পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড টি ২০ ম্যাচের রিভিউ।
স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে Pakistan Cricket চ্যানেল থেকে।
এদিন রিজওয়ান কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করেন। দলীয় ৮৪ রানের সময় ক্যাপ্টেন বাবর আজম আউট হয়ে যান। বাবর আজম আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দলীয় ১০৪ রানের মাথায় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ওসমান খান ও আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ইরফান খান এবং সাদাব খানের দুটি কার্যকরী ইনিংসের কল্যাণে পাকিস্তান ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করতে সমর্থ হয়। এদিন পাকিস্তানি কোন ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে না পারার কারণে ভালো ব্যাটিং কন্ডিশনে ও পাকিস্তান খুব একটা বেশি রান করতে পারেনি। ১৭৮ রান দেখে একসময় মনে হচ্ছিলো যথেষ্ট রান। কিন্তু আজকালকার দিনে টি-টোয়েন্টিতে হরহামেশাই ২০০ প্লাস রান হচ্ছে।
পাকিস্তানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। কিন্তুু মাত্র ৪.২ ওভারে দলীয় ৪২ রানে টিম সেইফারট আউট হয়ে যান। সেইফারট আউট হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরেই দলীয় ৫৩ রানে অপর ওপেনার টিম রবিনসন আউট হয়ে যান। এরপরে নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফক্স ক্রফট এবং চাপম্যান মিলে দারুন ভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন। দুজনে মিলে ১১৭ রানের একটি জুটি উপহার দেন। যদিও এই জুটির ভেতরে চ্যাপম্যান মূল ভূমিকা পালন করেন। তিনি দ্রুত গতিতে রান তুলে রান রেট সবসময় কন্ট্রোলে রাখেন। অপরদিকে ফক্স ক্রাফট ধীরেসুস্থে খেলতে থাকেন। দলীয় ১৭০ রানে ফক্সক্রাফট আউট হয়ে যান। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৯ বলে ৩১ রান করেন। চ্যাপম্যান জিমি নিশামকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটুকু শেষ করেন।
চ্যাপম্যান শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। যদিও তিনি এই রান করার পথে দুবার লাইফ পেয়েছেন। প্রথমে নাসিম শাহ ১৬ রানের মাথায় তার ক্যাচ ফেলে দেয়। পরবর্তীতে পাকিস্তানের উইকেট কিপার তার আরো একটি ক্যাচ মিস করে। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ১৮.২ তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। দুর্দান্ত ইনিংস খেলার জন্য চাপম্যান ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। এই ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানের সাথে সমতায় ফিরলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই ভাই এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০০ রান এমনিতেই হয়ে যায়। টি-১০ ম্যাচেও অনেক সময় ১৩০-১৫০ রান হয়ে যায়। যাইহোক এখন শর্ট ভার্সন ম্যাচ দেখতে দেখতে,ওয়ানডে এবং টেস্ট ম্যাচ দেখতে ততোটা ভালো লাগে না। তাহলে নিউজিল্যান্ড এই জয়ের মাধ্যমে ১-১ এ সমতা এনেছে চলতি সিরিজে। দেখা যাক বাকি দুই ম্যাচে কি হয় এবং শেষ পর্যন্ত কোন টিম সিরিজ জিতে। যাইহোক এতো চমৎকার ভাবে এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমার কাছে কিন্তু এখনো ওয়ানডে ক্রিকেটকে সেরা খেলা বলে মনে হয়। এখানে আপনি টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট দুটোরই স্বাদ পাবেন।
একটা বিষয় খেয়াল করলাম পাকিস্তান কে সামনে পেলেই যেন এই চ্যাপম্যান জ্বলে উঠে। তৃতীয় টি টুয়েন্টিতেও কী চমৎকার একটা ইনিংস খেলল সে। এককথায় অসাধারণ। তবে এই রান এতো সহজে চেজ করে ফেলবে নিউজিল্যান্ড সেটা ভাবিনি। যাইহোক সিরিজ এখন ১-১ এর সমতায়। পরবর্তী ম্যাচগুলো বেশ জমজমাট হবে আশাকরি।
ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। চ্যাপম্যানের দু দুটো ক্যাচ মিস করেছে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা। শেষ পর্যন্ত তারই মাসুল দিতে হয়েছে তাদেরকে ম্যাচ হেরে।