কলকাতা মেট্রো।। ডিসেম্বর-১৯/১২/২০২২।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
---|
কলকাতায় ঘোরাঘুরি করার জন্য আমার কাছে মনে হয় মেট্রোটাই সব থেকে কমফোর্টেবল। কারণ লোকাল ট্রেনগুলোতে এত পরিমাণে ভিড় হয় এটা শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারে যারা নিয়মিত ট্রেনে করে যাতায়াত করে অফিসে যায়। যেহেতু আমার ইউনিভার্সিটি আমার বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে সুতরাং আমাকে প্রথমে ট্রেনে করে দমদম স্টেশনে এবং তারপর মেট্রো ধরে ক্যাম্পাসে যেতে হয়। সুতরাং বলতে গেলে আমার জন্য এটা বেশ কষ্টের এবং সময় সাপেক্ষ। তবে ৪৫ মিনিটের মতো ট্রেন জার্নি করার পর যখন দমদম স্টেশনে এসে মেট্রোতে উঠি তখন অনেকটাই শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। কারণ মেট্রোরেল এতটাই কমফোর্টেবল যে বলে বোঝানো যাবে না।
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আচ্ছা আমি টাইটেলে কলকাতা মেট্রো দিলেও আমি কিন্তু আজকের পর্ব কলকাতা মেট্রো নিয়ে লিখছি না। তবে আমি যেহেতু কলকাতায় স্থায়ী বাসিন্দা এবং সমস্ত মেট্রো কলকাতার ভেতর দিয়েই চলে তাই টাইটেল ওরকম করে দিয়েছি। আসলে আমি বিগত কিছুদিন আগে দমদম স্টেশন থেকে গিয়েছিলাম দক্ষিণেশ্বর, মেট্রোতে করে। এর আগে কখনো দক্ষিণেশ্বর মেট্রোতে করে যাওয়া হয়নি। বেশিরভাগ সময় ট্রেনে করে যেতাম, তবে ট্রেন প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকার কারণে অনেকটাই কষ্ট হতো আমার। আমাদের বারাসাত থেকে দক্ষিণেশ্বর স্টেশন মোটামুটি ১৫-২০ কিলোমিটার হবে। এর বেশিও হতে পারে আমি শিওর না এবং ট্রেনের ভাড়া মাত্র ৫ টাকা। এজন্য আর কি লোক এটাকে বেশি প্রেফার করে।
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেললাম এবার আসল কথায় আসি। আপনারা তো অনেক জানেন যে কিছুদিন আগে আমার বোন এসেছিল আমাদের বাড়ি ঘুরতে রাজস্থান থেকে। কলকাতায় এসে সে আমাকে প্রথমে যে কথাটা বলে সেটা হলো যে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ঘুরতে যাবে এবং সেখানে গিয়ে পুজো দেবে। যেহেতু বোনের আবদার আমি কখনো ফেলি না, তাই বললাম ঠিক আছে নিয়ে যাব। যেই কথা সেই কাজ বোন আসার দুইদিন পরেই সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা দক্ষিণেশ্বর যাব। সব থেকে মজার বিষয় হল যে সকালবেলা মেট্রোতে করে দক্ষিণেশ্বরে পূজা দিতে গেলে খুব বেশি একটা ভিড় থাকে না এবং খুব আরামে যাওয়া যায়। সেজন্যই মোটামুটি ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে আমরা ট্রেন ধরে স্টেশনে গিয়ে পৌছালাম এবং সেখান থেকে টিকিট কেটে মেট্রোতে উঠে পড়লাম। মেট্রো টিকিটের দাম একটু বেশি। প্রতিটা টিকিটের মূল্য ১৫ টাকা করে নিয়েছিল। যাইহোক যথা সময় মেট্রো ট্রেন দমদম স্টেশনে এসে হাজির হলো এবং আমরা সবাই মেট্রোতে উঠে পড়লাম।
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
তবে মেট্রোতে উঠে আমি বেশ অবাকই হলাম। কারণ এর আগে এত ফাঁকা মেট্রো ট্রেন আমি মনে হয় কোনদিন দেখিনি। পুরো মেট্রো ট্রেনের সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন লোক ছিল এবং আমরা যে কামরায় ছিলাম সেই কামরায় আমরা ছাড়া আর কেউ ছিলনা। মোটামুটি দমদম স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর যেতে মেট্রোতে করে ১৫ মিনিটের মতো সময় লাগে। যাইহোক পুরো কামরা ফাকা দেখে আমার বোনের মেয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে লাগলো। আমিও কিছুটা হাঁটাহাঁটি করলাম এদিক ওদিক। আমরা তো সকলেই জানি যে মেট্রো ট্রেন মাটির নিচ দিয়ে চলাচল করে কিন্তু দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো ট্রেন মাটির উপর দিয়ে যায়। এজন্য আশেপাশের পরিবেশটা অনেক সুন্দর করে উপভোগ করতে পারছিলাম। আর যেহেতু সকাল বেলা ছিল সে জন্য পরিবেশটা আরো অনেক বেশি ভালো লাগছিল আমার কাছে। যথাসময়ে আমরা দক্ষিণেশ্বর গিয়ে নামলাম। তবে আমার কাছে মাটির নিচ দিয়ে চলার থেকে মেট্রোতে করে মাটির উপর দিয়ে চলাটা অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। যেহেতু মেট্রো রেলের ভেতরকার পরিবেশটা অনেক সুন্দর তাই ভেতর থেকে বাইরের পরিবেশটা দেখতে অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং লাগে।
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: দক্ষিণেশ্বর, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আমাদের দেশেও লোকাল ট্রেনে ওঠার মতো কোনো পরিবেশ থাকে না, এত পরিমান ভিড় হয়। যদিও আমি এখন পর্যন্ত মেট্রোরেল ভ্রমণ করিনি তবে আমাদের দেশে খুব শীঘ্রই চালু হবে জনসাধারণের জন্য আশা আছে উদ্বোধন হওয়ার পর পরই মেট্রোরেল ভ্রমণ করার। আপনি মেট্রোরেল ভ্রমণ করে সুন্দর অভিজ্ঞতা সেইসাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।
বাংলাদেশের ট্রেন গুলোতে সত্যিই খুব ভিড় হয় তবে আমাদের এখানকার লোকাল ট্রেনের ভিড় দেখলে তো আপনার মাথা খারাপ হয়ে যাবে।🤣
যেহেতু লোকাল ট্রেনের মধ্যে বাড়া কম সেহেতু সবাই তো একটু ভিড় করবে সেটা স্বাভাবিক।তবে আপনি এত দূর থেকে প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টার যাতায়াত কিভাবে করেন আমার তো খুব খারাপ লাগতেছে শুনে।তবে আপনার কথা শুনে যতটুকু বুঝতে পারলাম মেট্রো ভালো হবে যদিও বাড়া বেশি যাই।আমার কাছে লোকাল বাস বা ট্রেন একদম ভাল লাগেনা।
আমাকে নিয়মিতই ট্রেনে করে যেতে হয়। কিছু করার নেই আপু। কষ্ট হয় তবে অভ্যাস হয়ে গেছে এখন।
এত ভোরে ওঠে আপনারা দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে চলে গেলেন জেনে অবাকই হলাম। কারণ এখন শীতের সময় এত ভোরে ওঠাটা খুব বেশি কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। তবে বোনের আবদার রাখতে আপনি তাকে নিয়ে সেখানে গেলেন শুনে খুবই ভালো লাগছে। ভাই বোনের বন্ধন এভাবে অটুট থাকুক সারা জীবন।
সত্যিই খুব কষ্ট হয়েছিল ঘুম থেকে উঠে মন্দিরে যাওয়ার। তবে আমার বোনের মেয়ে খুব দুষ্টু, সে আমাকে টেনে তুলে দিয়েছিল। ঠিক করে ঘুমাতেই দেয়নি।😁
আপনি তো দেখছি দাদা লক্ষী বোন। বোনের আবদার মেটানোর জন্য তাকে নিয়ে ভোর চারটের সময় বেড়িয়ে পড়লেন! বাহ্ ভাল লাগলো বেশ। তবে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ঘুরতে যাওয়া এবং পূজা দেওয়ার জন্য আপনারা যে লোকাল মেট্রো ট্রেনে গেলেন তাতে কিন্তু ভাড়া খুব একটা বেশী নিয়েছে বলে আমার মনে হয় না।
আমার বোন খুব বেশি কিছু দাবি করেনা আমার কাছে। তবে তারপরও আমি চেষ্টা করি যদি কোন আবদার করে তাহলে সেটা পূরণ করার।
আগের থেকে মেট্রো রেল বেশ উন্নত হয়েছে ওই দিকে। তবে মেট্রোতে করে আমি আগেও অনেকবার গেছি। সকাল বেলা সত্যিই ফাঁকা থাকে আর পরিবেশটাও সত্যিই অসাধারণ থাকে।
কিন্তু ফাঁকা ছিল না। হা হা হা হা 😜... আমি গিয়ে ২০০ জন এর পেছনে দাড়িয়েছিল।