বহু প্রতীক্ষিত ঘুড়ি উৎসবের অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে বড় ঘুড়ি দেখতে না পেয়ে মন কিছুটা খারাপ হলো। কারণ এই বড় ঘুড়ি গুলো এই ঘুড়ি উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে কাজ করে। যার ফলে যারাই ঘুড়ি উৎসবে ঘুরতে আসে তারা সেই বড় আকারের ঘুড়ি গুলি খুঁজে ফেরে। যাই হোক শেষ পর্যন্ত অন্যদিকে মনোযোগ দিলাম। ঘুড়ি উৎসবের যে মূল স্টেজ করা হয়েছিল সেখানে দেখতে পেলাম অনেকেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দিচ্ছিল। যেগুলো খেয়াল করে দেখলাম কেউই মনোযোগ দিয়ে শুনছে না। উৎসবে আগত দর্শনার্থীরা সবাই যার যার মতো আনন্দ করছিলো।

IMG_20221230_170615.jpg

IMG_20221230_165555.jpg

আমি যে জিনিসটি খেয়াল করে দেখতে পেলাম সেটা হচ্ছে। এবার যেমন মানুষ জনের সমাগম হয়েছে অনেক বেশি। তেমনি প্রচুর খাবারের স্টলও হয়েছে। যেগুলো সাধারণত অন্য মেলায় হয়ে থাকে। তবে খাবারের দোকানগুলো ছিল মেলার মূল স্থান থেকে একটু পাশে। এই ধরনের পরিবেশে আসলে আপনার কাছে ভালো লাগতে বাধ্য। কারণ চারপাশে প্রচুর মানুষ। সবার মুখ খুশিতে ঝলমল করছে। সবাই যার যার মত করে ঘুড়ি উৎসবের আনন্দ উপভোগ করছে। এখানে কেউ এসেছে বন্ধু-বান্ধবের সাথে। কেউ এসেছে পরিবার নিয়ে আবার আমার মত দু চারজন একাও এসেছে।

IMG_20221230_165425.jpg

IMG_20221230_170337.jpg

আর এসেছিল প্রচুর ব্লগার। তাদের কেউ মোবাইল দিয়ে ভিডিও করছিল, আবার কেউ ডিএসএলআর দিয়ে, আবার কেউ কেউ ড্রোন দিয়ে ভিডিও করছিলো। এগুলো দেখার পর আমি খুঁজতে লাগলাম খাবারের স্টল গুলো। এই ধরনের উৎসবে গেলে আমার কাছে সেখানকার খাবার থাকে অন্যতম মূল একটা আকর্ষণ। তবে এখানে সাধারণত মফস্বল শহরের মেলায় যে ধরনের খাবার পাওয়া যায়। সেই খাবারগুলি দেখতে পেলাম। এর বাইরে শুধু শহরের একটি রেস্টুরেন্ট দেখলাম সেখানে কাচ্চি বিরিয়ানি বিক্রি করছে। মনে মনে পরিকল্পনা করলাম মেলা থেকে যখন ফিরবো তখন যদি ক্ষুধা লাগে তাহলে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে তারপর ফিরব।

IMG_20221230_174833.jpg

IMG_20221230_182435.jpg

তারপর আমি ঘুরে ফিরে বিভিন্ন রকম ছবি তুলতে লাগলাম। এর ভেতরে দেখলাম স্টেজ এ উঠে একদল শিল্পী সংগীত পরিবেশন করছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাদের গান শুনলাম। গানটি তারা ভালই গাইছিলো। গান শুনতে শুনতে এদিকে সন্ধ্যা হয়ে এলো। মাগরিবের আজান দিলে আমি নামাজ পড়তে গেলাম। মসজিদ ছিল মেলা স্থানের বেশ কাছে। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় চিন্তা করছিলাম। সন্ধ্যার সময় মানুষ ফাসুস উড়ানো শুরু করবে। এজন্য নামাজ পড়ে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। যাইহোক নামাজ পড়ে যখন ঘুড়ি উৎসবের স্থলে ফিরে আসলাম। তখন দেখি ইতিমধ্যে ফানুশ উড়ানো শুরু হয়েছে। এর ভিতরে আকাশে হাজার হাজার ফানুশ উড়তে দেখতে পেলাম।

IMG_20221230_175836.jpg

IMG_20221230_183729.jpg

আরো অনেক মানুষকে দেখতে পেলাম যারা মানুষ ওড়ানোর চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছে। এর ভেতরে আমি যখন কিছু ভিডিও করছিলাম। তখন হঠাৎ করে আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেল। সেই বন্ধু আমার মত একা একাই ঘুরতে এসেছিল। তারপরের সময়টুকু আমি সেই বন্ধুর সাথে ঘুরিয়ে ছবি তুলে কাটিয়েছি। সন্ধ্যার সময় দেখতে পেলাম প্রচুর লোক ঘুড়ি উৎসবে আসছে। তবে এই সমস্ত লোকজন ঘুড়ি উড়ানো দেখার জন্য না। তারা আসছিল মূলত এই মানুষ এবং আতশবাজির শো দেখার জন্য। যাইহোক এভাবে একসময় ঘুড়ি উৎসব শেষের দিকে চলে এলো। হঠাৎ করে স্টেজ থেকে বেশ কয়েকবার এনাউন্সমেন্ট শুনতে পেলাম। অনেকেরই বাচ্চা সেখানে হারিয়ে গিয়েছে। তাই হারিয়ে যাওয়া সকলকে স্টেজ এর কাছে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছিলো। আরো কিছুক্ষণ সময় সেখানে কাটিয়ে। তারপর আমি বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম।(সমাপ্ত)।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানপদ্মার চর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 

বাহ আপনার তো খুব ভালো অভিজ্ঞতা হলো। এভাবে কখনো ঘুড়ি উড়ানো উৎসব দেখা হয়নি কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে আর ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি সেখানে কত মানুষ ছিল আর কেমন আনন্দ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে রাতের অন্ধকারে আকাশে ফানুসের এত আলো দেখে। খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে এভাবে ফানুস উড়ানো দেখলে অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দর্শকরা যায় শুধু দেখার জন্য! ঘুড়ি উঠছে কিনা! বক্তব্য খুব কম লোকেই শুনে! ব্লগাররাও এসে হাজির! ঘুড়ি উৎসবের মুহুর্তটা তারা সামাজিক মাধ্যমে দেখাবে। আমি অবশ্য এই উৎসবের খবর তেমন জানিনা! তবে আপনি একা একা ভালো সময় কাটিয়েছেন। পরে বন্ধুর সাথে আরেকটু ভালো সময় কাটলো! একা একা মেলাতে ঘুরতেও ভালো লাগে না।

 2 years ago 

ভাইয়া ঘুরি উৎসব নিয়ে বেশকিছু অভিজ্ঞতা পেলাম আপনার পোস্ট পড়ে। এবার বড় ঘুড়ি ছিল না, এই ঘুড়ি উৎসবে বড় ঘুড়ি ই মূল আকর্ষন।এই উৎসবে বক্তৃতা দিলে ও কেউ তা শুনছে না, সবাই যে যার মত আনন্দ করছিল।মেলার কিছু পাশে বেশ কিছু খাবারের স্টল ও হয়েছে। শহরের একটি রেস্টুরেন্ট ও এখানে ছিল, এখানে কাচ্চি বিরিয়ানি ছিল। আপনি যাওয়ার পথে ক্ষুধা লাগ্লে খেয়ে যাবেন ভাবছিলেন।এখানে পাশে নামাজের জায়গাও ছিল আপনি মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলেন।সন্ধ্যা হতে সবাই আকাশে ফানুশ উড়িয়ে দিচ্ছিল। আপনি ফটোগ্রাফি দিয়েছেন ভাইয়া, অনেক সুন্দর লাগছে 😍।আপনি ঘুরতে ঘুর‍তে আপনার এক বন্ধুর দেখা পেলেন, উনিও একাই এসেছেন।দুজন মিলে বাকি সময়টা খুব সুন্দর কাটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলেন।অনেক ভাল লাগলো ঘুড়ি উৎসবের অভিজ্ঞতা পড়ে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58474.85
ETH 2500.10
USDT 1.00
SBD 2.39