কলকাতা মিউজিয়াম ভ্রমণ ( কিছু পুরনো আর্ট)।।জুলাই -২৪/০৭/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
ভারতীয় জাদুঘর হল ভারতের বৃহত্তম জাদুঘর। ১৮১৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা কিউরেটর ছিলেন ড্যানিশ বোটানিস্ট ড. নাথানিয়েল ওয়ালিচ। কলকাতা জাদুঘর হলো একটি সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান জাদুঘর। এর ছয়টি বিভাগ রয়েছে – শিল্পকলা, পুরাতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, ভূতত্ত্ব, প্রাণীতত্ত্ব ও অর্থনৈতিক উদ্ভিজ্জ। ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলে এই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জাদুঘর। যাইহোক কলকাতা মিউজিয়াম ভ্রমণের আজকের পর্বে আপনাদের সামনে কিছু অসাধারণ আর্ট শেয়ার করব, যেগুলো অয়েল পেইন্টিং এবং পোড়ামাটির সাহায্যে তৈরি করা।
কলকাতা মিউজিয়াম বর্তমানে বেশ কিছু জায়গায় রেস্ট্রিকশন লাগিয়ে দিয়েছে। যেমন সব জায়গার ফটো তোলা যাবে না। আগে তো টাকা দিয়ে হলেও ফটো তোলা যেত, তবে বর্তমানে সেই সুযোগটাও কিছু কিছু জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা সেখানে ঘুরতে গেলেও ঠিকঠাক করে সবকিছুর ফটো ভালো করে তুলতে পারিনি। তবে তারপরেও পরবর্তীতে কিছু কিছু জায়গার ফটোগ্রাফি বা ব্লগ করার চেষ্টা করব। যেখানে লুকিয়ে ফটো তুলতে হয়েছিল রীতিমতো আমাকে। ধরা পড়লে হয়তো ভালো রকমের ফাইন দিতে হতো, তারপরেও আসলে এত রিক্স নিয়ে ফটো তোলা।
কলকাতা মিউজিয়াম থেকে তোলা এই ফটোটায় দেখা যাচ্ছে, যা একটি অয়েল পেইন্টিং এবং পোড়ামাটির সাহায্যে তৈরি করা আর্ট এবং সেখানে রয়েছে কিছু নারী মূর্তি। তবে সত্যি কথা বলতে আর্টের পাশে শুধুই লেখা ছিল যে অয়েল পেইন্টিং এর সাহায্যে তৈরি কৃত কিছু নারী মূর্তি। এর থেকে বিস্তারিত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে এই আর্ট টা অনেক বেশি পুরনো এবং কোন একজন বিদেশি আর্টিস্ট আমাদের ভারতবর্ষে এসে এখানকার কালচারের সাথে মিল রেখে এটা তৈরি করেছিলেন।
শুধুমাত্র সাচে তৈরি করা একটি পোড়ামাটির ফলক বা মূর্তিরূপ। এই পোড়ামাটির অর্টটিও আসলে অনেক বেশি পুরনো ছিল। খুব সম্ভবত এটা রাজস্থান থেকে সংগ্রহ করা হয়।
অয়েল পেইন্টিং এর সাহায্যে তৈরি বাউল যামিনী রায়ের একটি পোড়ামাটির ফলক। ১৮৮৯ সালে বাউল যামিনী রায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তারই একটা প্রতিরূপ মিউজিয়ামে সাজানো ছিল।
এটা তো আমাদের সকলের পরিচিত একটি দৃশ্য যেটা রামায়ণে আমরা অনেকবার পড়েছি। সেটা হল রাম সীতা এবং লক্ষণের বনবাস আর সামনে যে হরিণটা দেখা যাচ্ছে ওটা শিকার করার জন্য আসলে রাম লক্ষণ বেরিয়ে গেছিল। আর তারপরেই আসলে রাবণ সীতাকে হরণ করে ছল প্রয়োগ করে। যদিও ওই সোনার হরিণটা ছিল একটা মায়া। সেরকমই একটা আর্ট মিউজিয়ামে সাজানো ছিল।
অয়েল পেইন্টিং এবং পোড়ামাটির সাহায্যে তৈরি তিন নারী মূর্তি। এই আর্ট গুলো একসময় নিলামে উঠতো। তবে বর্তমানে সেগুলো কলকাতা মিউজিয়ামে সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা রয়েছে। যদিও এখান থেকে ফটো তোলার নিষেধ তারপরও আমি অনেকটা সাবধানতার সাথে ফটো তুলে শেয়ার করে ফেলেছি আর কি।
এই আট সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য আমি খুঁজে পাইনি। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা মাইকেল মধুসূদন দত্ত আপনাদের কাছে কি মনে হচ্ছে সেটা অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
জীবন্ত গাছের প্রতিরূপ, যেটা পোড়ামাটির তৈরি তবে ছাচে ফেলে তৈরি করা নয়। এটা রীতিমতো হাতে অতি যত্নে নিখুঁতভাবে তৈরি করা। পোড়ামাটির তৈরী, এই আর্ট টা অনেক পুরনো।
এই আর্টের একটা বিশাল বড় মাহাত্ম্য রয়েছে। এটা সাধারণত জল রং এবং কাগজের সমন্বয়ে তৈরি করা একটা আর্ট। যেখানে পদ্ম পাতার উপর অশ্রু এই থিমে তৈরি করা হয়েছে। এই আর টি ঠাকুর পরিবারের কোন একজন শিল্পী তৈরি করেছিল। খুব সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই অথবা বাবা।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | কলকাতা মিউজিয়াম,ইন্ডিয়া। |
কলকাতা মিউজিয়ামে তাহলে তো ভাল রকমের রেস্ট্রিকশন দেখছি, আগে টাকা দিয়ে ফটো তোলা গেলেও এখন তাহলে টাকা দিয়েও কোনোভাবে ফটো তোলা যায় না। বেশ ভাল রকমের ঝুঁকি নিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করেছ ,ধরা পড়লে সত্যিই হয়তো অপ্রস্তুত হতে হতো। প্রত্যেকটা আর্ট এবং পোড়ামাটির তৈরি ফলক সবকিছুই অনেক সুন্দর ছিল। তবে শেষের জল রঙ এবং কাগজ দুটোর সমন্বয়ে করা আর্টটি দেখে মনে হচ্ছে যেন চিত্র থেকে মানুষটি বেরিয়ে আসছে, অসাধারণ চিত্রটি। বাউল যামিনী রায় সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না একেবারেই।
সত্যি কথা বলতে আগে কিছু কিছু জায়গা রেস্ট্রিক্টেড ছিল, তবে বর্তমানে আরো অনেক জায়গায় রেস্ট্রিক্টেড করে দিয়েছে। কিছু কিছু জায়গা তো বন্ধ পর্যন্ত করে দিয়েছে।
কলকাতা মিউজিয়াম ভ্রমণ করে দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। লুকিয়ে লুকিয়েও দেখছি দারুণ ফটোগ্রাফি করতে পারেন। কয়েকমাস আগে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে গিয়েও একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। ফটো তোলা নিষেধ জেনেও, লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম আমি। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে কলকাতা মিউজিয়ামের বেশ কিছু জায়গা রেস্ট্রিক্টেড করে দিয়েছে ফটোগ্রাফি করার জন্য। এজন্য অনেক সময় লুকিয়ে লুকিয়ে ফটোগ্রাফি করতে হয় আর কি। যাইহোক আপনি পোস্ট পড়েছেন এতে আমি খুব খুশি হলাম ভাই।
ভাই আমাদের দেশের জাতীয় জাদুঘরেও একই অবস্থা। প্রতিটি কক্ষে ছবি তোলা নিষেধ। আমিও আপনার মতো লুকিয়ে লুকিয়ে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। যাইহোক ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।