☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
আমার বাংলাদেশের সমস্ত ভাই ও বোনদের জানাই বিজয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। 🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩। কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে আমি মোটামুটি টুকটাক পড়াশোনা করেছিলাম। তখন বুঝতে পেরেছিলাম আসলে নিজের মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য একটা গোটা দেশের মানুষ কিভাবে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। আসলে সেই সব মানুষের প্রশংসা লিখে বা বলে করা সম্ভব নয়। তারা দেশের জন্য যা কিছু করেছিল তা ছিল নিজের মাতৃভাষা রক্ষা করা এবং দেশের মা বোনের ইজ্জত রক্ষা করা। আসলে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কিছুই বলতে হবে। আমি জানি আপনারা আমার থেকে অনেক বেশিই জানেন এই বিষয়ে, তাই আমি আর বিস্তারিত লিখলাম না। আজকের প্রসঙ্গে ফিরে যাচ্ছি।
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আমার কাছে কলকাতা হল প্রেমের শহর, ভালবাসার শহর। আর এই জন্যই এই শহরটাকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। আপনারা তো সকলেই জানেন যে কলকাতায় দুর্গাপুজো কতটা বিখ্যাত। দুর্গাপূজোর ঠিক এক সপ্তাহ আগে থেকেই কলকাতায় উৎসবের ধুম পড়ে যায় এবং বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে থাকে আর অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটে সেখানে। কলকাতায় দুর্গাপুজো চলাকালীন অবস্থায় আমার মন সবসময় প্রফুল্ল থাকে এবং এই কয়েকটা দিন আমি সুন্দর করে উপভোগ করার চেষ্টা করি। খুব সম্ভবত ষষ্ঠীর দিন আমি আমার কয়েকজন বন্ধুর সাথে বেরিয়েছিলাম নর্থ কলকাতায় পূজো দেখার জন্য এবং সেখান থেকেই সাধারণত এই ফটোগুলো তুলেছিলাম আমি একটা পুজো প্যান্ডেল থেকে। আসলে দুর্গাপুরের সময় ঠাকুরের পূজো করা হয় এটা তো সত্যি কথা, তবে তার সাথে সাথে বিভিন্ন থিম তুলে ধরা হয় পূজা মণ্ডপে। যেগুলো সকলের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে।
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছি কাগজের তৈরি কিছু হস্তশিল্প, যেগুলো তৈরি করা হয়েছে খবরের কাগজ দিয়ে। মোটামুটি কলকাতার সব বড় বড় পূজা মন্ডপ গুলো ঘুরে যখন পাড়ার একটা ছোট মণ্ডপে পুজো দেখতে ঢুকেছিলাম তখন তাদের পুজোর থিমই ছিল কাগজের তৈরি হস্তশিল্প, যেগুলো দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। কাগজের তৈরি হস্তশিল্প গুলোর ভিতরে ছিল বুদ্ধমন্দির, কেদারনাথের শিব মন্দির, আইফেল টাওয়ার এবং গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রকৃতি তাছাড়া আরও অনেক বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল। তবে সব ফটো তুলতে পারিনি প্রচন্ড রকম ভিড়ের কারণে।
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আপনারা খুব ভালো করে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন কতটা সূক্ষ্ম এবং নিখুঁদ হতে করা হয়েছিল এই কাজগুলো। আসলে আজকের পোস্ট নিয়ে তেমন বিশেষ কিছু লেখার নেই এবং আমি কি লিখবো সেটাই বুঝতে পারছি না। যাইহোক তাহলে অন্য দু একটা কথা বলি। আসলেই পূজ মণ্ডপে যাওয়ার আমাদের একদমই ইচ্ছা ছিল না। কারণ কলকাতায় এত দূর্গা পুজো হয় যে এক দিক থেকে পুজো দেখা শুরু করলে শেষ করতে করতে সকাল হয়ে যায়। তাই আমাদের ইচ্ছা ছিল বড় বড় পুজো মণ্ডপ গুলো দেখার। তবে ওই সময় এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছিল যে মুষলধারে বৃষ্টি নেমে পড়ে। আর এজন্যই মূলত আমরা এই মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলাম। তবে ভিতরে ঢুকে হাতের কাজ গুলো দেখে খুব অবাক হয়ে যাই। আসলে আমরা দুর্গাপূজার সময় বড় পূজা মন্ডপ গুলো নিয়ে এতটাই মত্ত অবস্থায় থাকি যে, ছোট মন্দিরগুলোও অনেক সুন্দর থিম করে পুজো করা এটা আমরা ভুলে যাই।
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।
🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন,মাতৃভাষা রক্ষার জন্য শহীদ বাঙালিরা যে আত্মত্যাগ করেছেন টা হয়তো বলে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।আপনি যেহেতু পড়েছেন বই এ অনেক কিছুই মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন।কাগজের তৈরি হস্তশিল্প দেখে চোখ আটকে গেলো একদম ভাইয়া।প্রতিটি হস্তশিল্পের ফটোগ্রাফি ভালো হয়েছে।আপনি সামনে থেকে দেখেছেন আরও ভালো ছিল নিশ্চয় দেখতে।এই হস্তশিল্পিদের গুনকে সম্মান জানাই।খুবই দারুন ছিল প্রতিটি শিল্প।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ফটোতে কেমন লাগছে জানিনা, তবে সামনে থেকে দেখতে দুর্দান্ত ছিল। আমি তো অনেক সময় হতবাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম সেখানে।
দারুণ দাদা,আমি তো জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম এসব ছবি দেখে।সবকিছু এত সুন্দর যে বলার বাইরে।আর বড় কথা হলো এত্তসব দেখতে দেখতে আমার ইচ্ছে হচ্ছে ওখানে চলে যাই।কাগজের তৈরি হস্তশিল্পগুলো অসাধারণ দেখাচ্ছে,এত গুণী মানুষদের কারণেই আমাদের মাঝে এত দারুণ জিনিস এখনো বিদ্যমান আছে।
চলে আসেন আপু, তাহলে সামনাসামনি দেখতে পারবেন। হা হা হা...
আপনার পুজো মন্ডপের ছবি গুলো অনেক সুন্দর লাগছে। সত্যি মানুষ কতো সুন্দর কারুকাজ কাজ করে যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি ভাইয়া যেকোন অনুষ্ঠানে মন সব সময় প্রফুল্ল থাকে।আসলে আমরা বড় বড় পূজো মন্ডপ দেখে ভুলে যায় যে ছোট মন্ডপে অনেক সুন্দর পূজো হয়, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আসলেই তাই, ছোট ছোট মণ্ডপ গুলো এত সুন্দর করে সাজায় যে অনেক সময় বড় পূজা মণ্ডপও তার কাছে হার মেনে যায়।
আপনি বলছেন ছোট পূজা মন্ডপ, কিন্তু এত সুন্দর হস্তশিল্প দেখে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। ঠিক বলেছেন আমি একদম ভালোভাবে দেখলাম প্রত্যেকটা কাজ একদম নিখুঁত হাতে করা। আমি ভাবছি কোন গুনি শিল্পীরা এগুলা তৈরি করেছে। তাদের হাতে কতটা জাদু রয়েছে। আর কত বেশি পরিশ্রমের মাধ্যমে এগুলো তৈরি করেছে। আমি এর আগে এরকম পেপার দিয়ে একটা মোটরসাইকেল তৈরি করেছিলাম। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম এই ধরনের কাজ করা কতটা কঠিন। আপনার আজকের পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
এই ধরনের কাজ আসলেই খুব কঠিন। তবে দক্ষতার সাথে করতে পারলে হয়তো কিছুটা আয়ত্ত করা যায়। তবে এগুলো যারা করেছে, আসলে তাদের অনেক বছরের প্রচেষ্টার ফল।
আসলে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল এগুলো। ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
খবরের কাগজ দিয়ে এত এত হস্তশিল্প করা যায়? আমি তো অবাক হয়ে গেলাম।আপনি সব বড় বড় দূর্গাপুজার মন্ডোপ দেখার জন্য এতটা আগ্রহী। বৃষ্টি না নামলে হয়ত এই মন্ডপে ঢোকাও হতো না আর দেখাও হতো না। মানুষ কতটা সৃজনশীল হলে এমন কাজ উপহার দিতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।শেয়ার করে দেখে সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
যদি বৃষ্টি না নামতো তাহলে হয়তো এই সুন্দর জিনিসগুলো আমার চোখের আড়াল হয়ে যেত। যাই হোক শেষ পর্যন্ত যে করেই হোক দেখতে পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
কাগজের তৈরি হস্তশিল্প গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে ছোট ছোট পুজো প্যান্ডেলের এই থিম গুলো খুবই ভালো লাগে। কাগজের তৈরি বুদ্ধমন্দির, কেদারনাথের শিব মন্দির, আইফেল টাওয়ার এবং গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রকৃতি দেখে হস্তশিল্পের প্রতি আরো ভালোবাসা তৈরি হল। এই মন্ডপে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও বৃষ্টির কারণে আপনাকে যেতে হয়েছিল আর গিয়ে ভালো কিছুই দেখতে পেয়েছিলেন। আপনি ভালো কিছু দেখতে পেয়েছিলেন বলেই আমাদেরও এই গুলো দেখার সুযোগ হলো।
পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য ধন্যবাদ। তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।