কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন । প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন।সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড রকম ব্যস্ততার সাথে দিন কাটছে আমার। একতো মাস্টার্স এর জন্য বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ফরম ফিলাপ করা। অন্যদিকে নানাবিধ ব্যক্তিগত কাজের চাপ। এবং তারপর আবার দুটো গ্রুপে নিয়মিত পোস্ট করা, কমেন্ট করা এবং discord এ একটিভ থাকা। বলতে গেলে নিজেকে একটু সময় দেবো সেটাই হয়ে উঠছে না। তারপর আবার একটু সময় করে যে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেরোব সেটারও অপশন নেই। কারণ বন্ধুবান্ধব সব যে যার বাড়িতে ফিরে গেছে। তবে গতকাল বিকালটা খুব বোরিং লাগছিল আমার কাছে, তাই মনে হলো বাইরে দিয়ে একটু ঘুরে আসা যাক একা একা।

একা ঘুরতে বেরোনো আমার কাছে কেমন জানি একটা লাগে। তবে সাথে যদি একজন থাকে তাহলে বেশ ভালো হয়। তবে আমি চাইলে হয়তো কাউকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারতাম। তবে মনে হলো, যাক আজকে একটু একা ঘুরে আসি। যে কথা সেই কাজ মোটামুটি বিকাল সাড়ে পাঁচটায় হালকা পাতলা রেডি হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম। যেহেতু প্রচন্ড খেতে পছন্দ করি তাই মনে হল আজ মৌচাকের স্পেশাল কিছু খাবো ওখানে গিয়ে। আমার বাড়ি থেকে মোটামুটি মৌচাকের দূরত্ব তিন থেকে চার কিলোমিটার। তবে ইচ্ছা হলো না ট্রেন ধরে যায় বা গাড়ি নিয়ে যাই। কি জানি মন হল আজ হেটেই যাব। একা একা হাঁটছি আর রাস্তার দুধ আর এর মানুষজন এবং দোকানপাট দেখছি। সত্যি কথা বলতে এক আলাদা অনুভূতি, একা একা ঘুরতে বেরোনো আমার কাছে মনে হলো । আশেপাশের সবকিছু অনেক সুন্দর করে অবজার্ভ করা যায়। যেটা হয়তো বন্ধুদের সাথে আসলে হতো না।

যাই হোক আশপাশ দেখতে দেখতে মোটামুটি আমার মৌচাকে পৌঁছাতে এক ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি লম্বা ভিড়। যেহেতু খুব ফেমাস দোকান সেহেতু ভিড় হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। যাই হোক একটু অপেক্ষা করেই কাউন্টারে গিয়ে আমার জন্য একটা দই বড়া এবং একটা কোলড্রিংস অর্ডার করলাম। খুব বেশি দাম হয়নি মাত্র ৭২ টাকার মতো হয়েছিল বিল। দইবড়ার সাথে আপনারা সবাই সুপরিচিত কিনা ঠিক বলতে পারবো না। তবে দই বড়া সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু কথা বলি। দই বড়াতে আসলে যে বড়াটা ব্যবহার করা হয় তা বিউলির ডাল দিয়ে তৈরি করা এবং তার সাথে যুক্ত করা হয় এলাচ এবং মৌরি, আদা এবং হালকা নুন। তারপর এটাকে ভালো করে ফেটে নিয়ে তেলে ভেজে রাখা হয়। এবং ঠান্ডা হওয়ার আগেই সেটাকে জলে চুবিয়ে রেখে দেওয়া হয়। এবং পরিবেশন করার সাথে সময় এর সাথে টক দই, মিষ্টি চাটনি, পাপড়ি চাট ধনেপাতা, চানাচুর এবং নানা ধরনের ভাজা মসলা ব্যবহার করে পরিবেশন করা হয়।

মোটামুটি বিলটা ধরিয়ে দিতেই পাঁচ মিনিটের ভিতর আমার কাছে চলে আসলো আমার পছন্দের দই বড়া। আমি অনেক জায়গায় গিয়ে দই বড়া খেয়েছি কিন্তু আমাদের বাড়ির পাশের মৌচাকের দইবড়ার সাথে অন্য কোথাওর দই বড়ার তুলনা হয় না। একদম পারফেক্ট এবং দামেও রিজনেবল। অন্যদিন যখন এখানে খেতে আসি কোন বন্ধুর সাথে বা কারো সাথে তখন দুজনে গল্প করতে করতে খাওয়া হয়। এই জন্য আজ একা লাগছিল খুব। তবে একা খাওয়া এবং একা ঘুরার অনুভূতিটা আমার কাছে খুব সুন্দর ছিল গতকাল। যদিও এখানকার খাবার আমি নিয়মিতই খাই তবে শুধু আপনাদের দেখানোর জন্যই আজকের পর্ব। মৌচাকের রসগোল্লা, কালোজাম এবং ছানার সন্দেশ খুব বিখ্যাত। মাঝে মাঝে এগুলোও খাই আমি এখানে এসে।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।