বাইতুল মুকাররম মসজিদ এলাকায় ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
ঢাকা শহরে আমি যখনই যাই তখন টুকিটাকি কিছু জিনিস কেনার দরকার হলে আমি বায়তুল মোকাররম এলাকায় যাই। বিশেষ করে যদি টুপি জায়নামাজ এ ধরনের কিছু কিনতে হয়। এই জিনিসগুলো কেনার জন্য বায়তুল মোকাররমের পাশে যে হকারের তারাই সবচাইতে ভালো। এখানে প্রতিদিন প্রচুর লোকজন আসে বিভিন্ন রকম ছোটখাটো জিনিসপত্র কেনা কাটা করতে।
এখানে শুধু ইসলামিক ধর্মচর্চার জিনিসপত্র পাওয়া যায় ব্যাপারটা এমন নয়। এখানে জামা-কাপড়, জুতা সেন্ডেল, শোপিস থেকে শুরু করে ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় তৈজসপত্র সবই পাওয়া যায়। সাথে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের এবং বিভিন্ন দামের ঘড়ি। আমি অনেক দিন থেকেই চিন্তা করছিলাম বায়তুল মোকাররম মার্কেট এলাকায় যেতে হবে। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি পকেট জায়নামাজ কেনা। আমার ইতিমধ্যেই একটি পকেট নামাজ আছে। কিন্তু সেই জায়নামাজটি লম্বায় কিছুটা ছোট। যার ফলে আমি চাচ্ছিলাম এর থেকে বড় আকারের একটি পকেট জায়নামাজ কিনতে। সে জন্যই মূলত বায়তুল মোকাররম মার্কেট এলাকায় যাওয়া।
তবে এই এলাকাটিতে আমার ঘুরতে বেশ ভালই লাগে। কারণ এখানে হকারেরা বিভিন্ন রকমের পণ্য সামগ্রী নিয়ে বসে থাকে। একই জায়গায় এত ধরনের পণ্য সামগ্রী আর কোথাও সম্ভবত পাওয়া যায় না। এখানে ফল থেকে শুরু করে শোপিস আপনি সবই পাবেন। মানুষজনের এখানে আসার মূল কারণ হচ্ছে এখান থেকে আপনি জিনিসপত্র তুলনামূলক কিছুটা কম দামে কিনতে পারবেন। এখানকার পণ্যের মান খুব একটা খারাপ না যদি আপনি দেখে নিতে পারেন।
তবে দামের ব্যাপারে আপনাকে খুব সাবধান হতে হবে। এরা আপনার কাছে দাম চাইবে অনেক বেশি। যদি আপনার সেই পণ্যটির দাম সম্বন্ধে ধারনা না থাকে তাহলে আপনার ঠকে যাওয়ার চান্স থাকে অনেক বেশি। আমি পকেট জায়নামাজ কিনতে পারিনি। কিন্তু আমার শখের একটি জিনিস কিনেছি। আমি সুন্দর দেখতে একটি কমান্ডো নাইফ কিনেছি। ছুরিটা দেখতে খুবই সুন্দর। এই ধরনের ছুরি আমরা সাধারণত হলিউড মুভিতে দেখে থাকি। ছুরিটি যখন আমি দাম করি তখন দোকানদার এটির দাম চেয়েছিল বারোশো টাকা। শেষ পর্যন্ত দামাদামি করতে করতে ৫৫০ টাকায় ছুরিটি আমাকে দিয়ে দেয়। যদিও আমি দামাদামি করার ব্যাপারে খুব একটা পটু নই। তার পরেও এই ছুরিটি কেনার সময় আমি বেশ ভালই দামাদামি করেছি।
এখন শীতের সময় হওয়ায় সেখানে দেখলাম প্রচুর হকার শীতের জামা কাপড় কম্বল এগুলি বিক্রি করছে। হকারদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যখন যেই সময় তারা সেই সময় উপযোগী পণ্য বিক্রি করে। গরম পড়ে গেলে এই হকারেরাই অন্য পণ্য বিক্রি করবে। এখানে স্বল্প দাম থেকে শুরু করে মাঝারি দামের পণ্য আপনি পাবেন। আর বায়তুল মোকাররমের যে মূল মার্কেট আছে সেটি মূলত স্বর্ণের দোকান এবং ঘড়ির দোকান এর জন্য বিখ্যাত। এই মার্কেটে বিশ্ব বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যায়। ঢাকা শহরে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স হওয়ার আগে এই মার্কেটে সম্ভবত সবচাইতে ভালো মানের ঘড়ি পাওয়া যেতো। আর এখন বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বিদেশী খেজুর কিনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন নামের, বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন স্বাদের খেজুর পাওয়া যায়। এখান থেকে খেজুরগুলো তুলনামূলক অনেক কম দামে কেনা যায়। খেজুর গুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণ ও অনেক।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোনো নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি
বায়তুল মোকাররম আমি অনেকবারই গিয়েছি ভাই। এ জায়গাটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর আমার বাসা থেকে এটা মোটামুটি কাছাকাছি সেইজন্য মাঝে মাঝে যাওয়া হয়। আর আপনি ঠিকই বলেছেন এখানে অনেক জিনিস মনের ইচ্ছামতো কেনা যায়। কিন্তু এরা অনেক বেশি দাম চায় ,যদি ঠিকঠাক দাম করে নেয়া যায় তাহলে আসলে এখান থেকে কেনাই ভালো। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই অভিজ্ঞতা গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আর আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এই জায়গা দেখতে দেখতে আমি শেষ ,বাহিরে গেলেই এই বাইতুল মুকাররম মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়া হয়। তবে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগলো। তবে ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন এখানে সব ধরণের জিনিস পাওয়া যাই, আর বিক্রেতারা এমন দাম বলে যা নেয়ার মতো না। তবে যদি বুদ্ধি খাটিয়ে দাম বলা যাই তবে আর কিনে জিতা যাই । সব মিলিয়ে ভালো লাগলো ,ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ ফটোগুলি খুব সুন্দর, অনেক সুন্দর দৃশ্য। দেখতে সত্যিই একটি খুব আকর্ষণীয় ব্লগ, ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ