এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি এবং তার পেছনের গল্প।। ফেব্রুয়ারি-০৩/০২/২০২৩।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালো লাগে, মোটামুটি আমি বাইরে গেলেই কিছু না কিছু ফটোগ্রাফি করি। তবে সেটা এখানে পোস্ট করার জন্য নয়, অনেক ফটোগ্রাফি আমি নিজের কাছে রেখে দেই, সেই মুহূর্তটাকে ধরে রাখার জন্য। মাঝেমধ্যে ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে আমার খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়। আবার মাঝে মাঝে এমন এমন খারাপ অভিজ্ঞতা হয় যে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ আমি আপনাদের সামনে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব এবং সেই ফটোগ্রাফি গুলোর পেছনের গল্প বলার চেষ্টা করব, আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বলে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো এক এক করে দেখে নেয়া যাক এবং তার পেছনের গল্প শোনা যাক।

20221208_141851.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221208_141842.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

বেশ কিছুদিন আগের কথা, দমদম স্টেশনে বসে ছিলাম আমার একটা বন্ধুর জন্য। সাধারণত আমরা সেখান থেকেই একসাথে ইউনিভার্সিটি যাই। তাই তার একটা ট্রেন মিস হয়ে যাওয়ার কারণে আমার আধা ঘন্টা স্টেশনে বসে থাকতে হয়। তখন এই দৃশ্যটা আমার চোখে পড়ে। এইযে দুজন লোক দেখা যাচ্ছে তারা চানাচুর মাখা বানানোর জন্য পেঁয়াজ এবং যাবতীয় জিনিস কাটাকাটি করছে। আমি জীবনে এদের মতো এতো নোংরা ভাবে খাবার তৈরি করতে কাউকে দেখিনি। রীতিমতো কোন কিছু ধোয়া না করে নোংরা হাতে এবং ধুলো উড়ছে তার মধ্য দিয়ে পেঁয়াজ কেটে যাচ্ছে। বিশ্বাস করেন, আপনারা যদি এখানে থেকে এই দৃশ্যটা দেখতেন তাহলে অধিকাংশ লোকই বমি করে দিতেন।

20221207_145154.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221207_145209.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

এটা একটা হাস্যকর গল্পওয়ালা ফটোগ্রাফি। হা হা হা... ফটোটা তুলেছিলাম আমার এক বন্ধুর বাড়িতে নেমন্তন্ন খাওয়ার জন্য গিয়ে। এক সময় pubg গেম খুব জনপ্রিয় ছিল, যদিও কোনদিন খেলে দেখিনি আমি। তখন নাকি ছেলেপেলেরা এখানে উঠে গেম খেলত এবং সেই জন্যই ঘরটা বানিয়েছিল। যেহেতু গ্রাম অঞ্চলের নেটওয়ার্কের সমস্যা তাই গাছের উপরে ঘর বানিয়ে ঠিকঠাক নেটওয়ার্ক পাওয়ার জন্য তাদের এই ব্যবস্থা ছিল।

20220902_204329.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

আমি নাকি মোটা হয়ে যাচ্ছি দিন দিন, পেট ফুলে যাচ্ছে তাই নিজের শরীরটাকে কিছুটা কন্ট্রোল এ আনার জন্য গ্রিন টি খাচ্ছিলাম। প্রথমের দিকে তো ভালো লাগত না তবে এখন আমার ফেভারিট হয়ে গেছে।

20221123_215234.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

তখন বাজে রাত সাড়ে দশটা, ঠাকুরনগর স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বারাসাতে নামার জন্য বনগাঁ-শিয়ালদা লোকাল ট্রেনটা ধরলাম। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, পুরো কামরায় আমি একা ছিলাম এতটা ফাঁকা ছিল ট্রেন। সাধারণত এতটা ফাঁকা থাকে না, তবে ঐদিন কেন ছিল বুঝতে পারিনি।

20221121_235032.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

একটা বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে কেউ একজন এই দুটো গোলাপ ফুল আমাকে উপহার দিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তার আর কোন খোঁজখবর নেইনি আমি। তবে একটা ফটো তুলে রেখেছিলাম। অনেকদিন পর ফটোটা দেখে মনে হল আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

20221125_192244.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

গত কালকের কথা ডক্টর আমাকে বলেছে যে সবার এখন শরীর খারাপ হচ্ছে তাই ঠান্ডা জাতীয় কোন জিনিস না খাওয়ার জন্য। এজন্য আমি রাস্তায় নেমে আইসক্রিম খেতে খেতে বাড়ি ফিরছিলাম। হা হা হা... এই আইসক্রিমটা আমার খুবই পছন্দের।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️

Sort:  
 2 years ago 

দাদা আপনি চমৎকার ভাবে ব্যতিক্রম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। হাস্যকর গল্পওয়ালা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

ভাই এই সময়ে গ্রীন টি খান আর যাই খান না কেন পেট কিন্তু কমবে না, হাহাহা মজা করলাম একটু। আপনার প্রত্যেকটা ছবি অসাধারণ ছিল সেই ছবিগুলো বর্ননাও চমৎকার ছিল তবে চেষ্টা করবেন w3w লোকেশন ব্যবহার করার জন্য।

ঠিকই বলেছেন সিয়াম ভাই, গ্রিন টি খেয়ে পেটের কোন উন্নতি হচ্ছে না। এইবার মনে হচ্ছে পেটের উপর দিয়ে বুলডোজার চালাতে হবে। আর w3w এর ব্যাপারটা আমার মাথায় থাকছে।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো দেখতে আর সাথে ছোট ছোট গল্পগুলো বেশ ভাল ছিল।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। গোলাপ দুটি কোন মেয়ে দিয়েছিল তা আন্দাজ করতে পেরেছি।কারন ছেলেরা তো আর ছেলেকে ফুল দিবে না। 😂

ফুলটা দিয়েছিল আমার বান্ধবীর কোন এক ছোট বোন।তখন ছোট দেখে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দেয়নি। তবে দেখতে বেশ সুন্দর ছিল।

 2 years ago 

সত্যি ভাইয়া আপনার যেমন ফটোগ্রাফি, তেমনি গল্প দুইটি মিলে বেশ চমৎকার হয়েছে। এটা সত্যি বলেছেন ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে, তাই বলে সব ফটোগ্রাফি এখানে শেয়ার করা হয় না।এই কারণে লোকেরা বলে বাইরের জিনিস যত কম খাওয়া যায়।আসলে আমরা হয়তো অনেক কিছুই না দেখে খেয়ে থাকি।যাইহোক ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। আর কে যে ফুল দুটি দিল চিনতে পারলেন না, তবে ফুলের মধ্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।ধন্যবাদ

কে ফুল দিয়েছিল তখন ভিড়ের ভিতর ঠিক কথা বলতে পারিনি ঠিকঠাক করে। তবে পরবর্তীতে আমি ভুলে গেছিলাম ব্যাপারটা, এজন্য আর যোগাযোগ করা হয়নি। তবে যদি কখনো সামনে পড়ে তাহলে অবশ্যই কথা বলবো।

 2 years ago 

ভাইয়া বিশ্বাস করেন ফটোগ্রাফি গুলো যেমন সুন্দর হয়েছে তার থেকে বেশি সুন্দর হয়েছে পেছনের গল্প গুলো। না ধুয়ে নোংরা জাগায় পেঁয়াজ কাটার জন্য রাস্তা ঘাটে আমি চানাচুর জাতীয় কিছু খায় না। আর সব থেকে বেশি সুন্দর হয়েছে পাবজি খেলার জন্য গাছের উপর ঘরটা, হা হা হা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

এখনকার রাস্তার খাবারগুলো সত্যিই কেমন অখাদ্য হয়ে গেছে, খেলেই পেট খারাপ করে। এজন্য বুঝেশুনে তারপর রাস্তার খাবার খাওয়া উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 59972.21
ETH 2389.55
USDT 1.00
SBD 2.42