বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডা এবং গল্পে।। জুলাই -১৮/০৭/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ আমি একটু গিয়েছিলাম শপিংমলে টুকটাক শপিং করার জন্য। তবে ওখানে গিয়েই দেখি যে আমার বেশ কয়েকজন পুরনো বন্ধু তারাও শপিং করতে এসেছে। অনেকদিন পর দেখা হওয়ার ফলে সবাই আসলে খুব খুশি হয়েছিলাম তবে সেখানে অত বেশি কথা না বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে কোন একটা ছোটখাটো ক্যাফেতে গিয়ে বসবো যাতে করে সেখানে গল্প করা যায়। বর্তমানে আমাদের বারাসাতে ব্যাঙের ছাতার মত ছোট বড় ক্যাফে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে চারিদিকে। সুতরাং এখন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেই যে কোন জায়গায় আড্ডা মারার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা যায়। আমরা টোটাল চারজন ছিলাম এর ভিতর একজন আমার খুবই কাছের বন্ধু ছিল আর একজন আমার স্কুল লাইফের বন্ধু এবং অন্য একজন ছিল যাকে আসলে আমি চিনি না তবে মোটামুটি কথা বলতে বলতে বেশ কিছু সময়ে ভিতরে ফ্রি হয়ে গিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের বারাসাতে একটা ক্যাফের বেশ সুনাম শুনছিলাম ওখানকার চা এবং খাবার দাবার নাকি বেশ ভালো হয়। এজন্য সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে ওখানে গিয়েই কিছু সময় বসা যাক।
আসলে আমাদের কেনাকাটা কমপ্লিট করতে করতে প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে গেছিল। এরপর আমরা ওই ক্যাফে খোলা পাব কিনা সেজন্য অতি দ্রুত গাড়ি নিয়ে সেখানে বেরিয়ে গেলাম। তবে উনাদের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম যে এই ক্যাফে এগারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে সুতরাং কোন সমস্যা নেই এখানে বসে আড্ডা মারা যাবে। আসলে ওই রাতেও সেখানে প্রচুর লোকের ভিড় ছিল। আমরা তো প্রথমে গিয়ে কোন সিটই পাইনি। বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর তারপর এক জায়গায় বসার মত পরিস্থিতি তৈরি হল। এরপর কথা শুরু হলো কে কি খাবে সেটা নিয়ে। তবে আশ্চর্যকর বিষয় হলো যে চা ছাড়া কেউ কোন কিছু খেতে চাইলো না। তাদের নাকি বাড়ি গিয়ে আবার খেতে হবে। অন্য দিকে এক বন্ধুর বউ নাকি বাড়িতে তার জন্য রান্না করে নিয়ে বসে রয়েছে সুতরাং ভারী কোন খাবার অন্য কোন একদিন খাওয়া যাবে শুধুমাত্র চা খেতে খেতে আড্ডা মারা যাক সেই কথা উঠলো। যদিও আমিও তাতে সহমত পোষণ করলাম। আমাদের তো আসলে গল্প করাটাই মেইন উদ্দেশ্য ছিল। মোটামুটি চায়ের অর্ডার দিতে দিতে আমাদের সামনে চা নিয়ে উপস্থিত হয়ে গেল।
যেহেতু আমি রাতের বেলা দুধ চা খাব না তাই আমার জন্য একটা রং চা অর্ডার করলাম এবং বাকিরা একজন রং চা আর অন্য একজন দুধ চা এর কথা বললো। এরপর আসলে শুরু হল আমাদের জীবনের গল্প। কে কোথায় কি করছি, কার জীবনে কি সমস্যা, সবকিছু নিয়েই আসলে গল্প হচ্ছিল। সত্যি কথা বলতে গল্প শুরু হলো সেই স্কুল লাইফ থেকে। কে কার সাথে প্রেম করতো, কাকে কার ভালো লাগতো, সেই সব কথা। তারপর আবার শুরু হলো যে স্কুলের রাগী শিক্ষক এবং রাগী ম্যাডামদের নিয়ে। আমাদের সাথে কি রকম রাগ দেখাতো আর আমরা কি করে সেখান থেকে চালাকি করে বেরিয়ে আসতাম। সত্যি কথা বলতে স্কুল লাইফের সেই দিনগুলো হঠাৎ করে চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। মোটামুটি আমরা ঘন্টাখানেক সেখানে বসে আড্ডা মেরে তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা রাস্তাতে আসতে আসতে মোটামুটি হাসাহাসি এবং গান গাইতে গাইতে কিছু দূরে এসেছিলাম। তারপর যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেলাম। সত্যি কথা বলতে অনেকদিন পর খুব সুন্দর একটা দিন কাটিয়েছিলাম গতকাল।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | বারাসাত, কলকাতা। |
দাদা আপনার পোস্ট পড়ে তো সেই অতীতে চলে গেলাম। বন্ধু হলে তো আর কথায় নেই। গান মাস্তি আর আড্ডায় কাটিয়ে দেওয়া যায় বেশ কিছুটা সময়। বন্ধুদের সাথে সেই অতীতের স্মৃতিচারন। আহ্ কি সুন্দর সময়ই না পাড় করলেন। তার সাথে আবার মালাই চা। বেশ সুন্দর আর আনন্দময় কিছু সময় কাটালেন দাদা।
এক সময় আমিও আসলে আপু বন্ধুদের সাথে অনেক বেশি আড্ডা মারতাম, চা খেতে যেতাম। তবে সেই সময়টা এখন একেবারে নেই বললেই চলে। অনেকদিন পর ওই সময়টা হাতের কাছে পেয়ে খুব এনজয় করছিলাম। পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডায় বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। আসলে বন্ধুদের সাথে চা খাওয়ার আড্ডা বেশ জমে উঠে। রং চায়ের চুমুকে আর বন্ধুদের সাথে গল্পে মেতে উঠেছেন ভাই। চা দেখে তো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে ভাই। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
চা আসলে আমি খুব বেশি একটা খাই না, বন্ধুদের সাথে থাকলে মাঝেমধ্যে একটু খাওয়া হয়। তবে ঐদিন সত্যিই খুব এনজয় করেছিলাম আমি।
আসলে প্ল্যান করলেও অনেক সময় সেটা হয়ে উঠে না। তাই হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘুরাঘুরি এবং রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে যাওয়াটা আমি খুব পছন্দ করি। যাইহোক শপিং করতে গিয়ে পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ার পর, একটি ক্যাফেতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করার পাশাপাশি বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছেন দেখছি। আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে খাওয়া দাওয়া করতে এবং আড্ডা দিতে সত্যিই বেশ ভালো লাগে। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার আসলে আজ পর্যন্ত কোনদিনও ভাই প্ল্যান করে কোন কিছু হয়নি। হঠাৎ করেই যা হবে ওটাই। তবে বন্ধুদের সাথে অনেকদিন পর দেখা হয়ে সত্যিই অনেক এনজয় করেছিলাম। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলেই আসলে আমার সার্থকতা ভাই।