রথের মেলা থেকে তোলা কিছু বিখ্যাত খাবারের ফটোগ্রাফি।। জুলাই -০১/০৭/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
আসলে এই খাবারগুলোকে বিখ্যাত কেন বললাম, এগুলো তো কমন খাবার। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে এই খাবারগুলো ছাড়া আমি আজ অব্দি রথের মেলায় এমন কোন ইউনিক খাবার উঠতে দেখলাম না যেটা নিয়ে আসলে কথা বলা যায়। এই একই ধরনের খাবার সারা জীবন রথের মেলায় দেখে আসছি। তাই আমার কাছে ব্যাপারটা বিখ্যাত হয়ে গেছে এখন। হা হা হা... আমাদের কাছে এখন রথের মেলা মনেই হয়ে গেছে হয় জিলাপি, না হয় পাপড়, অথবা খুব বড় জোর হলে গজা। তাছাড়াও যারা রথের মেলায় ঘুরতে যায় তারা বাড়ি ফিরে আসার সময় এই জিনিসগুলোই কিনে নিয়ে আসে। তাছাড়া তো বিশেষ কোনো খাবার দাবার কিনতে কাউকে কোন সময় দেখলাম না কাউকে। তবে হ্যাঁ যদি বাচ্চাকাচ্চারা সাথে যায় তাহলে হয়তো বিভিন্ন খেলনার জিনিস আর ইয়াং বয়সের মেয়েরা এবং মহিলারা কেনাকাটা করে। তবে খাবার জিনিস হিসেবে এগুলোই ফিক্সট।
আমি শুধুমাত্র প্রথম দিন রথের মেলায় গিয়েছিলাম। এরপর আসলে আর যাওয়ার মত সাহস হয়নি। কারণ এর আগের পর্বেই আপনাদের বলেছিলাম যে এত পরিমাণে ভিড় ছিল সেখানে যে আমি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না, আর ফটো তোলার কথা তো বাদই দিলাম। খুব ইচ্ছা ছিল যে এই খাবারের ফটোগুলো খুব সুন্দর করে তোলার চেষ্টা করব। তবে লোকে এত পরিমাণে ঠেলাঠেলি করছিল আমায় যে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠিকমতো ফটো তুলব সেটাই পারছিলাম না। তারপরও মোটামুটি নিজেকে একটু শক্ত করে দাঁড় করিয়ে কয়েকটা ফটো তুলেছিলাম। খুব বেশি একটা ভালো হয়নি তবে আপনারা বুঝতে পারবেন এটুকু বলতে পারি।
এই খাবারটাকে তো সবাই চেনেন। এটা হল রথের মেলার সেই বিখ্যাত রসালো জিলাপি যেটা বছরের অন্য কোন সময় খুব বেশি একটা দোকানে পাওয়া যায় না।আসলে পাওয়া যায় তবে এত টেস্টি হয় না আর কি।
এগুলো হলো নিমকি এবং গজা। গজা সাধারণত দুই ধরনের হয় একটা হল চিনির গজা অন্যটা গুড় দিয়ে বানায়। আমার কাছে গুড় দিয়ে বানানো গজা টা অনেক বেশি টেস্টি লাগে খেতে।
রথের মেলায় গরম গরম জিলাপি ভাজার একটা দৃশ্য। আমি শুধু চিন্তা করছিলাম এই গরমের ভিতর আগুনের পাশে বসে ছিলেন কিভাবে উনি।
এখানে দেখা যাচ্ছে নিমকি এবং চিনি দিয়ে তৈরি করা গজা। তবে চিনি দিয়ে তৈরি করা গজা আমার কাছে অত বেশি ভালো লাগে না খেতে।
খেজুরের গুড় বা আখের গুড় দিয়ে তৈরি করা গজা যেটা আমার খুবই পছন্দ। মোটামুটি দোকানে দেখলেই দুই একটা কিনে খাওয়ার চেষ্টা করি।
ফটোতে যে লোকটাকে দেখতে পাচ্ছেন ওনার ব্যবহার অতি জঘন্য ছিল। আমি শুধু দোকানের সামনে তাকিয়ে দেখছিলাম যে উনি লোকের সাথে কিভাবে খারাপ ব্যবহার করছেন।
এটা হল জিলাপি এবং মোটা গজার ফটোগ্রাফি। আসলে এই মোটা গজাগুলো কিভাবে যে বানায় আমি বুঝতে পারি না। তবে খেতে এত টেস্টি যে বলে বোঝানো যাবে না।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | বারাসাত, কলকাতা। |
রথের মেলায় গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো যে কেউ খেতে চাইবে। এধরনের খাবার গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। চমৎকার চমৎকার খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এই জায়গার খাবার গুলো দেখতে খুব লোভনীয় হয় এটা সত্যি কথা। তবে খাওয়ার পরে সেটার প্রতিক্রিয়া খুব বেশি একটা ভালো হয় না।
মেলাতে অনেক আনন্দ করেছেন আপনি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেকদিন মেলাতে বেড়াতে যাইনি কিন্তু মেলাতে গেলে অনেক আনন্দ ফুর্তি করা যায়।রথের মেলা থেকে তোলা কিছু বিখ্যাত খাবারের ফটোগ্রাফি। অনেক সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন যে খাবারগুলো আমার অনেক প্রিয় যেমন জিলাপি খেতে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি সেই সাথে গুড়ের খুরমা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
খুব বেশি একটা আনন্দ করতে পারিনি ভাই। আসলে এত পরিমাণে ভিড় ছিল রথের মেলায় যে অল্প সময়ের ভেতর সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম গরমের কারণে।
আপনার ব্লগের মাধ্যমে যতগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলাম সবগুলোই গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। গুড়ের জিলাপি,খেজুরের গুড়ের গজা,তারপরে দেখলাম নিমকি সবগুলোই আমার খুব প্রিয় খাবার। ধন্যবাদ দাদা।
সবগুলোতে গুড় দেয়নি ভাই, এরা কিছু কিছু খাবারে রং মিশাই এজন্য অনেকটা ওইরকম লাগে।
এ খাবার গুলো হচ্ছে যে বাঙালিদের জন্য অনেক ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। এই জিলাপি, গজা বেশ মজার লাগে আমার কাছে। এইখানেও যখন বৈশাখী মেলা হই তখন এই ধরনের খাবার গুলো বেশি মিলে। সবাই মেলাতে ঘোরাফেরা করার পরেই বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জন্য খাবার গুলো নিয়ে আসেন। আপনি ঠিক বলছেন এমন ভিড়ের মাঝে আসলে ঘোরাফেরা করতে ভালো লাগে না। তবে অনেক সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো নিলেন বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে।
এগুলো ঐতিহ্যবাহী খাবার সেটা তো ঠিক আছে আপু। তবে তারপরও কিছু কিছু ভ্যারিয়েশন আনার দরকার আছে খাবারের। সেটা তো আমি কখনোই দেখতে পাই না এখানে।
ভাইয়া রথ মেলায় মানে কখনো যাওয়া হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন মেলায় গিয়েছি, অনেকটা সেইরকমই। মিষ্টি মিষ্টি রসালো জিলাপি ভাজা ,গজা ,খাজা বিভিন্ন জিনিসের মেলা। দেখে মনে হচ্ছে রত মেলা দেখো উপভোগ করেছেন ।ঠিক বলেছেন ভাইয়া ওরা গরমের ভিতর খুব কষ্ট করে এগুলো ভাজছে, কারণ এটা তো ওদের ব্যবসা কষ্ট করতেই হবে।
খুব বেশি একটা উপভোগ করতে পারেনি আপু। আসলে এখানে এত ভিড় ছিল যে ১০ মিনিটের ভিতর বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম।
ঠিক বলেছ, রথের মেলায় এই কমন খাবার গুলোই এখন বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। এই খাবারগুলো ছাড়া খুব একটা বেশি অন্য দোকানগুলোতে ভীড়ও দেখি না। গুড়ের গজা খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে আর পাপড় গুলোও খেতে বেশ ভালো লাগে। মোটা গজাগুলো আমার মনে হয়, ময়দা আর চিনির রস দিয়ে বানায় তবে ঠিকঠাক জানিনা।
আমি তো যতবারই রথের মেলায় যাই এইগুলো ছাড়া অন্য কোন খাবার তেমন চোখে পড়ে না। তবে আমার কাছেও গজা অনেক ভালো লাগে, কিন্তু পাপড় খুব বেশি একটা খাই না।