এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি।। এপ্রিল -১৭/০৪/২০২৩

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের কলকাতায় এত পরিমাণে গরম পড়েছে যে জীবন যৌবন একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। এই গরম পড়ার পর লাস্ট বার কবে যে ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম ঠিক মনে করতে পারছে না। অর্থাৎ এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের এখানে যে, সকাল পাঁচটা থেকে সাতটা এবং সন্ধ্যার পরে ছাড়া ঘর থেকে বেরোনো বেশ মুশকিল হয়ে গেছে। ঘরের ভিতর ঠান্ডা আর বাইরে প্রচন্ড রোদের তাপ এ দুটোর কম্বিনেশন যদি একসাথে ঘটে যায় তাহলে মহা বিপদ। খাওয়া-দাওয়ার অবস্থায় ওই একই রকম, ভারী কোন খাবার খাওয়া যাচ্ছে না আর খেলে সেটা হজম হতে যেমন টাইম লাগছে তেমনি বেশ একটা অস্বস্তিকর ভাব লাগছে। শরীরের ভিতরে এজন্য পাতলা খাবার দাবার এবং লিকুইড জাতীয় জিনিস বেশি পরিমাণে খেতে হচ্ছে। মোটকথা সব মিলিয়ে এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে জীবন এখন দুর্বিষহ। সত্যি কথা বলতে পোস্ট লেখা এবং পোস্ট পড়ার প্রতি আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে এই গরম পড়ার কারণে। মানে মাথা এত পরিমানে গরম হয়ে থাকছে যে কোন কিছুই ভালো লাগছে না ইদানিং।



যাইহোক তারপরও তো রুটিন মাফিক সবকিছু করতে হবে। তাই অনেকটা জোরজবস্তি করেই আসলে করতে হচ্ছে এখন এসব। আজ আপনাদের সামনে ঘাটশিলা থেকে তোলা বিভিন্ন জায়গার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করব এবং আরো চেষ্টা করব সেখানকার টুকটাক বর্ণনা দেওয়ার জন্য। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বলে ফটোগ্রাফি গুলো এক এক করে দেখে নেওয়া যাক।

InShot_20230417_131909084.jpg

একদম পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত, যেখানে আদিবাসীদের গ্রাম সেখানকার একটা ছোটখাটো বাজার এটা। অনেক দূরে যে বাড়িটা দেখাচ্ছে দেখা যাচ্ছে ওটা আসলে একটা চায়ের দোকান এবং প্রতি সপ্তাহে একবার এখানে ছোটখাটো করে বাজার বসে। যেটাকে ওখানকার আঞ্চলিক লোক আদিবাসী বাজার বলে চিনে থাকে। জায়গাটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল কারন চারপাশ পাহাড় এবং মাঝখানে বেশ খানিকটা সমতল ভূমি।

20230223_152513.jpg

পাহাড়ের জঙ্গল ঘোরার জন্য আমাদের যে মহিলা গাইডকে মোতায়ন করা হয়েছিল তারই একটা ফটোগ্রাফি আর পেছনে দেখা যাচ্ছে বড় বড় পাহাড় আমরা সাধারণত ওখানেই গেছিলাম গাড়িতে করে।

20230223_152709.jpg

এগুলো হলো পাহাড়ি মোরগ, সাধারণত মোরগ লড়াইয়ে এই সব মোরগগুলোকেই ব্যবহার করা হয়। কারণ এদের গায়ে প্রচুর পরিমাণে শক্তি থাকে। আমি যখন messenger ঘুরতে গেছিলাম তখন এরকম একটা মুরগি আমরা সবাই মিলে রান্না করে খেয়েছিলাম বেশ টেস্টি খেতে এবং আমাদের দেশি মুরগি থেকেও অনেক বেশি সুস্বাদু।

20230223_153204.jpg

পাহাড়ের উপর অবস্থিত আদিবাসীদের গ্রামের একটি অংশবিশেষ তবে সেখানকার বিল্ডিং গুলো এবং মানুষের কার্যকলাপদের দেখে যতটা বুঝতে পারলাম যে সেখানেও মোটামুটি সভ্যতা বেশ খানিকটা প্রবেশ করেছে। তবে আদিবাসীদের গ্রামগুলো একটু অন্যরকম সুন্দর।

20230223_152234.jpg

20230223_152239.jpg

গভীর জঙ্গল থেকে তোলা একটি ফটোগ্রাফি। এই জায়গায় নাকি মাঝেমধ্যে হাতি দেখা যায় সেজন্য সাধারণ জনগণের জন্য রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়া হয়েছিল। তবে আমরা অনেক অনুরোধ করে এই জায়গায় যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলাম। জায়গাটা আসলে বেশ ভয়ঙ্কর সুন্দর ছিল।

20230223_162928.jpg

20230223_162924.jpg

যদি কখনো ঘাটশিলা যাওয়ার সৌভাগ্য হয় আপনাদের কারো, তাহলে অবশ্যই এই জায়গাটা ঘুরে আসতে ভুলবেন না। এই রাস্তা ধরে বেশ কিছুটা উপরে গেলেই একটা আশ্রয়স্থল এবং সেখানেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বসে গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখতেন। জায়গাটা এতটাই সুন্দর ছিল যে দেখেই মনে হচ্ছিল যে এখানে বসে ২-১ লাইন কবিতা লিখে ফেলি।

পোস্ট বিবরণ


শ্রেণীফটোগ্রাফি।
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@rupaie22
লোকেশনঘাটশিলা, ঝাড়খন্ড।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🎯ধন্যবাদ সবাইকে🎯

Sort:  
 2 years ago 

দাদা ঢাকায়ও গরমে জনজীবন অতিষ্ট। জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়াই মুশকিল। এই তীব্র তাপদাহ কমতে আরো দু-চারদিন সময় লাগবে। আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি মোরগের ছবিটি আমার ভীষণ ভাল লেগেছে। শুভ কামনা আপনার জন্য।

দুই চার দিন না আপু আরো বেশি সময় লাগবে। তবে বর্তমানে এমন পরিস্থিতি হয়ে গেছে যে বাইরে বেরোনো অনেকটাই রিস্ক হয়ে গেছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ার জন্য।

 2 years ago 

এলোমেলো ফটোগ্রাফি কত দেখে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 2 years ago 

গরমের কথা আর কি বলব আমাদের এখানেও গরমে মানুষ বের হতে পারছে না, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে খুব খারাপ অবস্থা। যাই হোক কখনো আদিবাসীদের খুব কাছ থেকে দেখা হয়নি, খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আদিবাসীদের সম্পর্ক সেটা হলো ধারণা হলো এবং ছবির মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে খানিকটা ধারণা হলো।

যদি কখনো পাহাড়ে বা আদিবাসীদের সাথে দেখা বা কথা বলার সুযোগ পান, তাহলে অবশ্যই তাদের সাথে কথা বলে আসতে পারেন। ওই মানুষগুলো আসলে এতটাই ভালো এবং সহজ সরল হয় যেটা সামনাসামনি না দেখলে বুঝতে পারবেন না।

 2 years ago 

গরমের কথা আর কিছু বলবোনা,দুর্বিষহ করে তুলছে পুরো।তার সাথে আবার লোডশেডিং।পাহাড়ি মোরগ আগে দেখা হয়নি আমার।আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পারলাম ভাইয়া।আপনি দারুন ফটোগ্রাফি করেন।এর আগে আপনার করা ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখেছিলাম,ভালো লেগেছিল।এই পোস্টটি পড়েও অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আমাদের এদিকটাতে লোডশেডিং নেই অর্থাৎ মাসেও মনে হয় একবার কারেন্ট যায় না। তবে তারপরও গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে গেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া আমাদের দেশেও প্রচন্ড গরম পড়েছে। এত গরমে রোজা রাখতেও বেশ কষ্ট হচ্ছে। যাইহোক তবুও কিছু করার নেই রোজা তো রাখতেই হবে। এই গরমে সবার উচিত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। আর যতটা সম্ভব বাসা থেকে কম বের হওয়া। আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে প্রথম ফটোগ্রাফিটা। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা বেশ ভালো। যাইহোক এত মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

গরমে রোজা রাখতে যে কতটা কষ্ট হচ্ছে আপনাদের সেটা আমি কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারছি। তবে সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আপনাদের এই কষ্টের প্রতিদান দেবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ার জন্য।

 2 years ago 

সত্যিই গরমে সকলের জীবন বেশ দুর্বিষহ অবস্থা দাদা।তার উপরে তো খাওয়া দাওয়া ও বেশ চিন্তা করেই খেতে হয়।তোমার ফটোগ্রাফিগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে।ঘাটশিলার প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হলাম ,জানতে পারলাম অনেক কিছু।ধন্যবাদ তোমাকে।

বর্তমান সময় সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে খাওয়া-দাওয়া টা। এখন এতটাই সাবধানতা অবলম্বন করে খাবার খেতে হচ্ছে যে তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। একটু এদিক-ওদিক হলেই শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল। এরকম জাগায় গেলে খারাপ মন সাথে সাথে ভাল হয়ে যাবে। ঘাটশিলা জায়গাটা খুবই ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, জায়গাটা এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি যত সময় ছিলাম আমার যাবতীয় টেনশন সব ভুলে গেছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.18
JST 0.033
BTC 89216.15
ETH 3099.59
USDT 1.00
SBD 2.80