সৃজনী শিল্পগ্রাম (শান্তিনিকেতন) ।। তৃতীয় পর্ব ।। ১০% shy-fox এবং ৫% abb-school এর জন্য বরাদ্দ।
কেমন আছেন আপনারা সবাই...…?
আশাকরি সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমিও অনেক ভালো আছি। সৃজনী শিল্পগ্রামকে নিয়ে লেখা আজ আমার তৃতীয় পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
সৃজনী শিল্পগ্রাম হল একটি কালচারাল ভিলেজ। যারা ট্রেডিশনাল আর্ট ভালোবাসেন বা আর্ট নিয়ে চর্চা করেন তাদের কাছে সৃজনী শিল্পগ্রাম কিন্তু অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের নটি রাজ্যের যেমন আসাম, বিহার, ঝাড়খন্ড, মনিপুর, উড়িষ্যা, সিকিম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর এই জায়গা গুলোর সংস্কৃতি এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এবং তুলে ধরা হয়েছে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্র। আমি গত পর্বে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মানুষের জীবনযাত্রা এবং তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্রের কিছু চিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম এবং সামান্য কিছু আলোচনা করেছিলাম এই বিষয়ের উপর। তবে আজ ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না, ওইগুলো পরের পর্ব থেকে আবার হবে।
সৃজনী শিল্পগ্রামে প্রতিদিন বিকালে একটি ছোট্ট মেলা বসে এবং সেখানে পাওয়া যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ছেলেদের এবং মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী। ওই রকম কিছু চিত্র তুলে ধরবো।
স্থান: সৃজনী শিল্পগ্রাম(শান্তিনিকেতন), বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এখানকার সব জিনিসের দাম সাধ্যের মধ্যে। আপনি চাইলেই খুব অল্প টাকার ভিতরে এখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিয়ে যেতে পারেন। বিশেষ করে মেয়েদের বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন গহনা, শাড়ি ইত্যাদি খুব অল্প টাকার ভিতরে পাওয়া যায়।
তবে এখানকার যে জিনিসটি আমাকে সব থেকে বেশি কৌতুহলী করে তুলেছিল তা হল হাতে তৈরি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পেইন্টিংস। আমি মোটামুটি সিওর এখানে যত ভালো পেইন্টিংস পাওয়া যায় কলকাতায় পাওয়া যাবে না এত অল্প টাকার ভিতরে।
স্থান: সৃজনী শিল্পগ্রাম(শান্তিনিকেতন), বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
তবে এখানকার অন্য একটা বিশেষ আকর্ষণও ছিল তা হল পিতলের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র। আমি একটা নৌকা এবং একটি রথ কিনেছিলাম। আমার থেকে ২টোর জন্য মাত্র ৬০০ টাকা নিয়েছিল। এই জিনিষ আমাদের কলকাতায় কিনতে গেলে ১৫০০ টাকা অব্দি চেয়ে বসতো। এবং জিনিষ গুলো সত্যিই খুব ভালো ছিল।
স্থান: সৃজনী শিল্পগ্রাম(শান্তিনিকেতন), বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
শান্তিনিকেতনে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা দেখলাম এই গহনা গুলো বেশি ব্যবহার করে এবং তারাই বেশি কেনে। খুব অল্প দাম এগুলোর, মাত্র 25 টাকা দিয়ে এত সুন্দর গহনা আমাদের কলকাতাতে অসম্ভব। এই গহনা দেওয়ার মত আমার কেউ নেই তাও কিছু গহনা কিনেছিলাম শখের বশে। পরে আমার কিছু বান্ধবীদের দিয়ে দিয়েছিলাম।
স্থান: সৃজনী শিল্পগ্রাম(শান্তিনিকেতন), বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
সাধারণত এই ধরনের গেঞ্জি আমি পরতে পারিনা। আমার প্রচন্ড রকম গা চুলকায়। তাও শখ করে কিছু গেঞ্জি কিনেছিলাম,যেগুলো এখনও ব্যবহার করি। বেশ ভালো তবে একটু গরম লাগে পরলে এই আর কি।
স্থান: সৃজনী শিল্পগ্রাম(শান্তিনিকেতন), বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: সৃজনী শিল্পগ্রাম(শান্তিনিকেতন), বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: সৃজনী শিল্পগ্রাম(শান্তিনিকেতন), বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
সৃজনী শিল্প গ্রাম এর মেলাটা আসলে খুব ছোট। মোটামুটি আধা ঘন্টার ভিতরে পুরো মেলা ঘুরে দেখা যায়। যেহেতু আমাদের এখানে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে গেছিল সুতরাং বিকালের ভিতরে পুরো গ্রাম আমাদের ঘুরে দেখা হয়ে গেছিল।
আজকের পর্ব এপর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে। আর ভাল লাগলে অবশ্যই একটা কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন করে ভালো কিছু লেখার উৎসাহ জোগায়।
আমি মনে করি, আমাদের কপাল ভালো এজন্য যে আপনারা ছিলেন। যার জন্য শান্তিনিকেতন এর বিশেষ বিশেষ দৃশ্যগুলো এভাবে দেখতে পারতেছি এবং তার সাথে কিছুটা বর্ণনা করে তুলে ধরেছেন তাই খুশি হতে পারছি। শান্তিনিকেতন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে ভাই। আসলে আপনারা এত সুন্দর মন্তব্য করেন জন্যই আমাদের লেখার এবং আপনাদের সামনে নতুন কিছু তুলে ধরার উৎসাহ বেড়ে যায়।শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ভালো থাকবেন আপনি।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের কিছু ছবি দেখতে পেলাম। এর আগে অবশ্য দাদার পোস্ট থেকেও শান্তিনিকেতনের কিছু ছবি দেখেছিলাম। ইন্ডিয়ায় কখনো গেলে শান্তিনিকেতনে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। মেলার ছবিগুলো ভালো ছিলো। তবে ওইরকম গেঞ্জি গুলো আমাদের দেশে অনেককেই পরতে দেখি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আমাদের দেশে ঘুরতে আসবেন এটা আমাদের জন্য যথেষ্ট সৌভাগ্যের বিষয়। আমি দাদার পোস্ট গুলো দেখেছে। তবে দাদা একটা বৃহত্তর সাইড তুলে ধরেছে। আর আমি সামান্য কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস করছি মাত্র। তবে দাদা এবং আমার টপিকস কিছুটা ভিন্ন এবং জায়গাও আলাদা। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন @rupok ভাই।
সৃজনশীল শিল্পগ্রাম মেলা থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আমি মেলায় গেছি নতুন অনেক জিনিস পাওয়া যায় এইখানে। আমিও যখন গেছিলাম আমার নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছিল এখানে নতুন নতুন জিনিস এর সাথে পরিচিত হতে পেরে। ঘুরে দেখার জন্য বেশ ভালো একটি জায়গা।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন আপনি। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
এর আগেও আমি আপনার একটি পোস্টে এই গ্রামের কিছু তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ পড়েছিলাম সেই সাথে অত্যান্ত দুর্ধর্ষ ফটোগ্রাফি ছিল। এবারও সৃজনী শিল্পগ্রামে বিশেষত্ব ও সুন্দর কারুকার্যতা প্রাচীন কীর্তি মূলক কিছু চিত্র দেখে আমার মন বিশমিত হল। আসলে ভারতে অনেক কিছুই দেখার আছে। ভারতে গিয়ে ঘোরার ইচ্ছা আছে জীবনে। ধন্যবাদ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানলাম।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে। আপনারা আমাদের দেশে আসবেন এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। ভালো থাকবেন আপনি ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।