কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন । প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন।সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। গতকাল বিয়ে বাড়ি নিয়ে লেখা আমার সিরিজ শেষ হয়েছে। তাই ভাবলাম আজ একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করা যাক আপনাদের সাথে। আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব কিছু গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি। আর তার সাথে থাকবে টুকটাক বর্ণনা। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

বেশ কিছুদিন আগে বন্ধুরা মিলে গিয়েছিলাম ইকো পার্কে ঘুরতে। যদিও পার্কে খুব একটা যাওয়ার ইচ্ছা আমার কখনোই না। কারণ এখনকার সময় পার্কের পরিবেশ যথেষ্ট খারাপ হয়ে গেছে। আমার মনে হয় পার্কে যাওয়ার থেকে ঘরে বসে থাকাই শ্রেয়। তবে এটা ছিল বন্ধুদের সাথে আমার শেষ ঘুরতে যাওয়া। যেহেতু সবারই গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট হয়ে গেছে। তাই বন্ধুদের এবার যে যার বাড়ি ফিরে যাওয়ার পালা। হয়তো তাদের সাথে আর কোনদিনও দেখা হবে না বা হলেও সেটা খুব কম। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ইকোপার্ক টা ভালো করে ঘুরে দেখব। তবে ইকোপার্ক অনেক বড় মোটামুটি একদিনে ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। যাইহোক দিন ধার্য হল এবং নির্ধারিত দিনের দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরেই সবাই পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তবে ঘর থেকে বেরিয়ে হল আরেক ঝামেলা। হঠাৎ করে আকাশ ভেঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি নেমে পড়ল। মোটামুটি বৃষ্টি থামতে থামতে তিনটা বেজে যায়। এবং ঠিক সাড়ে চারটায় আমরা পার্কে গিয়ে পৌঁছাই।

টিকিট কেটে ইকো পার্কের দুই নাম্বার গেট দিয়ে ঢোকার পর আবার বৃষ্টি শুরু হল। সবার ইচ্ছা ছিল পুরো পার্কটা ঘুরে দেখা কিন্তু বৃষ্টির জন্য সেটা হয়তো সম্ভব হবে না এটাই ভেবে নিয়েছিলাম আমরা। যাইহোক হালকা কিছু বৃষ্টি মাথায় নিয়েই আমরা ঘুরতে বেরোলাম। যদিও বন্ধুদের সাথে ঘোরাটা আমার কাছে প্রধান মোটিভ ছিল তবুও সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু ফটো তুলে নেওয়া যাক ভবিষ্যতে হয়তো কাজে লাগবে। যাইহোক পার্কের দুই নাম্বার গেট দিয়ে ঢুকেই একটা জায়গায় আমার চোখ দাঁড়িয়ে গেল। সেখানে ছিল অজস্র প্রজাতির ফুল এবং নাম না জানা বিভিন্ন গাছ গাছালি। এবং তার ভিতর এই গোলাপ ফুল গুলোকে আমার বেশি আকর্ষণীয় মনে হচ্ছিল। নরমাল যে গোলাপ ফুলগুলো হয় সাধারণত একটি ডালে একটি বা দুটি গোলাপ ফুল ফোটে। তবে এই গাছে দেখলাম থোকায় থোকায় গোলাপ ফুল ফুটেছে। গোলাপ ফুলের এত সুন্দর রং এবং এই প্রজাতি সাধারণত সচরাচর দেখা যায় না।

গোলাপ ফুল ছাড়াও আরো কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি তুলেছিলাম। অন্য কোন পর্বে হয়তো শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।আমি ফটো তোলার এতটাই মগ্ন হয়ে ছিলাম যে বন্ধুরা কখন আমাকে রেখে সবাই চলে গেছে এটা খেয়ালই করিনি। ওখানকার লোকেদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম এই ফুল নাকি বারোমাসই ফোটে। এবং অন্যান্য গোলাপ ফুলের তুলনায় এর স্থায়িত্ব অনেক বেশি দিন। খুব ইচ্ছা ছিল দু-একটা ফুল তুলে নিয়ে আসার। তবে সিকিউরিটি এতটাই টাইট ছিল যে সেটা একদমই সম্ভব হয়নি। এবং এইবার রথের মেলায় গিয়েও এই জাতের গোলাপ ফুল খুঁজেও আমি কোথাও পাইনি। যেহেতু ফটোগ্রাফি পোস্ট সুতরাং তেমন বিশেষ কিছু বর্ণনা করার মত নেই আজ। শরীরটাও খুব বেশি একটা ভালো না তাই বেশি কিছু লেখার ইচ্ছাও করছে না আজ।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।