ঘুরতে বের হয়ে বন্ধু ফেরদৌসের সাথে আইসক্রিম ও চটপটি খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
তেমনি একদিন ঘুরতে ঘুরতে চলে গিয়েছিলাম বন্ধু রাফসানের শোরুমে। সেখানে গল্পগুজব করে আমরা সন্ধ্যার দিকে ট্যাপাখোলা নামক এলাকায় এসেছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো সেখানকার লেকপাড় থেকে চটপটি খাওয়া। কিন্তু দুই বন্ধু সেখানে পৌঁছে দেখি সেখানকার দোকানপাট সব উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমরা যেই চটপটির দোকান থেকে চটপটি খেতাম। সেটা আর দেখতে পেলাম না। পরবর্তীতে দুই বন্ধু আরো কিছুটা সামনে এগিয়ে একটা ছোট্ট নতুন দোকান দেখতে পেলাম। খেয়াল করে দেখি সেই দোকানের ভেতর আইসক্রিম বানানোর একটি মেশিন। এই ধরনের মেশিন আমাদের শহরে আগে ছিলো না। যদিও এই ধরনের মেশিনের প্রযুক্তি অনেক পুরাতন। তবে এই মেশিনের আইসক্রিমটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
এর আগে আমাদের এলাকার একটা মেলা থেকে সেই আইসক্রিম খেয়েছিলাম। আইসক্রিমটা খেয়ে দারুণ মজা লেগেছিলো। তাই সেদিন লেক পারে সেই আইসক্রিমের দোকান দেখতে পেয়ে দুই বন্ধু প্রথমে সেখান থেকে আইসক্রিম খেলাম। যদিও সেদিন আমার গলায় কিছু সমস্যা ছিলো। তারপরেও আইসক্রিম দেখে আর লোভ সামলাতে পারিনি। সেখানকার মেশিন থেকে যখন আমাদের আইসক্রিম দিলো। খেয়ে দুজনের কাছেই বেশ ভালো লাগলো। তবে আইসক্রিম খাওয়া হলেও চটপটি খাওয়ার ইচ্ছাটা তখনও যায়নি। আইসক্রিম খাওয়া শেষে একটু পেছন দিকে তাকিয়ে দেখি ঠিক লেকের পাড়ে একজন লোক চটপটি বিক্রি করছে। এ দোকানটাও আমরা নতুন দেখতে পেলাম। সেখানকার চটপটি কেমন সে সম্বন্ধে আমাদের কোনো ধারণা ছিলো না। তবে লেকের পাড়ে বসে চটপটি খেতে খুব একটা খারাপ লাগবে না। সেজন্য আমরা দুই বন্ধু সেই দোকানের সামনের চেয়ারে বসে পড়লাম চটপটি খাওয়ার জন্য। তারপর দুজনের জন্য চটপটির অর্ডার দিলাম। কিছুক্ষণ পরে দোকানদার আমাদেরকে চটপটি পরিবেশন করলো। তবে চটপটিটা খেতে খুব একটা ভালো ছিলো না। তবে চটপটি খেতে ভালো না লাগলেও রাতের বেলায় লেকের পাড়ে বসে খেতে বেশ ভালো লাগছিলো। অনুভূতিটা ছিলো দারুন।
আমরা সেখানে বসে চটপটি খেতে খেতে গল্প করছিলাম। লেক ঘিরে যে নতুন কর্মযজ্ঞ শুরু হচ্ছে সেটার পরে লেকের এই সৌন্দর্য আর থাকবে কিনা সেটা নিয়েই গল্প করছিলাম। আমরা খেয়াল করে দেখলাম লেকের পাড়ে বেশ পুরাতন কিছু গাছ ছিলো। সেগুলো কাটার আয়োজন ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ এই গাছগুলোর কারণে লেকের পাড় সব সময় ছায়া ঘেরা থাকতো। সেজন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে লেকের পাড়ে বসতো নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য। আমরা শুনতে পেয়েছি লেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। লেকের ওখানে নাকি পার্কের মত করে গড়ে তোলা হবে। তবে এই পার্ক কতটা পরিবেশবান্ধব হবে আমরা সেটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। যাইহোক চটপটি খাওয়া শেষ হলে আমরা দুজন দুজনের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
চটপটি খেতে ভালো ছিল না জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো। অনেক সময় যখন পছন্দের খাবার খেতে খারাপ লাগে তখন ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ঘুরাঘুরি করেছেন আর অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এছাড়া লেকের পাড়ের ভিউটা সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে ভাইয়া।
চারিদিকে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। এককথায় উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছি আমরা। আর উন্নয়ন করতে গেলেই তো বড় বড় গাছপালা গুলো কেটে ফেলা হয়। সেজন্যই তো দিনদিন গরমের তীব্রতা এতোটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাইহোক যেকোনো জায়গার চটপটি খেতে আমার একেবারেই ভালো লাগে না। কারণ অনেক জায়গার চটপটি খেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। আমার বাসা থেকে একটু দূরে বাচ্চু ভাইয়ের চটপটি আমাদের এখানে বেশ জনপ্রিয়। আর খেতেও দারুণ লাগে। যাইহোক চটপটি খেতে ভালো না লাগলেও, ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।