কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।
গত কিছুদিন যাবত বাড়িতেই বসে আছি। আমার সার্বক্ষণিক ঘোরাফেরার সঙ্গী বন্ধু ফেরদৌস না থাকায় বাইরে খুব একটা বের হওয়া হয়নি। তবে এর ভিতরে একদিন ঘুড়ি উৎসবে গিয়েছিলাম। আর দুদিন দুটো মেলায় গিয়েছিলাম। আপনার জানেন আমি একেবারে ঘরে বসে থাকতে পারিনা। যখনই সময় পাই তখনই কাছাকাছি কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসার চেষ্টা করি। তাছাড়া একটানা কয়েক দিন ঘরের ভিতরে থাকলে সবারই এক ধরনের অস্থিরতা শুরু হয়। আমার ক্ষেত্রে হয়তো সেটা একটু বেশি।
একটা সময় ছিল যখন জীবনে বন্ধু-বান্ধবের অভাব ছিল না। আশেপাশেই সব সময় দু চারজন বন্ধুকে পাওয়া যেতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবাই সবার কর্মজীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে এখন বন্ধুদের দেখা পাওয়া সোনার হরিণের মত হয়ে গিয়েছে। আমি আবার বন্ধু বৎসল মানুষ। বন্ধুদের ছাড়া আমার জীবনটা অসম্পূর্ণ। যাইহোক গত কয়েকদিন যে সমস্ত জায়গায় ঘোরাফেরা করেছি। তার ভেতরে কিছু ছবি তোলা হয়েছে। সেই ছবিগুলো থেকে কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

এই ছবিটি তোলা হয়েছিল ঘুড়ি উৎসবের স্থান থেকে। যখন সন্ধ্যা বেলায় ঘুড়ি উৎসবের সমাপ্তি ঘোষনা করা হলো। তখন সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়েছিল সেখানে ফানুস উড়ানোর উৎসব। হাজার হাজার মানুষ মানুষ ফানুস উরাচ্ছিলো। একটা সময় এমন অবস্থা হয়েছিল মনে হচ্ছিল আকাশের পূর্ব পাশ ফানুশের আলোতে আলোকিত হয়ে গিয়েছে। অসাধারণ একটি দৃশ্যের অবতারনা হয়েছিলো। ঘুড়ি উৎসবে আগত সকলেই সেই দৃশ্য প্রাণ ভরে উপভোগ করেছিল।

এই ছবিটি ও সেই একই জায়গা থেকে তোলা। তবে এই ছবিটি মানুষজনের অনেক কাছ থেকে তোলা হয়েছে। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই ফানুস উড়ানোর কাজে ব্যস্ত। উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের অনেকেই ফানুস কিনেছিল উড়ানোর জন্য। ছবিতে সেই মানুষগুলোকে ফানুস উরানোর চেষ্টারত অবস্থায় তাদেরকে দেখা যাচ্ছে।

এই ছবিতে একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য দেখা যাচ্ছে। এই ভাস্কর্যটি ফরিদপুর কোর্ট চত্বরে অবস্থিত। এই ভাস্কর্য দ্বারা মুক্তিযোদ্ধাদের অজেয় মানসিকতার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই আহত অবস্থায় পাক হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই অব্যাহত রেখেছিল। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থেই এই ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।

সেদিন উদ্যোক্তা মেলায় গিয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম। মেলায় বিভিন্ন স্টলের ভিড়ে একটি গাছের স্টল দেখতে পেয়েছিলাম। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছিলো। তার ভেতর বেশিরভাগই ছিল ফুলের গাছ। অবশ্য দু একটা ফলের গাছও ছিল। যদিও সেগুলো ছবিতে মনে হয় দেখা যাচ্ছে না।

মেলার একজন ক্ষুদে দোকানদারকে দেখা যাচ্ছে। মেলার স্টল গুলি ঘোরার সময় এই ক্ষুদে বিক্রেতাকে দেখতে পেলাম। স্টলে সে একাই রয়েছে। সম্ভবত সে তার মা অথবা বোনের সাথে মেলায় এসেছিল। হয়তো তারা কোন কাজে গিয়েছে। সেই ফাঁকে এই খুদে বিক্রেতাকে দোকানের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিল। সে অবশ্য বেশ হাসি মুখেই মেলার আগত দর্শনার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলো।

সেদিন মেলায় গিয়ে হঠাৎ করে এই ছবিটি চোখে পড়ল। একটি স্টলের সামনে একটি মাটির পাত্রের ভেতরে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তার ভেতরে কিছু মোমবাতি রাখা হয়েছিল। জিনিসটা আসলে কি সেটা আমি বুঝতে পারিনি। তবে দেখতে চমৎকার লাগছিলো জিনিসটা দেখতে। এতটাই ভালো লাগছিল যে মেলার আগত দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই এটার ছবি তুলছিল। তাদের দেখাদেখি আমিও একটি ছবি তুলে নিলাম।

কুয়াশামাখা ভোরবেলার রাস্তার ছবি। আমি অনেক সকালে হাঁটতে বের হই। তবে এখন হাঁটতে বের হলেই এই ছবিটা দেখতে পাই। আমার কাছে শীতকাল এমনিতেই ভালো লাগে। সেই সাথে যদি এই ধরনের কুয়াশা মাখা সকালের দেখা পাই। তখন সেই ভালো লাগাটা আরো বেড়ে যায়। যদিও অনেকেই আছেন যারা শীতকাল পছন্দ করেন না। হয়তো তাদের কাছে এই দৃশ্য ভালো নাও লাগতে পারে।
আকাশে একসাথে অনেকগুলো ফানুস দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছে। উদ্যোক্তা মেলায় গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আকাশে মানুষ উড়ানোর ফটোগ্রাফি এবং মাটি র পাত্রে গোলাপের পাপড়ি বিছে তার মধ্যে মোমবাতি জ্বালানোর দৃশ্যটি সত্যি খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
মাটির পাত্রের ভেতর গোলাপের পাপড়ি দেয়া। এই ছবিটি আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে।
ভাইয়া সব গুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে ঘুড়ি উৎসবের ছবি গুলা ধারুন হয়েছে। তারপর মেলায় মাটির পাতিলে গোলাপের পাপড়ির মাঝে মোমবাতির ছবিটা অসাধারন লাগে। আর পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য টা আজকে প্রথম দেখলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার এই ভাস্কর্যটি দেখলে। আসলেই অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়।
আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে ফানুস উড়ানোর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে আমার।
এ ধরনের দৃশ্য দেখতে সকলেরই ভালো লাগে। এজন্যই হয়তো ছবিগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে।
ছবি গুলো দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না ভাই। প্রথম ছবি দুইটা দেখে ভাবছি নতুন বছর এর উৎসব এর জন্য। পড়ে দেখি ঘুড়ি উৎসব এর জন্য। ভাষ্কর্য এর ছবিটা অনেক ভোরে তুলেছেন মনে হচ্ছে। কুয়াশা অনেক।
একদম ঠিক ধরেছেন। ভাস্কর্যের ছবিটা ভোরবেলায় হাঁটার সময় তুলেছি।
আকাশে যখন ফানুস উড়তে দেখা যায় তখন খুব সুন্দর লাগে। আকাশটা এক আলাদা রুপ ধারণ করে।ঐদিন আমি যখন ছাদে ছিলাম।তখন আকাশে অনেক ফানুস উড়তে দেখেছিলাম। খুব ভালো লেগেছিলো।আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলোও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন। বিশেষ করে আকাশে যখন একসাথে অনেক ফানুস উড়তে দেখা যায়। তখন দেখতে অসাধারণ লাগে।
আকাশে একসাথে অনেকগুলো ফানুস উড়ছে। দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আপনি মেলার অনেকগুলো ছবি তুলেছেন। ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। মাটির পাত্রে পানির ভিতরে গোলাপ ফুলের পাপড়ি এবং মোমবাতির ফটোগ্রাফি টা সুন্দর হয়েছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক মজা করেছেন মেলায় গিয়ে।
মেলায় ঘুরতে আমার কাছে বরাবরই অনেক মজা লাগে।