ভারতের সবথেকে ভয়ংকর এবং ভুতুড়ে রেলস্টেশন ভ্রমণ (বেগুনকোদর স্টেশন)।। ১০%shy-fox এবং ৫%abb-school এর জন্য।
আমি আগেই বলে নিয়ে চাই, এই স্টেশনের ফটো তোলা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল। তাই যতটুকু পেরেছি লুকিয়ে চুরিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশাকরি এইটুকুতেই আপনারা খুশি হবেন। আমি শুধু ফটোগুলো তুলেছি আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করার জন্য,আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। না হলে এই স্টেশনের ফটো তোলার কোন উদ্দেশ্যই আমার ছিল না।
পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনায় আমি কিছু পর্ব তৈরি করেছিলাম পুরুলিয়ার বিভিন্ন পাহাড় নিয়ে। ওখানে আমাদের সবার প্রিয়জন @rupok দা আমার পোস্ট একটা কমেন্ট করেছিল। এবং দাদার কমেন্টটা আমার বেশ ভালো লাগে। তাই দাদাকে রিপ্লাই দিয়ে বলেছিলাম ভারতের সবথেকে ভয়ংকর ভুতুড়ে স্টেশন এই পুরুলিয়াতেই অবস্থিত এবং এটি নিয়ে একটি পর্ব বানাবো আমি। রূপকদার কাছে দেওয়া কথা রক্ষার্থে আমার আজকের পর্ব।
তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বলে আজকের পর্ব শুরু করা যাক।
স্থান: নর্থ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
পুরুলিয়া ভ্রমণ ছিল আমাদের সর্বমোট বারো দিনের। এই ১২ দিনে আমরা পুরুলিয়ার অলিগলি যত যা ছিল সব ঘুরে এসেছিলাম। তবে সত্যি কথা বলতে ফটো তোলা হয়নি খুব বেশি একটা। তবে কিছুদিন পর আবার বন্ধুদের সাথে পুরুলিয়া যাব তখন প্রচুর ফটো তুলবো এবং আপনাদের সামনে পর্ব আকারে উপস্থাপন করবো এক এক করে। পুরুলিয়া ভ্রমণের একেবারে শেষের দিকে আমরা বেগুনকোদর স্টেশনে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাই। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের নিকটবর্তী এই ভুতুড়ে স্টেশন সবার কাছে এক আতঙ্কের বিষয়। দূর থেকে স্টেশন কে দেখলেও কেমন জানি গা ছমছম করে। আসলে এই অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয় ওখানে গেলেই একমাত্র এই অনুভূতি বোঝা যাবে।
স্থান: নর্থ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এই স্টেশন কে ঘিরে রয়েছে অনেক গুজব, অনেক ইতিহাস, অনেক গল্প। বেগুনকোদর রেল স্টেশনের, স্টেশন ম্যানেজার এবং তার বউ থাকতো ওই স্টেশনের ভেতরের কোন একটি রুমে। তারা ভারতের অন্য কোন একটি প্রদেশ থেকে এখানে এসেছিল। একদিন সকালে নাকি স্টেশনের পেছনে অবস্থিত কুয়ার ভিতর দুটি লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তিতে লাশ দুটিকে সনাক্ত করার পর বোঝা যায় একটি স্টেশন ম্যানেজার এবং অন্যটি স্টেশন ম্যানেজারের বউয়ের। তারপর থেকে নাকি স্টেশনে বিভিন্ন ভুতুড়ে কান্ড দেখা দিতে থাকে। রাতের বেলা কে জানি সাদা শাড়ি পড়ে স্টেশনে ঘোরাঘুরি করে এটা ওখানকার স্থানীয় লোকের মুখে শোনা কথা।
এক সময়ে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতো নিয়মিত এবং স্টেশন কে ঘিরে ছিল অনেক বড় একটি বাজার। এই তবে এই ঘটনার পর থেকে এ স্টেশনে আর ট্রেন দাঁড়ায় না। আর বাজারও আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। আমি যখন ওই স্টেশনে পৌঁছাই, তখন একটি ট্রেন স্টেশন এর উপর দিয়ে চলে গেছিল তবে স্টেশনে দাঁড়ায়নি সুতরাং এই ঘটনার সাক্ষী আমি নিজেও। আমাদের বলে দেওয়া হয়েছিল সন্ধ্যা নামার আগে স্টেশন ত্যাগ করার জন্য। সুতরাং আমরা স্টেশনে বেশি সময় থাকতেও পারিনি। যদিও যত সময় স্টেশনে ছিলাম গায়ের ভিতর কেমন যেন একটা অস্বস্তি অনুভূতি অনুভব করছিলাম।
স্থান: নর্থ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
বিকাল হতে শুরু করলেই এই স্টেশনে কোন মানুষই থাকে না তবে আমরা যখন গেছিলাম তখন দুই থেকে তিনজন লোক ওখানে ছিল এবং তারা ওখানকার স্থানীয়। বাইরের লোক এখানে খুব বেশি একটা আসে না। তাদের মুখেও এই স্টেশনের নানাবিধ গল্প আমরা শুনেছিলাম তবে তারাও আমাদের বারণ করেছিল ফটো না তোলার জন্য কারণ ফটো তুললে অসুবিধা হতে পারে এটা তারা বলেছিল আমাদের। যাইহোক অনেকটা জোর করে এবং লুকিয়ে চুরিয়ে ফটো তুলেছিলাম। তবে শুধু স্টেশন নয় স্টেশন থেকে বেরিয়ে আশেপাশের কয়েকটা ফটো তুলেছিলাম চলুন দেখি দেখে নেওয়া যাক ফটোগুলো এক এক করে। বেগুনকোদর স্টেশন নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। তবে আপনারা চাইলে ইন্টারনেট ঘেঁটে বা ইউটিউব দেখে প্রমাণ করতে পারেন যে এই স্টেশন কতটা ভয়ংকর এবং ভুতুড়ে। ইউটিউব এর বিভিন্ন চ্যানেলে এই স্টেশন কে নিয়ে অনেক ভিডিও রয়েছে।
স্থান: নর্থ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: নর্থ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
ফটো তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকার কারণে আমরা শুধুমাত্র স্টেশনের ফটো তুলতে পারিনি সুতরাং আমাদেরকে ফ্রেম এর ভিতর নিয়েই ফটোগুলো তুলতে হয়েছিল। এই কারণে আমাদের বেশি দেখা যাচ্ছে এবং স্টেশনের ফটো খুব কম দেখা যাচ্ছে।
যাইহোক আজকের পর্ব আর বেশি বড় করবো না। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।
ঘটনাটা বেশ রহস্যময় লাগল। স্টেশন মাস্টার এবং তার বউয়ের রহস্যময় মৃত্যু। এটা গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু তারপর থেকে এখানে ট্রেনও থামে না। তার মানে সত্যি কোনো ঘটনা আছে। যাইহোক ভালো ছিল আপনার আজকের ব্লগটা। ভালো একটি জায়গা নিয়ে লিখেছেন।
খুব ভালো লাগলো এটা জেনে যে আপনি আমার পোস্টটি মন দিয়ে পড়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য, খুব ভালো থাকবেন আপনি।
বেগুনকোদর গেলে যখন রাত থেকে যেতে পারতে। সাদা শাড়ি সহ স্টেশনের কয়েকটা ছবি তুললে আমরাও তেনা দের দেখার সুযোগ পেতুম আরকি। হিঃ হিঃ
কিছুদিন পর আবার যাচ্ছি তো পুরুলিয়া বন্ধুদের সাথে। প্রচুর পর্ব হবে পুরুলিয়া নিয়ে। আসলে আমি যখন ওখানে গেছিলাম তখন steemit join করিনি। তাই গুরুত্ব দিয়ে ফটো তোলা হয়নি। তবে এই বার সব জায়গা ভালো করে কভার করবো। আর যদি রাত ১০ টায় বেগুনকোদর স্টেশন থাকার অনুমতি পাই তাহলে তোমার কথা অবশ্যই রাখবো। তবে যদি সাদা শাড়ি পরা ভূত আমার গলা টিপে ধরে তাহলে কিন্তু তোমার নাম বলবো। যে আমার এক দাদা পাঠিয়েছে আমায়, আসলে আমার কোনো দোষ নেই।😂😂😂
স্টেশন মাস্টার ও তার বৌ এর মৃত্যর কথা জেনে আমার ভয়ই লাগছে। সনি আর্ট এ এমন কিছু স্টেশন নিয়ে তৈরি এপিসোড দেখছি। যাইহোক আপনার স্টোরি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিলো।
এই কাহিনীটা সত্য, আমি নিজে উপলব্ধি করেছি কিছুটা ওখানে গিয়ে। যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং এত সুন্দর একটা গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য। খুব ভালো থাকবেন আপনি, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।