।