☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা আমরা সকলেই জানি। মোটামুটি টিভি, মোবাইল ফোন খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন ভিডিওতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গ্রাম বাংলার অপরূপ দৃশ্য। মোটামুটি এই বছরই আমার একবার বাংলাদেশ ট্যুর দেওয়ার কথা ছিল, তবে বিশেষ কিছু কারণবশত যাওয়া হয়নি। তবে দুইদিন আগে পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে ঘুরতে গেছিলাম। হা হা হা.. মজা করলাম আর কি। তবে বাংলাদেশ না গেলেও বাংলাদেশকে খুব কাছ থেকে দেখে আসলাম। সেরকমই কিছু ফটোগ্রাফি থাকবে এবং থাকবে টুকটাক বর্ণনা আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
বনগাঁ থেকে বলতে গেলে বাংলাদেশের দূরত্ব খুব বেশি একটা না। শুধুমাত্র মাঝখানে একটা বর্ডার। গত পরশুদিন আমি এবং আমার কিছু বন্ধুরা মিলে গিয়েছিলাম বনগাঁয়ের একটা জায়গায়, যেখানে রয়েছে খুব বড় একটা বাওর। এবং এই বাওর গিয়ে মিশেছে বাংলাদেশের কোন এক নদীতে। যদিও নামটা তখন বলেছিল মাঝি, তবে আমার ঠিক মনে নেই। আগের বছর ঠিক এই সময় আমি ওখানে ঘুরতে গেলেও পুরোটা ঘুরে দেখতে পারিনি। তাই এই বছরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যে যত কাছ থেকে সম্ভব বাংলাদেশকে এক পলক দেখে আসবো।
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
মোটামুটি সেই প্লানিং এ আমরা বারাসাত থেকে ট্রেন ধরে বনগাঁর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ঠিক সকাল ১১ টায় এবং ঠাকুরনগর স্টেশন নেমে সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে টোটো ধরে চলে গেলাম এই বাওড়ে। প্রতিবছর শীতকালে এই জায়গায় পিকনিক হয় এবং বলতে গেলে এটা একটা ছোটখাটো টুরিস্ট স্পট। কিন্তু আমরা সেখানে গিয়ে কোন মাঝি খুঁজে পেলাম না, যে নৌকা করে একটু ঘুরবো। যাইহোক আধা ঘন্টার মতো সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার পর একজন লোক আসলো এবং তাকে আমরা দুই ঘন্টার জন্য বুক করে নিলাম। আমাদের থেকে খুব বেশি একটা টাকা নেয়নি, মাত্র ৬০০ টাকা নিয়েছিল। তারপর ঠিক গান গাইতে গাইতে আমরা সবাই মিলে নদীর বুকে মিলিয়ে যেতে লাগলাম। আশেপাশের পরিবেশটা এত সুন্দর ছিল এবং নদীর জল এত স্বচ্ছ ছিল যে আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। সব থেকে যেটা বেশি আকর্ষণীয় ছিল সেটা হল এখানে আসা অতিথি পাখিগুলো। যেগুলো আমরা সাধারণত চিড়িয়াখানায় দেখে থাকি, কিন্তু এখানে এসে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছিলাম সেগুলোকে।
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
তবে আমাদের একটা জিনিসের সমস্যা হচ্ছিল সেটা হচ্ছে খাওয়ার জল। আমি সাধারণত বাইরের জল খুব বেশি একটা খেতে পারি না, কেনা জল ছাড়া। তবে সেখানে গিয়ে ওরকম জলের সুব্যবস্থা পাচ্ছিলাম না। আর যেহেতু গ্রাম অঞ্চল তাই দোকানপাটও খুব বেশি একটা ছিল না। তবে পরবর্তীতে যে করেই হোক ম্যানেজ হয়ে যায় আর কি ব্যাপারটা। আমরা যার নৌকায় করে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম পরবর্তীতে সেই লোকের কাছে শুনে জানতে পারি যে, এখান থেকে বাংলাদেশ খুব বেশি একটা দূরে না। মোটামুটি ২ কিলোমিটারের ভিতরে বাংলাদেশ বর্ডার। তবে আমি খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ যাব, তখন আপনাদের বাংলাদেশের দৃশ্য আপনাদের সাথেই এখানে শেয়ার করব। আর তেমন বিশেষ কিছু বলতে চাই না, আমার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখানো। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ঠাকুরনগর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।
🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে কয়েকজন বন্ধু মিলে বাংলাদেশের কাছে এসে মজাই করলেন। পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া বাংলাদেশ দেশের কাছে এসে গেলেন। তবে কাছ থেকে কোন বর্ডার বা নতুন যেতে পারলে মনে হয় অনুভূতিটা অনেক ভালো লাগে। আমার মনে হয় পাসপোর্ট ছাড়া এসে আপনি একটু ভয় ছিলেন। তবে আপনি অনেক সুন্দর নদীর ফটোগ্রাফি করেছেন। সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
না না আপু কোন ভয়ে ছিলাম না। যতটা সেফটি মেনটেন করে ঘুরা যায় ঠিক ততটাই মেন্টেন করেছিলাম। তবে খুব ইচ্ছা করছিল এত কাছ থেকে বাংলাদেশ দেখে সেখানে যাওয়ার।
কেন নদীর কি পানি কম ছিলো😜,একটা ডুব দিয়েই তো পেট ভর্তি করে জল খেতে পারতেন।যাই হোক ২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে চলে আসতেন বাংলাদেশে,তারপর আমরা কিছু দিন বেঁধে রাখতাম আপনারে😉।ছবিগুলো কিন্তু বেশ দারুন তোলেছেন।লোকেশনটাও অনেক সুন্দর। এভাবে ফ্রেন্ড রা মিলে নৌকায় ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনাদের দেশে ঘুরতে যাব, আর আপনি আমায় বেঁধে রেখে দেবেন এটা তো অন্যায় কথা। 😰😰 যদি ভালো করে অতিথি আপ্যায়ন করেন, তাহলে হয়তো একবার যাওয়া যেতে পারে। 🤭🤭
আপনি আসবেন জানলে আমি একটু এগিয়ে যেতাম ভাই 🤗
বাংলাদেশে বেড়াতে আসবেন এই কামনা করছি। ছবিগুলোর কথা যদি বলি সবগুলো জুম করে দেখছিলাম বেশ দারুন লাগলো। আর আপনার ফোনের ক্যামেরাটা জাষ্ট দূরদান্ত ছবি উপহার দিয়ে যাচ্ছে আপনাকে।
নৌকায় দেখলাম চশমা পরা একজন ভদ্রলোক খাবার খাচ্ছেন 😊
ধন্যবাদ ভাই অসাধারণ এই পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য 🥀
আপনি একটু এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে আপনাকে বাংলাদেশ বর্ডারে বেধে রেখে দিত আর আমাকে ইন্ডিয়ান বর্ডারে। হা হা হা... তবে ওখানকার পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল।
হা হা 😄
তাহলে আর দরকার নেই বাবা।
একবারে পাসপোর্ট আর ভিসা নিয়ে একদিন দেখা করতে যাবো 🤗
ভালো থাকবেন।
ভিসা করেই যাব ভাই, তাহলে বুক ফুলিয়ে ঘুরতে পারব।
আরেকটু হলেই তো বাংলাদেশে চলে আসতেন ভাইয়া। একটু না হয় বাংলাদেশে এসেই যেতেন। বন্ধুদের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। আর এরকম নদীর জায়গা গুলোতে ঘুরতে ভালো লাগে। নদীর অপরূপ সৌন্দর্য এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যদি সেরকম কোন উপায় থাকতো তাহলে তো অবশ্যই যেতাম আপু। তবে কোন উপায় ছিল না তো। তবে বিশ্বাস করেন খুব ইচ্ছা করছিল ওই দিকটাতে যাওয়ার জন্য। যদি এমন কোন সুযোগ থাকতো যে পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়া যায়, তাহলে বলতে হতো না, আমি গিয়ে ঘুরেই আসতাম।
কয়েকজন ফ্রেন্ডমিলে নৌকায় ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ ছিল। যাইহোক অনেক কাজ থেকে বাংলাদেশকে দেখেছেন। আর একটু হলে হয়তো নদী সাঁতার নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারতেন - হা হা হা।জি ভাইয়া তারাতাড়ি বাংলাদেশে আসবেন, আশাকরি তখন দেখা হবে অবশ্যই।
নদীতে সাঁতার দিয়ে আসতে গেলে তো ডুবে মরে যেতাম আপু। তাহলে তো আর বাংলাদেশ দেখা হতো না। সমস্যা নেই, আমি পাসপোর্ট ভিসা করেই তারপর যাবো। হা হা হা...
প্রথমে তো ভেবেছিলাম আপনি বাংলাদেশে চলে এসেছেন। পরে পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম ভিসা,পাসপোর্ট ছাড়া বাংলাদেশ এর কাছে চলে এসেছিলেন 😆 ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে। একবার চলে আসুন ভিসা পাসপোর্ট নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার বাংলাদেশ অনেক ভালো লাগবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যাব আপু, খুব জলদি বাংলাদেশে ঘুরতে যাব। আমার তো অনেক দিনের ইচ্ছা বাংলাদেশ ঘুরতে যাওয়া।
জী ভাইয়া অবশ্যই চলে আসুন।
😊
ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া আপনি বাংলাদেশে দেখে নিয়েছেন🤣🤣।
যাইহোক দুই ঘন্টার নৌকায় নদী ভ্রমন আপনার ভালই লেগেছে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশী ট্যুরে কবে আসবেন তা জানিয়ে দিবেন ভাইয়া। আর ঠাকুর নগরের পরিবেশ টা পুরো বাংলাদেশের মতোই।
ঠিক বাংলাদেশ না তবে বাংলাদেশের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। পরিবেশটা আসলে অনেক বেশি সুন্দর ছিল। তবে শীতকালে এখানকার পরিবেশ অন্যান্য সময় থেকে অনেক বেশি সুন্দর থাকে।
চলে আসুন দাদা। হিলি সীমান্ত দিয়ে ঢুকবেন।একসাথে উত্তরবঙ্গ ঘোরা যাবে।বাংলাদেশের কোন জায়গার সীমান্ত ঠাকুরনগরের সাথে?জায়গা টা সত্যিই অনেক সুন্দর।আমার গ্রামের বাড়ির প্রাকৃতিক দৃশ্য ঠিক এমন।ফটোগ্রাফ গুলো অনেক সুন্দর। আশা করি খুব শীঘ্রই দেখা হবে বাংলাদেশে।
খুব সম্ভবত বেনাপোল বর্ডার।
তবে আমি বাংলাদেশ গেলে অবশ্যই ভিসা করে যাব, কারণ পাসপোর্ট আমার করাই আছে। দেখা যাক কবে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়।
মোটামুটি ২ কিলোমিটার পাড়ি দিলে বাংলাদেশে তো চলেই আসতে পারতেন।বন্ধুদের নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভাল লাগলো। নদীর সৌন্দর্য আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ। আশাকরি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে দেখে যাবেন।অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
যে দুই কিলোমিটার রাস্তা বাকি ছিল, ওই দুই কিলোমিটার ঢুকলে তো আমাকে গুলি করে মেরে ফেলে দিত আপু। তবে সমস্যা নেই, আমি পাসপোর্ট ভিসা করেই তারপর যাবো।
সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে।ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ ছিল।বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একটু হলেও অনুভব করেছেন তাহলে।যাইহোক তাড়াতাড়ি আসবেন যখন বাংলাদেশে তখন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিজের চোখেই দেখতে পারবেন।আধা ঘণ্টা বন্ধুদের সাথে নৌকায় বেশ ভালো ঘুরেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা তো অনেক জায়গায় শুনেছি, তবে এখানে গিয়ে অনেকটাই উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। তবে পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমি অবশ্যই বাংলাদেশ যাব।