জুতোর দোকানে হই হুল্লোড়।। আগস্ট -০১/০৮/২০২৩

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

জুতো কেনার ক্ষেত্রে আমি সব সময় বেশ ভালো রকমের সেনসিটিভ অর্থাৎ আমার জুতোর কালেকশন সব সময় একটু অন্যরকম হয়। তবে এবার কিন্তু আমি জুতো কিনতে যাইনি, গিয়েছিলাম আমার এক বন্ধুর জন্য জুতো কিনতে কলকাতা চাঁদনী চকে। ওখানে বেশ বড় দুটো শোরুম রয়েছে একটা বাটার এবং অন্যটা শ্রীলেদার্সের। তবে এই জায়গার একটা বিশেষত্ব রয়েছে, এই জায়গায় কেনাকাটা করতে বেশিরভাগ বাংলাদেশী লোকজন আসে এবং মোটামুটি ওখানে গেলেই বাংলাদেশের মানুষ সামনে পড়বেই। যেটা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া বাংলাদেশি মানুষের ব্যবহার এবং কথাবার্তা যথেষ্ট ভালো। তাদের সাথে কথা বলেও কেন জানিনা একটা মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। যাইহোক আমার জুতোর কালেকশন দেখে আমার বন্ধুরা সব সময় অনুপ্রাণিত হয় এবং বলে যে আমি যখন জুতো কিনতে যাব তখন যদি আমার সাথে একটু পারিস তাহলে যাস। এতে করে আমার একটু সুবিধা হয় আর কি। যাই হোক সবার কথা না রাখলেও খুব কাছের কিছু বন্ধুদের কথা অবশ্যই রাখার চেষ্টা করি আমি।

InShot_20230729_141701643.jpg

20230614_165126.jpg
যাইহোক জুতোর দোকানে হই হুল্লোড় এই টাইটেল দেয়ার কারণ হলো আমরা কিন্তু জুতোর দোকানে গিয়ে রীতিমতো ঝামেলা বাধিয়ে দিয়েছিলাম। শুধুমাত্র এই এক দোকানে নয় মোটামুটি জুতো কিনতে গেলেই সব দোকানে একটু হলেও ঝামেলা বাঁধে আমাদের। যদিও তার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। তবে সেটা যদি পারি আস্তে আস্তে শেয়ার করে দিচ্ছি। যাই হোক আমরা জুতো কেনার জন্য দমদম থেকে ট্রেন ধরে প্রথমে চাঁদনী চক স্টেশনে নামলাম। এরপর হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছুটা এগিয়ে যেতেই বাটা শোরুম এবং তার পাশেই রয়েছে শ্রীলেদার্স। যদিও শ্রীলেদার্সের জুতোর দাম একটু কম হয় তবে বাটায় জুতোর কালেকশন অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে মাঝে মাঝে। তাছাড়াও এই জায়গার জুতোগুলো বেশ টেকসই অর্থাৎ অনেকদিন পর্যন্ত পরা যায়। গত বছর ঠিক এই সময়টাতে এসে ঠিক এই দোকান থেকে আমি এক জোড়া জুতো নিয়ে গেছিলাম যেটা এখনো পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় ব্যবহার করছি সুতরাং এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে বাটার জুতো অনেক বেশি টেকসই হয়। যাই হোক আমাদের অতি চেনা পরিচিত দোকান তাই আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম সেই কাঙ্খিত জুতোর দোকানে। তবে অনেকটাই অবাক হলাম যে গত বছরের তুলনায় এই বছর জুতোর কালেকশন কেন জানি না এখনো পর্যন্ত আসেনি। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তর দিল যে পুজোর কালেকশন এখনো পর্যন্ত পৌঁছে পারেনি, তাই আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

20230614_164913.jpg

20230614_164400.jpg
এদিকে আমার বন্ধু আবার চলে যাবে ভোপাল। সুতরাং তার জন্য তোর এক মাস ওয়েট করা যাবে না। এজন্য সেখানে যা ছিল তার ভিতরে টুকটাক করে পছন্দ করার চেষ্টা করলাম। তবে তারা প্রথমেই এমন এমন জুতো দেখানো শুরু করল যেটা আসলে পছন্দ হওয়া তো দূরের কথা ওটা ফ্রিতে দিলেও কেনা যায় না। আসলে ওই জুতোগুলো ছিল গত বছরের অর্থাৎ সেগুলো এখনো পর্যন্ত সেল হয়নি। তাই আমাদের কাছে গুচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে আমরা তো অতটা বোকা নই যে পুরনো জুতা দেখলে বুঝতে পারব না। আগের বছরে এসেও ঠিক এই ডিজাইনের জুতোগুলো আমরা দেখে গিয়েছিলাম। তবে তাদের হয়তো মনে ছিল না কিন্তু আমি তো ঠিকই মনে রেখে দিয়েছিলাম। মোটামুটি দুই একটা কথা শুনিয়ে দেয়ার পর তারা বুঝতে পারল যে এদের দিয়ে আসলে এই জিনিস বিক্রি করা যাবে না। এরপর তারা আমাদের নতুন ডিসপ্লে তে রাখা জুতোর দিকে নিয়ে গেল এবং বলল যে এগুলো মোটামুটি নতুন কালেকশন এসছে এবং দামেও বেশ কিছুটা অ্যাফোটেবল। আপনারা চাইলে এখান থেকে জুতো নিতে পারেন। সত্যি কথা বলতে এখানেও যে জুতোগুলো ছিল সেগুলো মোটামুটি পছন্দ না হওয়ার মতো। তারপরও বেশ কিছু সাদা রংয়ের জুতো আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, আর এমনিতেও সাদা রং আমার অনেক বেশি পছন্দ। তাই বেশ কয়েক জোড়া পছন্দ করে নিচে নামাতে বললাম।

20230614_163610.jpg

20230614_163608.jpg
তবে আমার বন্ধু আবার কোন কথা বলছে না, সে আমার পছন্দের দিকেই চোখ দিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ আমি যেটা পছন্দ করব সে সেটাই নেবে। তার বাইরে তার কোন পছন্দ নেই। এই কথা বলার পর তো আরো সচেতন হয়ে গেলাম আমি। এবং খুব সুন্দর সুন্দর দেখে জুতোগুলোর ভিতরে দুটো জুতো পছন্দ করলাম। একটা ছিল কালো রঙের এবং অন্যটা ছিল সাদা রঙের উপর লাল, নীল রঙের কাজ করা। যেটা দেখতে অনেক বেশি আট্রাক্টিভ লাগছিল আমার বন্ধুর পায়ে। দামের কথা যদি বলতে হয় তাহলে মনে হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার ভেতর ছিল। অর্থাৎ খুব বেশি একটা দাম ছিল না জুতোর ডিজাইনের তুলনায়। এরপর আবার আমরা যখন বিল করতে গেলাম তখন দেখলাম আমাদের আবার বেশ কিছুটা ডিসকাউন্ট দিয়েছে। এজন্য আসলে জুতার দাম আরো অনেকটাই কমে গেছিল। যদিও আমারও বেশ কিছু জুতো পছন্দ হচ্ছিল নিজের জন্য। তবে যেহেতু পূজোর কালেকশন এখন এসে পারেনি, এজন্য আর নেওয়া হয়নি। এরপর আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আরো কিছু কেনাকাটা করেছিলাম এবং খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আমার বন্ধু এখনো সেই জুতো পরে রীতিমতো আমার প্রশংসা করে, যে আমার পছন্দ আসলেই খুব ভালো।

20230614_163604.jpg

20230614_163543.jpg

20230614_163258.jpg

20230614_163251.jpg

20230614_163245.jpg

পোস্ট বিবরণ


শ্রেণীলাইফ স্টাইল।
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@rupaie22
লোকেশনচাঁদনী চক, কলকাতা।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🎯ধন্যবাদ সবাইকে🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 10 months ago 

আপনার মতো আমিও জুতা কেনার ব্যাপারে খুব সেনসিটিভ। ভালো ব্র্যান্ডের জুতা না হলে পরতে ইচ্ছে করে না। নিঃসন্দেহে বলা যায় বাটা জুতা খুব টেকসই হয়। যদিও আমার নাইক,এডিডাস এবং রিবোক এর জুতা সবচেয়ে বেশি পছন্দ। সাউথ কোরিয়া থেকে আসার সময় এই তিনটি ব্র্যান্ডের ৭ জোড়া জুতা কিনে এনেছিলাম, আমার এবং আমার ভাইয়ের জন্য। কারণ সেখানকার জুতা গুলো একেবারে জেনুইন হয়। যাইহোক আপনার বন্ধু জুতা কিনে খুশি হয়েছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আসলে জুতোর ক্ষেত্রে আমি কখনোই কনসিডার করি না ভাই। কারণ জুতো যদি খারাপ হয় তাহলে প্রথমত ঠিকঠাক করে হাঁটা যায় না, এতে করে কোথাও ঘুরতে গেলেও মনে হয় যে জুতো খুলে বাইরে ফেলে দেই। এজন্য সব সময় জুতো এবং নিজের পোশাক-আশাক দাম দিয়ে কেনার চেষ্টা করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 70782.07
ETH 3815.35
USDT 1.00
SBD 3.44