আরেক ভয়ংকর মহামারী ডেঙ্গু।(10% for dear @shy-fox)

আসসালামু আলাইকুম।

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।

ভয়ঙ্কর এক মহামারীতে আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এই ভয়ংকর মহামারীতে জর্জরিত। এরইমধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে এসে গেছে ডেঙ্গু নামের আরেক মহামারী। গত কয়েক বছর যাবৎ ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান রুপ দেশের মানুষ দেখছে। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। পাশাপাশি বড়রাও আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক লোক মারা গিয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। চারিদিকে শুধু মৃত্যুর সংবাদ। প্রিয়জন হারানোর বেদনা আর স্বজনদের আহাজারি। এসব দেখে মনটা খুবই ভারাক্রান্ত।

download.jpeg

ছবির সোর্স- লিংক

বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে চলেছে। কিন্তু এ নিয়ে কারো তেমন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। যখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়। তখন সরকারের পক্ষ থেকে নানারকম পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিন্তু এই পদক্ষেপ গুলি যদি ডেঙ্গু বিস্তারের আগেই নেয়া হতো। তাহলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না।

ডেঙ্গুর প্রকোপ এ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ঢাকার মানুষজন। ঢাকা একটি প্রচন্ড জনবহুল শহর। যার ফলে যে কোন মহামারী ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। ডেঙ্গু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়।

অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ আর সাধারণ জনগণের সচেতনতা ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ডেঙ্গু বিস্তার রোধে সর্বপ্রথম সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকে যদি তার বাড়ির এবং বাড়ির আশেপাশ পরিষ্কার রাখে। কোথাও যদি এই মৌসুমে পানি জমতে না দেয়। তাহলেই ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা অনেকটা সম্ভব। সেইসাথে সরকারি সংস্থাগুলো কে বিভিন্ন রকম গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে কিভাবে ডেঙ্গু নির্মূল করা যায়। আর সিটি কর্পোরেশন গুলিকে ডেঙ্গু নির্মূলে নানারকম কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নইলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যেভাবে বাড়ছে তাতে একসময় বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে ডেঙ্গু।

ডেঙ্গু রোধে যা যা করা উচিত-


বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে আশেপাশে সমস্ত জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

কোথাও কোনো প্যাকেট বক্স ফুলের টব বা অন্য কোন জিনিস যার ভেতরে পানি জমতে পারে। সেগুলিকে এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে তার ভেতরে পানি না জমে।

নির্মাণাধীন যে কোন স্থাপনা তদারকির দায়িত্বে যারা আছেন। তাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোথাও কোনো পানি জমে না থাকে।

সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত খাল, ড্রেন, অলি-গলিতে মশক নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করে ডেঙ্গু পুরোপুরি নির্মূলের জন্য গবেষণা করতে হবে।


এই অন্ধকার সময় কেটে যাবে। আবার আমরা সুস্থ স্বাভাবিক একটি পৃথিবী পাবো। এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আবার দেখা হবে অন্য কোনো লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok


আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।

Sort:  

আমাদের সকলের উচিত বাড়ির আসে পাশে যেন কোন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা।আমার মনে হয় আগের তুলনায় ডেঙ্গু মশার শরীর টা অনেক বড় হইছে। এখন মশা দেখলে মাছির মত লাগে😒 ভয় লাগে দেখে।

আল্লাহ ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ করো 🤲

ঠিকই বলেছেন ভাই।

 3 years ago 

মশার উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে আর সেই সাথে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বেড়েও চলেছে। প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মানুষের প্রাণহানিও হচ্ছে। পৌরসভার থেকে এসে মাসে একবার কি স্প্রে করে দিয়ে যায় তাতে কোনো কাজও হয় না।

সমস্যাই এটা দাদা। কেউ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে না।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67844.42
ETH 2429.36
USDT 1.00
SBD 2.35