দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সবজি বাজারে আগুন।। মার্চ -০৩/০৩/২০২৩
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার তো অনেকেই জানেন যে আমার মা বাইরে গেছে তাই ইদানিং আমাকেই যাবতীয় কাজকাম এবং রান্নাবাড়া করতে হচ্ছে। কাঁচা বাজার বা যেকোনো বাজারে যাওয়া হয় না প্রায় ছয় মাসের মত হয়ে গেছে। এজন্য হয়তো বাজারের পরিস্থিতি তেমন একটা বুঝতে পারছিলাম না। তবে গতকাল বাজারে গিয়ে রীতিমতো আমার মাথায় হাত পড়ে গেছে। প্রথমে তো আমি মাছের বাজারে ঢুকলাম, আগে যে রুই মাছ ১৮০ টাকা দিয়ে কিনতাম সেটা এখন ২২০ থেকে ২৫০ টাকা হয়ে গেছে। কাতলা মাছের দাম ৩৫০ টাকা কেজি। যে মুরগির মাংস আগে ১২০ টাকা বা ১০০ টাকা করে কিনে খেয়েছি সেটা এখন ১৮০ থেকে ১৮২ টাকা দাম হয়েছে। তবে কলকাতাতে একটা সুবিধা আছে কি যে মানুষ সামান্য জিনিস কিনেও খেতে পারে। অর্থাৎ আপনি যদি চান যে ১০০ গ্রাম মাংস কিনবেন বা এরকম চিন্তা করেন যে ১০০ গ্রাম মাছ কিনবেন বা সামান্য কিছু সবজি কিনবেন তাহলে সেটা সম্ভব।
যাই হোক টুকটাক বাজার ঘাট করে আমি ঢুকে পড়লাম সবজি বাজারে। আমাদের এখানে মোট দুটো সবজি বাজার রয়েছে। একটা স্টেশনের ডানদিকে এবং অপরটা স্টেশনের বাঁ দিকে। দুই পাশের সবজির দাম রীতিমতো আলাদা। আমি জানিনা কেন এরকম হয়, একই সবজি কিন্তু দামের পার্থক্য অনেকটাই। প্রথমে আমাদের বাড়ির দিকটাতে গিয়ে সবজির দাম দেখলাম যে আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বেশ চিন্তা হচ্ছিল, আগে যে পিয়াজ ১২ টাকা করে কেজি কিনতাম এখন সেটা ২২ থেকে ২৪ টাকা হয়ে গেছে। যে আলু ১০ টাকা দিয়ে কিনেছি সেই আলু এখন ১৫ থেকে ২০ টাকা। সব থেকে আশ্চর্য লাগল পাতি লেবুর দাম শুনে, তিনটে পাতি লেবু আমার থেকে ১৮ টাকা নিলো। আগে যে বাঁধাকপি ১০ টাকায় দুটো দিত এখন সেই একটা বাঁধাকপি দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা হয়ে গেছে। ফুলকপিতে তো হাতই দেওয়া যাচ্ছে না। আবার অন্যান্য সবজি যেমন ক্যাপসিকাম সহ নানা ধরনের সবজির দাম 60 থেকে 70 টাকা হয়ে গেছে। অর্থাৎ আগে ব্যাগ ভরতে যদি ২০০ টাকা লাগতো এখন ৩০০ টাকা বা 400 টাকা লাগবে।
কিছুদিন আগেও শুনেছি যে লঙ্কার দাম নাকি ৫০ টাকা ছিল, এখন একশো কুড়ি টাকা হয়ে গেছে। কাঁচা বাজার বেগুনের কথা তো বাদই দিলাম বেগুন কিনতে গেলে মনে হচ্ছে হার্ট ফেল করে মারা যাবো এরকম অবস্থা। বাজারে পটলের দাম আকাশ ছোঁয়া মাঝেমধ্যে মনে হয় যে পটল কিনব, নাকি তুলব সেটাই বুঝতে পারি না। যাইহোক অনেকদিন পর বাজারে গিয়ে যা যা কেনার কথা ছিল তার প্রায় অর্ধেক বাজার করে আমাকে বাড়ি ফিরতে হয়। কারণ যে হিসেবে আমি টাকা নিয়ে গেছিলাম বাজার করতে তার থেকে প্রায় দুই গুন টাকার প্রয়োজন ছিল। আমি জানিনা কলকাতার অন্যান্য জায়গায় দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি কতটা হয়েছে। তবে আমাদের বারাসাতে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি এখন আকাশছোঁয়া। কিছুদিন আগেও আমরা ডিমের জোড়া ৯ টাকা করে খেয়েছি। এখন সেই ডিমের জোড়া ১২ টাকা হয়ে গেছে। আমি এখন চিন্তা করছি যে এই দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হবে। যদিও আমি যে দামগুলো বললাম সেটা বাংলাদেশের তুলনায় বেশ কম। তবে তারপরেও এখানে সেটা অনেক বেশি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | বারাসাত। |
দাদা আমাদের দেশে তো বর্তমান যে কোনো দ্রব্যমূল্যের অনেক দাম ৷ আর আয় নেই শুধু দাম আর দাম ৷ সর্বোপরি সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে ৷
আপনি বিগত ছয় মাছ পর বাজার করছেন ৷ কিছু করার নেই ভাই সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে ৷
বর্তমানে সব জায়গাতেই একই অবস্থা। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের কেউ একজন এরকম একটা পোস্ট লিখেছিল। সেটা পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম যে সব জায়গাতেই এখন মন্দা চলছে। পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।😊
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এখন সব জায়গাতেই। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ছোঁয়া লেগেছে। তাই তো সাধারণ মানুষ এখন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেও সাহস পাচ্ছে না। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা সকলেই পড়েছি।
এই সমস্যার আসলে দীর্ঘস্থায়ী কোন সমাধান সম্ভব নেই খুব দ্রুত। কারণ জনসংখ্যা যে পরিমাণ বাড়ছে তাতে সরকারও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে সমস্যার সমাধানে। আমাদের একটু সতর্ক হতে হবে, তা না হলে খুব বিপদ আছে ভবিষ্যতে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষকে যেন ডলে পিষে মারছে, তাই তারা সবজি বাজারের আগুন দেখে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। আপনাদের মত আমাদের এখানেও একই অবস্থা বরং আপনাদের ওখানকার চেয়ে আমাদের এখানে সবজির দাম অনেক বেশি।তবে আপনাদের ওখানে একটা বিশেষ সুবিধা হচ্ছে অল্প পরিমাণেও কিনতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে মাছ মাংস যা আমাদের এদিকে অল্প পরিমানে কেনা সম্ভব নয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সবজি বাজারে আগুন নিয়ে, খুব সুন্দর বর্ণনা করে, দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমাদের এইদিকে ওই একটা সুবিধাই আছে যে, যতটুকু ইচ্ছে ততটুকু কিনে খাওয়া যায়। তবে তাছাড়া বাকি আর তেমন কোন সুযোগ সুবিধা তো আমি দেখি না। হিসাব করলে দাম অনেকটাই বেশি হয়। যাই হোক পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার কারণে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষদেরই সব থেকে বেশি প্রবলেম হয়। আগে যে ব্যাগ ২০০ টাকায় ভরে যেত সেই ব্যাগ ভরে বর্তমানে বাজার করতে হলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগবে এটাই স্বাভাবিক। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর দাম বাড়ছে সেটা একটা বড় কারণ দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার জন্য। সব কিছুরই দাম বেড়েছে শুধু মাথাপিছু আয় এর পরিমাণ সেই তুলনায় বাড়েনি। মুরগির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা ছিল আজ থেকে সাত বছর আগে, সাত বছর আগের হিসাব এখন করলে তো আর হবে না! সময়ের সাথে এগুলো আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, এগুলো আমাদের মেনে নিয়ে চলতে হবে। দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে অভিযোগ আমাদের সবারই রয়েছে কিন্তু সমাধান আমাদের কারোর কাছেই নেই।
আমাদের কারো কাছেই আসলে এই সমস্যার সমাধান নেই। তবে সরকার যদি ভালো ভালো কিছু পদক্ষেপ নেয় তাহলে হয়তো এই সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধান হতে পারে। তবে জনসংখ্যা যে পরিমাণে বাড়ছে তাতে মনে হয় না খুব তাড়াতাড়ি বা দীর্ঘস্থায়ীভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে।
আমাদের দেশের এই অবস্থা দাদা। সবকিছুর দাম বেশি। সাধারণ মানুষের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তবে আপনাদের ওখানে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কেনার সুবিধা থাকলেও আমাদের এখানে নেই। অবস্থাটা যেমন দাঁড়াচ্ছে পটল তুলতেই হবে কেনা আর যাবে না😔😔।।
এখানে ওই একটা সুবিধেই আছে যে, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কিনে খাওয়া যায়। এটা যদি না থাকতো তাহলে সাধারণ মানুষ না খেয়ে মারা যেত। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ার জন্য।
আমাদের দেশেও দ্রব্যমূল্যের যে এত ঊর্ধ্বগতি তা আর কি বলবো। তা কিনতে যাই শুধু শুনি দাম বেড়ে গেছে। মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের চলা খুবই কষ্টসাধ্য। তবে আপনাদের এখানের এই সুবিধাটা আমার কাছে ভালই লেগেছে যে অল্প পরিমাণে কিনতে চাইলেও তা কিনতে পাওয়া যায়। দেশের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যায় পটল তুলতেই হবে কিনতে আর পারবোনা।
আমি তো আগের দিন বাজারে গিয়ে রীতিমতো হার্ট ফেল করার মত অবস্থা হয়ে গেছিল। এত পরিমাণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে, বিশেষ করে কাচা শাকসবজির দাম আগের থেকে প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এখন সব জায়গাতেই।মধ্যবিত্তদের জন্য বেঁচে থাকা মুশকিল।আপনাদের ওখানে অল্প চাইলে কেনা সম্ভব।কিন্তু আমাদের এখানে তা সম্ভব নয়।আপনি খুব সুন্দরভাবে লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এত পরিমাণে হয়েছে যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্ট হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপু আমার পোষ্টটি সুন্দরভাবে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।