Blacks দার জন্মদিনের ট্রিট।। ফেব্রুয়ারি- ২০/০২/২০২৩।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

আজকের পর্বটা অনেকটাই স্পেশাল, কারণ আজকে আমি লিখতে চলেছি আমাদের সকলের প্রিয়জন @blacks দার জন্মদিনের ট্রিট দেওয়া নিয়ে। দাদার জন্মদিন মানেই একটা রাজকীয় ব্যাপার, এটার ভিতরে কোন সন্দেহ নেই। আসলেই ট্রিটটা ছিল গত বছরের তবে এই বছর এখনও দাদার জন্মদিন এসে পারেনি। এক বছরের পুরনো ফটো যেহেতু তাই অনেকটাই পেছনে পড়েছিল গ্যালারির। সত্যি কথা বলতে ভুলেই গেছিলাম এই ফটোগুলোর কথা। তবে গতকাল হঠাৎ করে ফটো গুলো আমার চোখে পড়ল এজন্য চিন্তা করলাম যে এত সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম দাদাদের সাথে তাই সেটা যদি আপনাদের সাথে শেয়ার না করি তাহলে কেমন হয়। আর এজন্যই আসলে আজকের পোস্ট।

প্রথমেই বলতে চাই খাওয়া-দাওয়ার পর আমার এমন অবস্থা হয়েছিল যে আমাকে তিনজনে মিলে ধরে বাড়ি নিয়ে আসতে হয়েছিল। অনেক খাবারের নাম মনে করতে পারবো না, তবে তারপরও যতটা মনে আছে সেগুলোর একটা লিস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তারপর সেখানে কি ঘটেছিল তার উপর একটা ছোটখাটো লেখা আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব।

🥗খাবারের মেনু🥗

১.চার রকমের স্যুপ।(নামগুলো এতটাই কঠিন ছিল যে মনে নেই)
২. স্পেশাল রাইতা।
৩. ফিশ ফিঙ্গার।
৪. মাটন ফিঙ্গার।
৫. ফ্রেন্স ফ্রাইজ।
৬. চিকেন ললিপপ।
৭. আফগানীয় তান্দুরি চিকেন।
৮. গলদা চিংড়ির কি একটা চপ।
৯. হারিয়ালি কাবাব।
১০. তন্দুরি চিকেনের সাথে প্লেন রুটি এবং আফগানি রুটি।
১১. প্লেন পোলাও।
১২. বাসন্তী পোলাও।
১৩. চিকেন দোপেয়াজা। (যারা মাটন খায় না তাদের জন্য)
১৪. মটন দোপেয়াজা।
১৫. কোল্ড ড্রিংকস আনলিমিটেড ছিল।
১৬. খাসির মাংসের তিনটা আইটেম ছিল একটা বাদে বাকি গুলো কি কি ছিল সেটা ভুলে গেছি।
১৭. আইসক্রিম ছিল তিন চার রকম।

InShot_20230220_110008877.jpg

20220412_195231.jpg

20220412_200005.jpg
আচ্ছা অনেক তো খাবারের মেনু নিয়ে আলোচনা হল, এবার দাদার জন্মদিন নিয়ে টুকটাক কিছু কথা বলা যাক। আসলে অনেক আগে থেকেই বাগিচা নামক কলকাতার এক বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে দাদার নামে রুম বুক করা ছিল। জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা সেখানেই হয়। আচ্ছা তার আগে বলে দিতে চাই দাদার জন্মদিনের ট্রিট দিয়েছিল কিন্তু আমাদের তনুজা বৌদি। যেহেতু আগে থেকেই রেস্টুরেন্টের রুম বুক করা ছিল তাই খুব বেশি একটা তাড়াহুড়ার দরকার ছিল না। আমরা মোটামুটি বিকাল চারটা নাগাদ ঘর থেকে বের হই এবং দাদার দুটো গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি কলকাতার সেই বিখ্যাত রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। তবে সমস্যা হচ্ছিল ঐদিন কলকাতার রাস্তায় কি হয়েছিল জানিনা এত পরিমাণে জ্যাম ছিল যে আমাদের দেড় ঘন্টার রাস্তা গিয়ে পৌঁছাতে প্রায় তিন ঘন্টার কাছাকাছি সময় লাগলো।


যাইহোক তারপরও আমরা সন্ধ্যার একটু পরেই সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে পৌছালাম। প্রথমেই যে ব্যাপারটা খুব ভালো লাগলো সেটা হচ্ছে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের আপ্যায়ন। তারা এতটাই অমায়িক ছিল যে বলে বোঝানো যাবে না। যাই হোক আমাদের অনেক সুন্দর করে রেস্টুরেন্টে আহ্বান জানালো এবং রুমে প্রবেশের জন্য দরজা খুলে দিল। দাদার জন্মদিনের জন্য যে রুমটা বুক করা হয়েছিল সেটা খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা ছিল। কিছু সময়ের ভিতরে ই আমাদের সামনে কেক চলে আসলো। তবে যেহেতু স্বাগতা দি রাস্তায় ছিল তখনও তাই আমরা আরো কিছু সময় অপেক্ষা করলাম দিদির জন্য। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ভিতরে swagata দি চলে আসলো। তারপর অনেক আনন্দের সাথে কেক কাটা হলো। এরপর কিছু সময় আড্ডা এবং কেক খাওয়া নিয়েই সবাই মেতেছিল।

20220412_202202.jpg

20220412_201301.jpg
মোটামুটি নটা সাড়ে নটার দিকে rme দা খাবার দেওয়ার কথা বলল রেস্টুরেন্টের ওয়েটারদের। আসলে কেক খেয়ে এতটা পেট ভরে গেছিল যে তখনও ঠিকঠাক মতো খিদে লাগেনি। তারপরও এদিকে রাত হয়ে যাচ্ছে বাড়ি যেতে হবে তাই কিছু করারও ছিল না। প্রথমে আমাদের সামনে স্টার্টার এসে হাজির হলো। আসলে স্টার্টারে এত খাবার ছিল যে আমি কোনটা রেখে কোনটা খেয়েছিলাম ঠিক মনে করতে পারবোনা। সব থেকে মজার বিষয় কি জানেন তো আধা ঘন্টা ধরে ১০-১২ রকমের স্টার্টার খাওয়ার পর শুনলাম যে এখনো মেইন কোর্স দেয়া শুরু হয়নি। কিন্তু ঐদিন স্টাটারে যে পরিমাণ খাবার খেয়েছিলাম আমার মনে হয় না আমি মেইন কোর্সে কখনও এত খাবার খাই। আমি শুধু মনে মনে একটা কথাই চিন্তা করছিলাম আজ পেটটা ফেটে না যায়। যাইহোক কি আর করা যাবে এরপর আমাদের সামনে মেইন কোর্স আসলো। যতগুলো খাবার ছিল সবগুলোরই মোটামুটি টেস্ট নিয়েছিলাম অল্প অল্প করে। আসলে এই খাবার গুলোর ভিতরে অনেক খাবার ছিল যেগুলো এর আগে আমি কখনো দেখিনি খাওয়া তো দূরের কথা।

20220412_202309.jpg

20220412_202320.jpg

যেখানে আমি খাবার আধা ঘন্টার ভিতর খেয়ে উঠে যাই, সেখানে ওইদিন খাওয়া শেষ করতে আমার এক ঘন্টার উপরে লেগেছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষে যখন উঠতে যাব তখন দেখে আর উঠতে পারছি না। আমার আগে যে ওয়েট ছিল তার থেকে কম করে হলেও তিন কেজি ওয়েট বেড়ে গেছিল ঐদিন। অনেক কষ্ট করে গাড়ি পর্যন্ত হেঁটে আসলাম। আচ্ছা আর একটা কথা, আমাদের খাওয়া দাওয়ার যে বিল হয়েছিল সেটা সরাসরি বলতে চাই না, তবে এটুকু বলতে পারি যে ওই দিন যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছিল 10 জনের খাওয়া দাওয়া করতে, তাতে মোটামুটি একটা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ভালোভাবে এক মাসের খরচ হয়ে যায়। খুব সম্ভবত রাত বারোটা নাগাদ আমরা বাড়ি পৌঁছাই। আসলে খেয়েদেয়ে আমার অবস্থা এমন হয়ে গেছিল যে একা একা হেঁটে বাড়ি যেতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে রঙিন এবং আমার এক বন্ধু আমাকে কোলে করে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসে।

20220412_202506.jpg

20220412_193247.jpg

20220412_193646.jpg

20220412_192659.jpg

20220412_200852.jpg

20220412_202856.jpg

20220412_202908.jpg

20220412_203303.jpg

20220412_203541.jpg

20220412_204045.jpg

20220412_204051.jpg

20220412_205720.jpg

20220412_205733.jpg

20220412_211813.jpg

20220412_214020.jpg

20220412_214143.jpg

20220412_214213.jpg

20220412_214221.jpg

20220412_214453.jpg

20220412_214538.jpg

20220412_214900.jpg

20220412_220546.jpg

20220412_192733.jpg

পোস্ট বিবরণ


শ্রেণীফটোগ্রাফি
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@rupaie22
লোকেশনকলকাতা।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🎯ধন্যবাদ সবাইকে🎯

Sort:  

ধন্যবাদ🤭

 last year 

ধুর দাদা দিলেন তো লোভ লাগিয়ে ।এতসব খাবারের ছবি কি কেউ শেয়ার করে। গত বছরের জন্মদিনেই যখন এমন ট্রিট পেয়েছেন এ বছর নিশ্চয়ই আরো ভালো হবে। অপেক্ষায় রইলাম দাদার জন্মদিনের।

হা হা হা.... আমি খুবই দুঃখিত ভাই।

এবছর দাদার জন্মদিনে আমি হয়তো কলকাতা বাইরে থাকবো। তবে যদি কলকাতা থাকি তাহলে অবশ্যই যাবো।

 last year 

আপনি যে খাওয়া দেখলো আর কিছু চিন্তা করেন না তাই জানি।🤣🤣।ছবি দেখেই মনে মনে চিন্তা করছিলাম কিছু ছবি চেনা চেনা লাগছে।আপনি এক বছর আগের ছবি দিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন,তা পকেটে করে কিছু নিয়ে এসেছিলেন নাকি😜।খেয়ে ঐখানেই থেকে যেতেন এত কষ্ট করে আশার কি দরকার ছিলো।🤣

খাওয়া আর ঘুম এই দুটো জিনিস হলে আমার আর কিছু লাগে না।🤭 আর এই ফটোগুলো মনে হয় rme দা বা blacks দা শেয়ার করেছিল জন্মদিনের পরের দিন। এজন্য হয়তো আপনার চেনা চেনা লাগছে।

 last year 

প্রায় তো এক বছর হতে গেল এই পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল । এতদিন পরে পুনরায় সবকিছু দেখতে পেয়ে অন্যরকম লাগছে । লাইফের সবথেকে বেশি খাবার এই দিনে খেয়েছিলাম আমি। এত রকমের খাবার আমি আগে জীবনেও খাইনি। এত বেশি খাবার খাওয়া হয়েছিল যে বাড়ি আসতে অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল গাড়িতে করে তাই।

হা হা হা 😂

এটা ঠিক কথা লাইফের সবথেকে বেশি খাবার খেয়েছিলাম ঐদিন। এত খাবার এর আগে একসাথে কখনো খাওয়া হয়নি মনে হয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58734.46
ETH 2636.20
USDT 1.00
SBD 2.43