ঢাকায় ভ্রমনকালীন ভোজন বিলাস পর্ব-৪। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আবহাওয়া একটু ঠান্ডা। গত কয়েকদিন প্রচন্ড গরম ছিলো। আজকের মেঘলা আকাশ দেখে খুব ভালো লাগছিলো। আজ আমার পরিবার নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা। আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিলো। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয়নি।
আজ আমার বোনের অবস্থা ভালো হওয়ায় চিন্তা করলাম আজ ঘুরে আসি। কিন্তু প্রতিদিনের মত দেরি করে ঘুম থেকে উঠায় বের হতেও আমাদের দেরী হয়ে গেলো। যখন আমরা কাপড় চোপড় করে তৈরি হয়েছি বাইরে যাওয়ার জন্য। হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। এভাবে বেশ কিছুক্ষন বৃষ্টি হওয়ার পর যখন বৃষ্টি থামল। তখন আমরা যমুনা ফিউচার পার্ক এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিন্তু বিধিবাম রওনা দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলো। সিএনজির ভিতরে বসে বৃষ্টিতে কিছুটা ভিজে গেলাম। শেষ পর্যন্ত যমুনা ফিউচার পার্কে আমাদের পৌছাতে পৌছাতে দুটা বেজে গেলো।
সেখানে পৌঁছে প্রথমেই একটি কাপড়ের দোকানে ঢুকলাম। সেখান থেকে আমার মেয়ের জন্য একটি গেঞ্জি কিনলাম। তারপর আরো কয়েকটা দোকান ঘুরার পরে আমার মেয়ে জানালো তার ক্ষুদা লেগেছে। আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো আজকে আমরা সুলতান'স ডাইনে কাচ্চি খাবো। সেই কোন পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে বের হয়ে সুলতান’স ডাইন এর দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখানেও সমস্যা বাইরে এসে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে সবার ক্ষুধা লেগে গিয়েছে। তখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম আমরা। সিদ্ধান্ত নিলাম ফিউচার পার্কের ফুডকোর্টে খাবো। তারপর আমরা আট তলায় যমুনা ফিউচার পার্কের ফুডকোর্টে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না যে কোন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবো।
পরে অনেকক্ষণ ঘোরাফেরা করে আর্সালান নামে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। সেখানে আমরা তিনজন তিন রকমের খাবার অর্ডার দিলাম। আমার মেয়ের জন্য অর্ডার করলাম চাইনিজ সেট মেনু। আমার স্ত্রীর জন্য অর্ডার করলাম মাটন হান্ডি বিরিয়ানি আর আমি নিলাম ছোলা বাটোরা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর খাবার চলে আসলো। তিনজনে খাওয়া শুরু করলাম। আমি আর আমার আমার স্ত্রী দুই ধরনের খাবারই দুজন ভাগ করে খেলাম। এই রেস্টুরেন্টে খাবারের দাম ছিল তুলনামূলক বেশি। কিন্তু সাদ তেমন আহামরি ছিলো না। আবার খুব খারাপও ছিলো না। খাওয়া-দাওয়া করে বিল মিটিয়ে সেই রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসলাম। আমাদের সর্ব মোট বিল হয়েছিল ৯৫০ টাকা।
এখানে একটা ব্যাপার আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটা রেস্টুরেন্টের সামনে একজন বা দুইজন দাঁড়িয়ে আছে। তারা ফুটপাতে হকারদের মত যাকে দেখছে তাকেই রেস্টুরেন্টে বসার জন্য অনুরোধ করছে। ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই বিব্রতকর মনে হয়েছে। আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার কোয়ালিটি যদি ভালো হয়। তাহলে মানুষকে জোর করে রেস্টুরেন্টে আনতে হবে না। মানুষ নিজ থেকেই সেখানে খেতে যাবে।
এই ছিল আমার আজকের ভোজন বিলাস। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeu7bMtmK6H5wsD2CFwpuo284mVAKuMo8rpv8AWFAX5pV/IMG_20210731_195547.png)
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ভাই আপনার দিনটা তো অনেক মজাই কেটেছে। পরবর্তী দিন গুলো আরো মজাই কাটে সেই দোয়া করি ভাই। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আনুমানিক 300 টাকার মধ্যে অনেক ভালো খাবার এবং কখনো ঢাকায় গেলে চেষ্টা করে দেখতে হবে। চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া যমুনা ফিউচার পার্কে কখনো যাওয়া হয়নি।ঢাকায় ছিলাম কিন্তু যখন থেকে বুদ্ধি বয়স হয়েছে। তারপর থেকে আর ঢাকা যাওয়া হয়নি। কখনো যদি সুযোগ হয় ঢাকায় যাব। তবে আপনার এই কথাটিতে একমত আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার যদি ভালো হয় কাস্টমার কে ডেকে আনতে হবে না। আসলেই ব্যাপারটা বিব্রতকর।তবে ভাইয়া অল্প দামে অনেক ভালো খাবার পাওয়া যায় বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ, ভাইয়া সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাদের ঢাকায় তো দেখছি আরসালান হোটেল আছে, আমাদের এখানেও প্রচুর আছে। আরসালান হোটেলের খাবারগুলো বেশ সুন্দর হয়। আপনাদের এই আরসালান হোটেলের খাবারগুলো বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে দেখে, এছাড়া ইন্ডিয়ান খাবারও আছে, বেশ মজার ।
দাদা প্রথমে মনে করেছিলাম কলকাতার আরসালান এর শাখা। কিন্তু পরে জানতে পারলাম আসলে তা না।মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি এই ফুডকোর্টে আসলে বুঝতে পারবেন না যে আপনি ইন্ডিয়ার কোন ফুড কোর্ট এ আছেন না বাংলাদেশের। কারণ বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট ইন্ডিয়ান ঘরানার খাবার তৈরি করছে।
দেখে আমার সেইরকমই মনে হচ্ছে।
অনেক সুন্দর ভাবে দিনটা অতিবাহিত করেছেন।আর রেস্টুরেন্ট এর নাম টা বেশ আনকমন ছিলো সব মিলিয়ে দারুন দিন পার করেছেন।শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
গতকালের মতো আজকেও কাঙ্ক্ষিত খাবারের দেখা পেলেন না। কিন্তু পরিবেশের উপর আর মানুষের হাত নেই কী আর করার। খাবার গুলো খুব ভালো ছিল মনে হচ্ছে। এবং সবমিলিয়ে দিনটা খুব ভাবে অতিবাহিত করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তিনজনের পছন্দ তিন রকমের ভালোই লাগলো।পরিবারের সাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি। সুলতান ডাইনে কাচ্চি খেতে না পারাটা একটু কষ্টের ছিল। ভাগ্যে যা আছে তা তো হবেই। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভাইয়া আপনার দিনটা দেখছি অনেক মজায় কেটেছে। আপনার জীবনে পরবর্তী দিনগুলো যেন এ রকম আনন্দে ভরে ওঠে এই দোয়াই ব্যক্ত করি। শুভকামনা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-- তারা ফুটপাতে হকারদের মত যাকে দেখছে তাকেই রেস্টুরেন্টে বসার জন্য অনুরোধ করছে।
এই ব্যাপারটি আমার কাছেও কেনো যেনো একদম অসহ্য লাগে। এসব রেস্তোরায় আমার ঢুকার ইচ্ছেটাই কেনো জানিনা চলে যায়।
তবে আপনার খাবার গুলো দেখেই লোভ লাগছে।এমন অনেক আছে, যাদের দাম হয় বেশি আর খাবার হয় মধ্যম মানের।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই।আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।