ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রামে।। মে -২৫/০৫/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
আমাদের ইউনিভার্সিটিতে সারা বছরই কোন না কোন প্রোগ্রাম লেগে থাকে। তবে সেটা যে শুধু আমাদের ডিপার্টমেন্টে হয় সেটা নয়, অন্যান্য ডিপার্টমেন্টগুলোতেও সারা বছর প্রোগ্রাম লেগে থাকে। অর্থাৎ আজকে যদি আমাদের প্রোগ্রাম হয় তাহলে দেখা গেল আগামীকাল অন্য কোন ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম হচ্ছে। অর্থাৎ ইউনিভার্সিটিতে গেলেই বোঝা যায় এটা কি ইউনিভার্সিটি নাকি আনুষ্ঠানিক ভবন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিশেষ ব্যাপার রয়েছে কখনো বোরিং লাগে না সেখানে গেলে। এত সুন্দর ক্যাম্পাস এবং ভেতরটা পুরো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ময়। যাইহোক আমাদের একটা সেমিনার হওয়ার কথা ছিল আগের সপ্তাহে। তবে আবহাওয়া ঠিকঠাক না থাকার কারণে সেই ডেট পিছিয়ে এই সপ্তাহে করা হয়েছিল। আমাদের ডিপার্টমেন্টে সেমিনার হলে সাধারণত ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এবং দেশের বাইরের নামকরা ইউনিভার্সিটি থেকে বড় বড় লেকচারার আসেন তাদের গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য আর। আমাদের সেটা ধৈর্য ধরে মনোযোগ সহকারে শুনতে হয়। যদিও এই বিষয়ে আমি তেমন কোন কিছু বিশেষ বুঝি না। কারণ তারা যা বলেন তার অধিকাংশ কথাই আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। এজন্য অনেকটা পেছনের দিকে গিয়ে বসি।
যেহেতু আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম ছিল তাই সমস্ত কাজ আমাদেরকেই গোছাতে হচ্ছিল। আমাদের HOD তো আমার উপর প্রচন্ড রেগে থাকেন সব সময়। কারণ আমি এমনিতেও ইউনিভার্সিটি যাই না, তার উপর আবার কোন কাজে আমার বিশেষ মনোযোগ নেই। শুধুমাত্র পরীক্ষার সময় আমার দেখা পাওয়া যায়। এজন্য আমাকে আগে থেকেই বলে দিয়েছিল যে তুমি সবার আগে আসবে ভার্সিটি। তারপর পুরো ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব তুমি নেবে। অর্থাৎ গোছানো থেকে শুরু করে সবকিছু অ্যারেঞ্জমেন্ট তোমাকেই করতে হবে। এবার দায়িত্ব যদি একজনের মাথার উপর দিয়ে দেয়া হয় তাহলে সেটা যে কতটা টেনশন বা প্রেসার সেটা আমি ঠিকই বুঝতে পারছিলাম। তবে আমিও বাপু চালাক কম না। আমিও সেই টেনশন কে ৪-৫ জনের ভিতর ভাগ করে নিলাম এবং প্রত্যেককেই কিছু না কিছু দায়িত্ব দিলাম। তবে আমার একটা বিশেষ অ্যাডভান্টেজ ছিল এক্ষেত্রে যে, আমার বাড়ি থেকে ইউনিভার্সিটে যেতে দেড় ঘন্টার মত সময় লাগে। এজন্য আমি বলেছিলাম যে আমার হয়তো আসতে একটু দেরি হতে পারে ট্রেনের সমস্যার কারণে, তাই তোরা আগে থেকে সামলে নিস।
যাইহোক আমি একটু দেরি করেই গেছিলাম সাড়ে দশটা নাগাদ আমি ইউনিভার্সিটি পৌছাই। যেখানে আমার যাওয়ার কথা ছিল সকাল 9 টায়। তবে গিয়ে দেখি কোন কাজ এখনো গোছানো হয়নি আর যাদের আসার কথা তাদের আসতে আসতে বারোটার বেশি হয়ে যাবে। যদিওবা আমরা আগের দিন কিছুটা কাজ গুছিয়ে রেখে ছিলাম, এজন্য আমাদের খুব বেশি চাপ নিতে হয়নি। মোটামুটি সাড়ে বারোটা নাগাদ আমাদের প্রোগ্রাম শুরু হয় এবং ডিপার্টমেন্টের সকল ছাত্র-ছাত্রী এসে উপস্থিত হয়। এরপর তো শুরু হয় লেকচার একটানা আড়াই ঘন্টা লেকচার দেওয়ার পর টুকটাক খাওয়া দরকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তারপর আবার শুরু হয় লেকচার একটানা পাঁচটা পর্যন্ত। আসলে আমার পক্ষে এত সময় ধৈর্য ধরে কথা শোনা সম্ভব নয়। এজন্য মাঝেমধ্যে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের ইউনিভার্সিটি ক্লাস গুলো এরকম হয় যে, যদি সকাল দশটায় একটা ক্লাস হয় তাহলে দেখা গেল দুপুর দুটোয় গিয়ে আর একটা ক্লাস, আবার সাড়ে তিনটায় একটা ক্লাস অর্থাৎ মাঝখানে অনেক সময় পাওয়া যায় কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেই ব্যাপারটা হচ্ছিল না। যাইহোক পুরো প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার আগেই আমি বাড়ি চলে এসেছিলাম। তারপর কি হয়েছিল সেটা আমি আর জানিনা।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। |
আপনাদের ইউনিভার্সিটিতে তো সারাবছর বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম লেগেই থাকে দেখছি। ভিতরের পরিবেশটা বেশ গোছালো এবং পরিপাটি। তবে আমি মনে করি লেকচারার দের কথা শুনলে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। আপনি বেশ চালাক তো ভাই, নিজের দায়িত্ব কয়জনকে ভাগ করে দিলেন। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায় সেটা তো ঠিক আছে, তবে এত ধৈর্য ধরে কে শুনবে বলেন তো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ার জন্য।
প্রথমেই এই লাইনটা পড়ে অনেক মজা পেলাম, হা হা হা।
একটু ভুল হয়ে গেল মনে হয় দাদা, আমি তো জানতাম তুমি একজন ভালো ছাত্র।
HOD সমস্ত কাজ তোমার উপরে দিয়ে দিয়েছিল শুনে অনেক হাসি পেল। ভালোই করেছে, যেমন ইউনিভার্সিটি যাও না, তেমনি একবারে উসুল করে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।সত্যিই খুব বিরক্ত কর লাগে একটা না লেকচার শুনতে। যাই হোক ,পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রময় তো হবেই। অনেক সুন্দর শুনেছি ইউনিভার্সিটি টি, একবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
আসলে আমি অনেক বেশি অলস এজন্য ডিপার্টমেন্টের কাজ খুব বেশি একটা করতে চাই না, অন্যকে দিয়েই করানোর চেষ্টা করি। আর যদি কখনো সময় পাও তাহলে অবশ্যই ইউনিভার্সিটি ঘুরে আসতে পারো, আশা করি অনেক বেশি ভালো লাগবে।