কলকাতা বইমেলায়।। ফেব্রুয়ারি-১১/০২/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
---|
সবেমাত্র বইমেলা থেকে বাড়ি ফিরলাম, আসলে কলকাতার রাস্তায় এত পরিমাণে জ্যাম হয়ে গেছিল যে বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেছে। এখন তো প্রচন্ড রকম অলসতা লাগছে পোস্ট লিখতে। তবে কিছু করার নেই, কাজের জায়গায় কাজ তো করতেই হবে। গত মাসের ৩০ তারিখে কলকাতা বইমেলা শুরু হয়েছিল এবং সেটা গতকাল শেষ হতে চলেছে। এজন্যই আজ গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে বইমেলায় ঘুরতে। বইমেলা নিয়ে আসলে অনেকগুলো পর্ব হবে এবং মোটামুটি কলকাতা বইমেলা সম্পর্কে একটা ধারণা আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে আজকের পর্বটা তেমন বিস্তারিত কিছু বলছিনা, শুধুমাত্র আমাদের খাওয়া দাওয়া এবং টুকটাক কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। কলকাতা বইমেলা মানেই অন্যরকম আবেগ। সেই আবেগে গা ভাসাতে চান সকলেই। দেশ বিদেশ থেকেও আসেন বইপ্রেমীরা। একদিকে বইপ্রেমীরা, অপরদিকে বই প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই তাকিয়ে থাকেন কলকাতা বইমেলার দিকে। শুধু বইয়ের বিকিকিনিই নয়, বইমেলাকে কেন্দ্র করে যেন মিলনক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। আগের বছর তো ৫৭০ টা বইয়ের স্টল বসেছিল, এইবার তার থেকে অনেক বেশি দেখলাম।
স্থান: কলকাতা বইমেলা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আজ বইমেলায় গিয়ে খাওয়া বেশ টেস্টি দুটি খাবার। একটি হলো ফিশ বাটার ফ্রাই এবং অন্যটি নরমাল ফিস ফ্রাই। দামের দিক থেকেও যথেষ্ট কম ছিল।
স্থান: কলকাতা বইমেলা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
কলকাতা পুলিশ থেকে এই কাজটা তারা বরাবরই খুব সুন্দর করে। জনসাধারণের জন্য মিনারেল ওয়াটারের ব্যবস্থা করে। ছোট ছোট প্যাকেটে করে জল একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে লোক তাদের প্রয়োজনমতো জল খেতে পারে।
স্থান: কলকাতা বইমেলা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা বইমেলা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
বন্ধুদের সাথে তোলা একটা সেলফি এবং কিছু দুষ্টু মিষ্টি সময় অতিবাহিত করা।
স্থান: কলকাতা বইমেলা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এবারের কলকাতার বইমেলার ম্যাপ যদিও আমি নিয়েছিলাম,তবে এই ম্যাপ দেখে কোন কিছু খুঁজে পাইনি, শুধুমাত্র হাতে রেখে দিয়েছিলাম। আসলে এবারের বই মেলায় এত ভিড় ছিল যে ম্যাপেও কাজ হচ্ছিল না।
স্থান: কলকাতা বইমেলা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা বইমেলা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
কলকাতা বইমেলায় গিয়ে আমার সবথেকে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে এই মিষ্টিগুলো খেয়ে। নবদ্বীপের মিষ্টির সুনাম আমি অনেক আগেই শুনেছি, তবে কখনো গিয়ে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। স্টল দেখে বেশ খানিকটা আগ্রহ হয় এবং গিয়ে খেয়ে আসি। প্রত্যেকটা মিষ্টিই খুব অসাধারণ ছিল আমার কাছে তবে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল সানার জিলাপি। আমার মনে হয় এরকম জিলাপি এর আগে আমি কোনদিন খাইনি।
এগুলো সবই হাতে তৈরি এক ধরনের বিস্কুট। সত্যিই বেশ ভালো খেতে ছিল।
স্থান: কলকাতা বইমেলা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
বই মেলায় তাহলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। আমার কাছেও বই মেলায় ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। আমাদের এখানে ১লা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। আমি অনেক বার গিয়েছি কিন্তু এবার এখনও যাওয়া হয়নি। সত্যি বলেছেন বই মেলায় মানুষের ভিড়ের জন্য ভালো করে তেমন বেশি স্টল দেখাই হয়নি।তবে বই মেলায় গিয়ে আপনার নবদ্বীপের মিষ্টি খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন ধরেই চিন্তা করছিলাম যে নবদ্বীপে গিয়ে ছানার জিলাপি এবং দই খেয়ে আসবো। তবে কলকাতা থেকে অনেক দূরে এজন্য যাওয়া হয়ে ওঠেনা। কিন্তু বইমেলায় তাদের স্টল দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আশা করছি কলকাতা বই মেলার ভাল কিছু ধারণা আপনার পোস্টগুলোর মাধ্যমে জানতে পারব । প্রথম পর্বে খাওয়ার ছবি গুলো দেখে আমার ভাল লাগল যেহেতু আমি ভোজন রসিক মানুষ। কলকাতার বই মেলায় গিয়ে বেশ ভাল খাওয়া দাওয়া করেছেন। আর বন্ধুদের সাথেও বেশ মজা করেছেন। জিলাপি, ফিশ বাটার ফ্রাই এবং ফিস ফ্রাই দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। কলকাতা পুলিশের কাজটি আসলেই প্রশংসনীয়।খুব ভাল লাগল প্রথম পর্ব।
কলকাতা পুলিশ প্রতিবছর এই কাজটা অনেক বেশি ভালো করে। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
দাদা নমস্কার
বই মেলায় তো বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ করেছেন ৷ বেশ ভালো লাগলো বইমেলার পরিবেশ টা ৷ চারদিকে সাজ-সজ্জার ভরপুর ৷ আহা নানা ধরনের খাবার দোকান বিস্কুট ফিশ বাটার ফ্রাই ,নবদ্বীপের মিষ্টির ,,৷সবমিলে অনেক ভালো লাগলো দাদা ভাই ৷ পরের পর্বে আরও ভালো কিছু দেখবো এমনটাই প্রতার্শা ৷
পরের পর্ব দিয়ে দিয়েছি।🤭 ধন্যবাদ ভাই আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া বই মেলায় খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আশাকরি। আমাদের দেশেও বই মেলা শুরু হয়েছে। যদিও যাওয়া হয়নি এখনো।সব মেলাতেই ভির হয় আসলে।আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি দিয়েছেন মিষ্টির, দেখেই তো লোভ লেগে গেল।ছানার জিলাগি আমারও খাওয়া হয়নি কখনও। বেশ লোভনীয় ছিল মিষ্টিগুলো।আপনার অনুভূতি পড়ে ভীষন ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যেহেতু এখনও ছানার জিলাপি খাননি, তাহলে যখন খাবেন তখন খুব ভালো দোকান থেকে কিনে খেয়ে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অনেক ভালো হবে। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
বন্ধুরা মিলে বইমেলা ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আসলে বইমেলায় গেলে অনেক কিছু ধারণা করা যায়। কারণ অনেক দূর থেকে বই প্রেমিক এবং যারা বই পড়তে পছন্দ করে তারা বই কিনতে আসে। তবে বইমেলায় গিয়ে অনেক মজার মজার খাবার খেয়েছেন। এবং কিছু মজার খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। তবে আমার কাছে একটা জিনিস ভালো লাগলো কলকাতার পুলিশগুলো প্যাকেট করে জল রেখেছে মানুষের খাওয়ার জন্য।
কলকাতা পুলিশ প্রতিবছর এই কাজটা খুব ভালো করে, জনসাধারণের জন্য জলের ব্যবস্থা করে রাখে। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কলকাতার বই মেলাতে গিয়ে আপনারা দেখছি দারুন মজা করেছেন। আসলে বই মেলার ফলেই কলকাতায় রাস্তায় জ্যাম বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়। এত লোভনীয় খাবার দেখে তো ভাই লোভ লেগে গেল।
কলকাতার রাস্তাঘাটে এত পরিমাণে গাড়ি হয়ে গেছে, জ্যাম না হয়ে যাচ্ছে কোথায়। ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।