শিকিরহাট এর খেয়াঘাটে বেশ কিছুটা সময়।। মার্চ -১৬/০৩/২০২৩।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

দীর্ঘদিন খুলনা শহরে থাকার পর আজ বিকালে বেরিয়ে পড়লাম গ্রামের উদ্দেশ্যে। মনের ভিতরে একটা অন্যরকম আনন্দ কাজ করছিল। কারণ শহরের তুলনায় গ্রাম আমি অনেক অনেক বেশি পছন্দ করি। প্রথমত খুলনা থেকে বাস ধরে ফুলতলা এসে নামলাম এবং তারপর সেখান থেকে টোটো সহযোগে আসলাম শিকির হাট খেয়াঘাটে। জায়গাটা বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু বছর আগে নাকি এখানে শেয়ালের আড্ডা খানা ছিল। তবে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আশেপাশ পরিষ্কার হওয়ার কারণে বেশ সুন্দর একটা জায়গা তৈরি হয়েছে। যাই হোক আমরা খেয়াঘাটে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন নৌকা আসবে তারপর আমরা নদী পার হয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেব। কিন্তু সমস্যা হল এখানে দুটো খেয়া নিয়মিত চলাচল করলেও আজ নাকি একটা খেয়া চলাচল বন্ধ ছিল। তাই প্রায় কুড়ি থেকে ৩০ মিনিট পরপর নৌকা আসছিল। এদিকে নদীর ওপারে একটা বাসই ছিল, যেটাতে করে গ্রামে যাওয়া যেত সুতরাং ওটা মিস হয়ে গেলে আবার অনেক সমস্যা হয়ে যেত।

InShot_20230315_205359723.jpg

InShot_20230315_205656450.jpg

নদীর এপার থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম যে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু যাওয়ার তো কোন উপায় নেই, কারণ এ পাশে পারাপারের জন্য কোন খেয়াই ছিল না। অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় না পেয়ে একটা কোলড্রিংস কিনে খেতে লাগলাম আমি আর রঙিন। আশেপাশের পরিবেশটা বেশ ভালো লাগছিল। নদীটা এত সুন্দর দেখতে এবং আশেপাশের পরিবেশটা এত সুন্দর ছিল যে বলে বোঝানো যাবে না। এদিকে হঠাৎ করেই হলো এক কেলেঙ্কারি। হঠাৎ করে ওপার থেকে নৌকা ভর্তি লোক আসার সময় মাঝপথে চলে আসলো এক মালবাহি জাহাজ বা লঞ্চ। আরেকটু হলেই একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেত কিন্তু ড্রাইভার পাকা হওয়ার জন্য সেটা অনেকটাই সামলে নিয়েছিল। আমি তো রীতিমতো এই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম।

InShot_20230315_205613236.jpg

InShot_20230315_205547939.jpg

যাই হোক কোন সমস্যা ছাড়াই নৌকা তীরে এসে ঠেকলো। তারপর নৌকার যাত্রীরা এক এক করে নামতে লাগলো। তবে নৌকার ভিতর আরো অনেক কিছু ছিল, যেমন বাইক তাছাড়াও ভ্যান সহ দুই একটা ইঞ্জিন চালিত গাড়ি। এখানে এসেই হলো আর এক ঘটনা। সেটা হল, একটা বাইক হঠাৎ করে খেয়া থেকে নামতে গিয়ে স্লিপ করে পড়ে গেল তবে বিশেষ কোনো সমস্যা হয়নি দেখলাম। সামান্য একটু লেগেছিল লোকটার এবং বাইকের বা সাইডের লুকিং গ্লাসটা ভেঙে গেছিল। আমার তো বেশ ভয় করছিলেন নৌকায় উঠতে, তারপরও একটু সাহস সঞ্চয় করে নৌকায় উঠে পড়লাম। নদী পার হতে খুব সম্ভবত এক থেকে দুই মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। তারপর এপাশে এসে দেখি যে বাস এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে। তখন তো বেশ ভালো লাগছিল, কারণ বাস চলে গেলে যাতায়াতের জন্য বেশ খানিকটা সমস্যা হয়ে যেত। পরবর্তীতে জানতে পারলাম যে এই বাসটা সন্ধ্যার আজান দেওয়ার পর ছাড়ে তাই আমাদের চিন্তা করার কোন দরকার ছিল না। সবার টিকিট কেটে বাসে উঠে পড়লাম এবং আমি বাসে ওঠার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর বাস ছেড়ে দিল।

InShot_20230315_205530697.jpg

InShot_20230315_205717407.jpg

আজকের এই পোস্টটা আমি বাসে বসেই লিখছি। তবে যেখানে যাচ্ছি আমি জানিনা ওখানে গিয়ে ইন্টারনেটের কতটা সমস্যা হবে। চেষ্টা করব নিয়মিত পোস্ট করার জন্য, আর যদি পোস্ট করতে না পারি তাহলে তো কিছু বলার নেই আর। কারণ খুলনা থেকেই নেটের যে পরিস্থিতি ছিল গ্রামে গিয়ে আরো অবনতি হবে এটাই স্বাভাবিক।

InShot_20230315_205452996.jpg

InShot_20230315_205428224.jpg

পোস্ট বিবরণ


শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@rupaie22
লোকেশনশিকির হাট, ফুলতলা।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🎯ধন্যবাদ সবাইকে🎯

Sort:  
 last year 

আপনি বাংলাদেশে নাকি,কবে আসলেন?যাই হোক নদীর ও পাড়ে বাস দেখছেন, নৌকা ছাড়া উপায় নাই কে বলেছেন পানিতে নেমে সাঁতার কেটে যেতেন এতে ভাড়া গুলো বেঁচে যেত😉।বাসে বসে বসে পোস্ট লিখেন আপনি, ওরে আপনি তো বেশ একটিভ।যাই হোক যেখানে যাচ্ছেন যেন নেটওয়ার্ক না পান🤣🤣

আপনি বাংলাদেশে নাকি,কবে আসলেন?

এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেছে আমি বাংলাদেশ এসছি।

বাসে বসে বসে পোস্ট লিখেন আপনি, ওরে আপনি তো বেশ একটিভ।যাই হোক যেখানে যাচ্ছেন যেন নেটওয়ার্ক না পান🤣🤣

আসলে টাইম পাস করার জন্য এর থেকে ভালো কিছু নেই। আর আমি যেখানে এসছি সেখানে wifi আছে তাই সমস্যা হচ্ছে না।

 last year 

wifi না থাকলে বেশ হয়তো।

আপনি এত হিংসুটে কেনো।🥺 অন্যের ভালো দেখতে পারেন না কেনো।

 last year 

অন্যের না শুধু আপনার টা। আরকি🤣🤣

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.12
JST 0.034
BTC 63580.05
ETH 3253.58
USDT 1.00
SBD 3.91