বাংলাদেশ ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার।। জানুয়ারি- ২৯/০১/২০২৩।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার একেবারেই নেই। তবে এই নতুন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটা খুব সম্ভবত বছর দুয়েক আগে করেছে। এর আগে বাংলাদেশ এম্বাসি ছিল বেদ বাগানে, যেটা শিয়ালদা হয়ে তারপর যেতে হতো। যদিও তখন ভিসা গুলো লোকের দ্বারাই করা হতো, তাই তেমন কোন ঝামেলা ছিল না। কিন্তু ইদানিংকালে যেহেতু ভিসা করাটা অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে এবং সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে সেটা করা সম্ভব তাই ভাবলাম নিজে গিয়ে একবার চেষ্টা করি। প্রথম দিকটা একটু ঝামেলা হলেও শেষের দিকে তেমন বিশেষ কোন সমস্যা হয়নি। খুব সহজেই ভিসা এপ্লিকেশন জমা দিয়ে আসতে পেরেছি। আগের একটা পর্বে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম তবে আজকে ভিসা করা নিয়ে এবং বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে যাওয়া নিয়ে টুকটাক কিছু আলোচনা করব।

20230127_135950.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

এই ভিসা সেন্টারটা করেছে খুব সম্ভবত সল্টলেকের আশেপাশে। বিধান নগর স্টেশন নেমে টোটো তে করে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে সেখানে পৌঁছাতে। যেহেতু আমার প্রথমবার ছিল সেখানে যাওয়া তাই চিনতে একটু কষ্ট হয়ে গেছিল। তবে কলকাতা মোটামুটি একটু চেনা থাকার কারণে খুব বেশি একটা সমস্যা হয়নি। তাই টোটো ধরে ডিরেক্ট সেখানে চলে গেলাম। তবে টোটো ওয়ালা আমাকে বেশ খানিকটা আগে নামিয়ে দিয়েছিল তারপর সেখান থেকে পাঁচ মিনিট হেঁটে বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে গিয়ে পৌছালাম। ভেতরটা বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং বেশ সুন্দর ডেকোরেশন করা ছিল। সত্যি কথা বলতে সেখানে ঢুকে প্রথমেই মানুষের কাছে যথেষ্ট ভালো ব্যবহার পেয়েছিলাম যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।

20230127_135926.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20230127_135910.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20230127_135847.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20230127_135836.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20230127_135831.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

মোটামুটি ওয়েটিং রুমে কিছুটা বসে সেখান থেকে লিফট ধরে দোতলায় উঠে চলে গেলাম। তারপর একটা টোকেন নিয়ে দুই তলার একটা বড় রুমে ওয়েট করতে লাগলাম। আচ্ছা তার আগে কিছু কথা বলেনি, ওয়েটিং রুমের অনেকগুলো ধাপ ছিল কারো ফর্ম ফিলাপ করতে হলে তার জন্য আলাদা ওয়েটিং রুম, কারো ফটো তুলতে হলে তার জন্য আবার আলাদা ওয়েটিং রুম, আবার যদি কেউ শুধু ভিসা জমা দিতে আসে তার জন্য আলাদা ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। আমার যেহেতু যাবতীয় কাজ আগের থেকেই করা ছিল, শুধু ভিসা অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার জন্য গেছিলাম তাই শুধুমাত্র আমাকে ফাইনাল ওয়েটিং রুমে বসতে হয়েছিল। তবে সেখানেও আমাকে বেশি সময় বসতে হয়নি মোটামুটি ১০ মিনিটের ভিতর আমার টোকেন নাম্বার অ্যানাউন্সমেন্ট করে মাইকে। তবে তার আগে ফরম ফিলাপের যাবতীয় কাজ আমি বসে শেষ করে রেখে দিয়েছিলাম।

20230127_133744.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20230127_133658.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

কাউন্টার নাম্বার ১১ এ আমাকে ডাকা হয় এবং আমার যাবতীয় ফর্ম চেক করেন একজন ভদ্র মহিলা। ফর্মের কোথাও তেমন বিশেষ সমস্যা ছিল না, তবে একটা জায়গায় গিয়ে তিনি একটু ভুল ধরে বসেন, সেটা হল বাংলাদেশের যেখানে যাব সেখানকার প্রপার অ্যাড্রেস এবং ফোন নাম্বার। যদিও আমি ফোন নাম্বার এবং এড্রেস দিয়েছিলাম কিন্তু তারপরও তারা এমন এড্রেস চাই যেটাতে নিশ্চিত বোঝা যায় যে আমি সেখানেই যাচ্ছি। তবে পরবর্তীতে তেমন কিছু দিতে হয়নি আমি মোটামুটি তাকে বুঝিয়ে যতটা কনভেন্স করা করা যায়, ততটা করে সবকিছু ঠিকঠাক করে মোটামুটি ফর্ম ওকে করে সেখান থেকে চলে আসি। তবে ভিসা কবে দেবে এমন কোন সঠিক ডেট বলেনি। শুধু এটুকু বলেছে যে ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এখন আমি অপেক্ষা করে বসে আছি কবে আমার হাতে ভিসা পাব।

20230127_132717.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20230127_132708.jpg
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️

Sort:  
 2 years ago 

ভাইয়া আজকের পর্বটা পড়ে অনেক ভাল লাগলো। আপনি বাংলাদেশে আসার জন্য ভিসার এপ্লিকেশেন করেছেন। সেটা জেনে খুবই খুশি হয়েছি। আপনার পোষ্ট পড়ে ভিসা পসেসিং বিষয়টাও কিছুটা বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছো দাদা,আসলে এই কাজগুলো লোকের দ্বারা করলে অতটা ঝামেলা পোহাতে হয় না আর চিন্তাও থাকে না।কিন্তু নিজে করতে গেলে অনেক চিন্তার বিষয়।তাছাড়া ভিসা সেন্টারের ভিতর তো মনে হচ্ছে দ্বিতীয় ভিসা সেন্টার বাংলাদেশের।সব বাংলাদেশের ইতিহাস ভিতরের দৃশ্য এ ফুটে উঠেছে।আশা করি তোমার কাজ দ্রুত মিটে যাবে।শুভকামনা রইলো।

ভেতরে তো ফটো তোলা নিষেধ ছিল, তারপরও দুই একটা ফটো তুলেছি। এজন্য তেমন বিশেষ কিছু শেয়ার করতে পারেনি। তবে ভেতরের পরিবেশটা একেবারেই বাংলাদেশের মতো ছিল। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য।

 2 years ago 

দাদা আপনি তাহলে বাংলাদেশে আসছেন শুনে ভালো লাগতেছে ৷ ভিসা এখন কোনো কঠিন কাজ নয়৷ টাকা থাকলে খুব সহজেই করা যাচ্ছে ৷
যা হোক বাংলাদেশ ভিসা সেন্টারে এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার মূহুর্ত গুলো অনেক ভালো লাগলো ৷ সেই সাথে স্বাগতম আমাদের দেশে ৷

এখনো তো যাইনি আপনাদের দেশে তবে গেলে তো অবশ্যই জানতে পারবেন। সব পোস্ট আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্ট পড়ার জন্য।

 2 years ago 

যাক অবশেষে আপনি বাংলাদেশে আসছেন জেনে বেশ ভালই লাগলো। আর আপনার পোস্টটি পড়ে ভিসা প্রোসেসিং এর নিয়ম কানুনও খুব ভাল করে জানা হয়ে গেল। শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।

ভিসা দেওয়ার প্রসেস খুব বেশি একটা কঠিন না, শুধু ব্যাপারটাকে ফেস করতে হবে। যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, পোস্ট পড়ার জন্য।

 2 years ago 

দাদা বাংলাদেশ ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে গিয়ে বেশ ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। পরিবেশ দেখে আসলেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন লাগছে। কবে আসছেন বাংলাদেশে? আমাদের সাথে দেখা করবেন কিন্তু। শেষ পর্যন্ত এপ্লিকেশন করে বের হয়েছেন। ধন্যবাদ দাদা ।

এখনো কবে আসছি বলতে পারব না ভাই, তবে যদি সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই আপনাদের সাথে দেখা করার চেষ্টা করব।

 2 years ago 

কয়েকদিন আগে ভিসার জন্য এপ্লাই করতে আমিও গেছিলাম । এই ভিসা অফিসের ভেতরটা সত্যি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এখানে বিধান নগর থেকে যেতে বেশি একটা সময় লাগে না। এখানে গিয়ে ভিসার জন্য এপ্লাই করতে খুব একটা বেশি সময়েরও প্রয়োজন পড়ে না।

আমাদের তো খুব বেশি ঝামেলা হয়েছিল না। তবে প্রথম থেকে যারা এখানে স্টেপ বাই স্টেপ প্রসেস কমপ্লিট করে তাদের জন্য একটু চাপ হয়ে যায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60308.44
ETH 2640.77
USDT 1.00
SBD 2.54