কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন । প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন।সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। নরমাল ট্রেনে তো আমাকে সারা বছরই প্রয়োজনে কম বেশি যাতায়াত করতেই হয়। কিন্তু মেট্রো ট্রেনে খুব কম যাতায়াত করা হয়। কারণ নরমাল ট্রেনগুলো যে রুট, আমাকে বিশেষ প্রয়োজন সে সব জায়গা গুলোতেই যেতে হয়। কিন্তু মেট্রো স্টেশন একটু ব্যাকওয়ার্ল্ড লাইনে, মানে আমার জন্য ব্যাকওয়ার্ড আর কি। তাই তেমন একটা যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু গতকাল গিয়েছিলাম একটু পাক স্টিট এবং তার সাথে সাথে শ্রীলেদার্সে শপিং করার জন্য। ওই পর্বটা অন্য একদিন শেয়ার করব। তবে আজকের বিষয় ফিরে আসা যাক।

প্রথমে তো ভেবেছিলাম শিয়ালদা থেকে বাস ধরে পার্ক স্টিট চলে যাব। তবে বাইরে এতটাই গরম যে বাসে ঠেলাঠেলি করে যাওয়ার মত কোন ইচ্ছা হল না শিয়ালদা স্টেশনে গিয়ে। তাই আবার ট্রেন ধরে ব্যাক করলাম দমদম স্টেশনে। এবং সেখান থেকে সাবওয়ে ধরে নিচে নেমে আসলাম মেট্রো স্টেশনে। মেট্রো স্টেশনে নেমে বেশ একটু মজা লাগলো আমার, কারণ দমদম স্টেশনে যতবারই গেছি আমাকে টিটি কোনদিনও ধরেনি, কিন্তু গতকাল আমাকে টিকিট চেক করার জন্য ধরলো টিটি। যাই হোক যথারীতি টিকিট চেক করিয়ে মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে পৌঁছলাম এবং সেখানে গিয়ে দেখি আরও বেশি ভিড়। বিশাল বড় লাইন হয়েছে টিকিট কাটার জন্য। তবে মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যারা থাকেন তারা খুবই অ্যাক্টিভ এবং খুব দ্রুত সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করে। বেশি সময় দাড়াতে হলো না মোটামুটি পাঁচ মিনিটের ভিতরেই টিকিট কাউন্টারে গিয়ে পৌঁছলাম এবং আমাদের থেকে দুটো টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা নিয়েছিল মানে প্রতিটা টিকিট ১৫ টাকা করে। টিকিটের দাম একটু বেড়েছে মনে হয় আগে তো দশ টাকা ছিল। টিকিট কাউন্টারের পাশে দেখলাম একটা নতুন কফি শপ খুলেছে। মানে আপনার যদি টিকিট কাটতে দেরি হয় তাহলে এক কাপ কফি খেয়ে নিতে পারেন। হাহাহাহা... যাইহোক টিকিট কেটে স্টেশনে চলে গেলাম।

আমাদের দেশের মেট্রো রেল ব্যবস্থা খুবই উন্নত এবং আধুনিক। মোটামুটি প্রতি তিন মিনিট অন্তত অন্তর একটা আপ এবং একটা ডাউন ট্রেন যাতায়াত করে। সুতরাং আমাকে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না মোটামুটি তিন মিনিটের ভেতর স্টেশনে ট্রেন এসে পৌঁছালো। ও আর একটা কথা যেহেতু মেট্রো স্টেশনে ফটো তোলা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল। সেক্ষেত্রে আমি খুব ভালো করে ফটো তুলতে পারিনি অনেকটা লুকিয়ে চুরি করে ফটো তুলতে হয়েছিল। তাই হয়তো ফটোর কোয়ালিটি একটু খারাপ হয়ে গেছে। গতকাল দেখলাম মেট্রো স্টেশনে খুব বেশি ভিড় নেই মোটামুটি লোকজন ছিল।

ট্রেনে উঠে অনেক স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম। যেহেতু বাইরে প্রচন্ড গরম সুতরাং একটু এসির হাওয়া গায়ে লাগলো এত কষ্ট করার পর। এর থেকে শান্তি আর কি হতে পারে ওই সময়ের জন্য। যাই হোক ট্রেনে উঠে আমি সিট প্রথমে পেয়েছিলাম না পরে একটি সিনিয়র সিটিজেন সিটে গিয়ে বসি। সাধারণত এই সিটগুলোতে আমি কখনোই বসি না কিন্তু কাল কোন সিনিয়র সিটিজেন ছিল না তাই গিয়ে বসেছিলাম। এত বছরে মেট্রো স্টেশনের প্লাটফর্মে তেমন বিশেষ কোন পরিবর্তন হয়নি তবে ট্রেনের ভিতরে হয়েছে বেশ পরিবর্তন। কিছু কিছু নতুন ট্রেন এড করা হয়েছে মেট্রো স্টেশনে। এবং ট্রেনের ভিতরে আধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। মেট্রো ট্রেন যেহেতু মাটির অনেক নিচ দিয়ে চলে এবং খুব দ্রুতগামী সুতরাং গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে মোটামুটি আমার ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগলো। চার বছর পর মেট্রো ট্রেনে উঠে আমার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল। কারণ আগে কিছু মেট্রো ট্রেন ছিল যেগুলো নন এসি ছিল কিন্তু ইদানিং দেখছি সব ট্রেনগুলো এসি করে দিয়েছে।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।