যে ভুলের কোনো ক্ষমা নেই।। জুলাই -১১/০৭/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
মানুষ মাত্রই মরণশীল এবং মানুষ মাত্রই ভুল হয়। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যারা কখনো না কখনো ভুল করেনি। আমরা প্রতিনিয়তই কমবেশি ভুল করে থাকি, তবে কিছু কিছু ভুল রয়েছে যেগুলো আমরা নিজেরাই শুধরে নিতে পারি বা অন্যেরা আমাদের হয়তো ক্ষমা করে দেয়। তবে একান্তই কিছু ভুল রয়েছে যেগুলোর ক্ষমা হয় না। অর্থাৎ ওই ভুল একবার করলে দ্বিতীয়বার আর কোন প্রকার ভুল করার মতো পরিস্থিতি থাকে না। সেটা নিয়েই আসলে আজকের লেখা। মানুষ সচেতন থাকার পরেও নিজের অজান্তেই ভুল করে ফেলে। তবে কিছু মানুষ রয়েছে যারা ইনটেনশনালি ভুল করে এবং তার বদলে তাদের বড় ধরনের মাশুল দিতে হয়। আমি নিজেও আমার চোখের সামনে এত বড় বড় বোকামো দেখেছি যার কোনো ক্ষমা হয়নি। আসলে আজকের এই টপিকসটা নিয়ে আলোচনা করার কারণ হলো গতকালই এমন একটা ঘটনা ঘটে গেছে আমাদের বারাসাতে যেটা দেখে রীতিমতো আমি চমকে গেছি। মানুষের যত করুন পরিস্থিতি হতে পারে সেটা হয়তো গতকাল নিজের চোখের সামনে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।
ট্রেন এক্সিডেন্ট আমাদের ভারতবর্ষে এখন নিত্যদিনের রুটিন হয়ে গেছে। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে ট্রেনে কাটা মানুষদের পরিষ্কার করার জন্যও আলাদা লোক মোতায়ন করা হয়। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখেন যে কি পরিমান লোক ট্রেন এক্সিডেন্ট করে মারা যায়। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল এই ট্রেনে কাটা মানুষগুলোর ভিতরে অধিকাংশ মানুষই ১৮ থেকে ৩০ বছরের ভিতরে। এই বয়সের মানুষগুলো সব থেকে বেশি ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে। বেশ কিছুদিন আগের কথা আমি হঠাৎ করে সিগনালে দমদম স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। হঠাৎ করেই অপজিট পাশ থেকে একটা মেল ট্রেন দ্রুত গতিতে স্টেশন দিয়ে ছুটে চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে দেখলাম প্রচন্ড বিকট একটা শব্দ হলো এবং আশেপাশের মানুষ চিৎকার করা শুরু করে দিল। নিজেকে একটু সামলে পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখলাম যে অনেকগুলো লোক সেখানে জড়ো হয়েছে এবং একটা মানুষ রেললাইনের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার মাথার অর্ধেক নেই এবং মাথার ঘিলু সব বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। লোকটা নাকি ট্রেনে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য গরম লাগছিল এজন্য ট্রেন থেকে অনেকটাই মাথা বের করে হাওয়া খাচ্ছিল। কিন্তু সেই হাওয়া খাওয়া যে তার জীবনের শেষ সময় ছিল এটা সে বুঝতে পারিনি। পেছন দিক থেকে ট্রেন এসে মেরে দিয়ে চলে গেছে।
এছাড়া অনেক উদাহরণ রয়েছে সেটা হল রেললাইনের উপর দিয়ে হেডফোন কানে গান শুনতে শুনতে যাওয়া অথবা ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন ক্রস করা। এর থেকে বড় ভুল আর কোন কিছুই হতে পারে না। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে কলকাতার বা পুরো ভারতবর্ষে কত দ্রুত ট্রেন চলে। তাছাড়াও প্রতি পাঁচ মিনিট, সাত মিনিট অন্তর অন্তর রেললাইন দিয়ে ট্রেন যায় এই সময়ের ভিতর অনেক সময় নিজেকে সামলে নেওয়া যায় না বা মনেও থাকে না কথা বলতে বলতে যে পেছন দিয়ে ট্রেন আসছে। সুতরাং নিশ্চিত রূপে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। গত কাল আসলে সেরকম একটা ঘটনা আমাদের বারাসাত স্টেশনে ঘটে গেল। একটা শিয়ালদা-বনগাঁ গামী ট্রেন হৃদয়পুর স্টেশন ছেড়ে বারাসাত স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ করেই নাকি একটা ২৮-৩০ বছরের ছেলে পানের পিক বা গুডকার পিক ফেলার জন্য বাইরে মুখ বের করেছিল। এমন সময় রেললাইনের পাশে থাকে একটা পীলার সাথে বাড়ি খেয়ে তার মাথা ফেটে ঘিলু বেরিয়ে যায়। সাথে সাথে সে ছিটকে ট্রেন থেকে একটা জায়গায় গিয়ে পড়ে। আমি অবশ্যই ট্রেনে ছিলাম না তবে পরের ট্রেনে আমি একটু কাজে যাচ্ছিলাম বারাসাত। হঠাৎ করে দেখলাম সেখানে প্রচুর লোকের ভিড়, তাই কাজ সেরে আসতে আসতেই লাশ নিয়ে চলে যাচ্ছিল।
পরবর্তীতে ওখানকার কিছু মানুষের কাছে শুনে সব ব্যাপার ক্লিয়ার হলাম যে আসলে কি ঘটেছিল। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে রেললাইন এর উপর দিয়ে পারাপার তবে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করি। যদিও কখন কি হবে তার কোন গ্যারান্টি ভগবান ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না। তারপরও যতটা পারি সচেতন থাকার চেষ্টা করি। তাছাড়া ট্রেনে উঠে বাইরে মাথা বের করে হাওয়া খাওয়ার মত শখ আমার কোনদিনও হয়নি। এজন্য আপনাদের সচেতন করার জন্যই আজকের পোস্ট লিখলাম। আপনারা যখন রেললাইন ক্রস করবেন বা ট্রেনে উঠবেন তখন দয়া করে মাথা বাইরে বের করবেন না বাহ রেল লাইনে ফোনে কথা বলতে বলতে বা গান শুনতে শুনতে হাঁটার চেষ্টা করবেন না। এই ধরনের ভুলের আসলে কোন ক্ষমা হয় না। আমি শুধু চিন্তা করছিলাম ছেলেটার পরিবারের লোকজনের কথা। আসলে ভেবে এত কষ্ট করে ছেলেটাকে মানুষ করে তাকে কাজে পাঠিয়ে দিয়েছে আর তার এই পরিস্থিতি। মানুষের জীবন আসলে নিশ্চিত কোন কিছুই না তাই আমাদের সবসময় একটু চোখ-কান খোলা রাখতে হবে শুধু আমাদের জন্য না আমাদের পরিবারের জন্যও।
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং। |
---|
খুব খারাপ লাগে আসলে এ ধরনের ঘটনাগুলো।আপনাদের দেশে ট্রেন,ট্রাম বেশি চলে।সকলের সতর্ক হয়ে পথ চলা উচিত। যে পরিবারের ছেলের এ ঘটনা সেই পরিবারের আজ কি অবস্থা। আমাদের দেশেও অনেককেই দেখি কানে হেডফোন দিয়ে পথে চলাচল করতে।এটা আসলে একদমই উচিত নয়।সতর্কতামূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আশাকরি সবাই সতর্ক হবেন।
আমাদের ভারতবর্ষে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ট্রেন বেশ নামকরা। তবে এক্সিডেন্ট হয় প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভুলের জন্য। আমাদের আসলে এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হওয়া উচিত।
মানুষের জীবনে ভুল থাকবেই কিন্তু কিছু ভুল ক্ষমার অযোগ্য হয়ে পড়ে।খুবই বীভৎস একটি লেখা পড়লাম দাদা।পানের পিক মুখ বাড়িয়ে ফেলতে না গেলে মনে হয় বেঁচে যেত।কিন্তু তার অসাবধানতাবশত ঘটনাটি ঘটে গেল।এমন রেল সংক্রান্ত ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে।তাই সতর্ক থাকা জরুরি, ধন্যবাদ দাদা।
এই গুটকা বা পানের পিক এর আগেও আমি অনেকবার কিছু কিছু মানুষকে ফেলতে দেখেছি ট্রেনের দরজা দিয়ে। শুধুমাত্র অ্যাক্সিডেন্ট বলে কথা নয়, এই পানের পিক গুলো অনেক সময় জালনা দিয়ে ছুটে এসে মানুষের গায়ে লাগে, এটা অনেকটা খারাপ দিক। তবে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত এই ব্যাপারগুলোতে।
আসলে রাস্তা ঘাটে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাটাই ভালো। অনেকে দেখি রাস্তা পারাপারের সময়ও মোবাইল ফোন নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকে। বাস, ট্রেন বা যেকোনো যানবাহনে চড়া অবস্থায়, দরজা বা জানালা দিয়ে গলা বা মাথা বের করা ঠিক নয়। এতে করে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সবার উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা। যাইহোক এমন সতর্কতামূলক একটি পোস্ট, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মোবাইল ফোন আসলে আমাদের প্রয়োজনের জন্য তৈরি করা হলেও, আমরা অপ্রয়োজনে বেশি ব্যবহার করছি বর্তমান যুগে। তবে এই ব্যাপারগুলোতে আসলে একটু সচেতন হওয়া উচিত ভাই আমাদের সকলেরই।
মানুষ মাত্রই ভুল হয় এ কথা সত্যি, তবে এই ধরনের ভুলের আসলেই কোন ক্ষমা নেই। বর্তমানে তো ট্রেন এক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। আমি তো নিয়মিত বনগাঁ যাতায়াত করি তাই মাঝেমধ্যেই এইরকম সংবাদ শুনতে পাই যে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। আমাদের আসলে আরো একটু সচেতন হতে হবে তা না হলে ভবিষ্যতে এটা আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এই সমস্যা।
আমাদের বনগাঁ শিয়ালদা লাইনে যতটা না ট্রেন এক্সিডেন্ট হয় তার থেকে বেশি ট্রেন এক্সিডেন্ট হয় অন্যান্য লাইনগুলোতে। যেটার সংবাদ আমি নিজেও মাঝেমধ্যে শুনতে পাই।
লেখাটা পড়ার সময় গা ভয়ে ছম ছম করছিল। কতোটা মর্মান্তিক এই মৃত্যু গুলো। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই হয়তো এমন দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। কাকে কি বলবো আসলে! আমি নিজেও মাঝে মধ্যে এমন ভুল করে ফেলি। তবে আজকের পর থেকে সত্যিই নিজেকে যতটা সম্ভব সাবধান করে চলবো।
আমার নিজের চোখের সামনেও আসলে এরকম কিছু মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে, যেটা আমার মাঝে মাঝে মনে পড়লে প্রচন্ড কষ্ট লাগে। আমাদের আসলে এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হওয়া উচিত।