আলোয় আলোকিত কলকাতার পার্কস্ট্রিট।। জানুয়ারি-০২/০১/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
---|
মাদার টেরিজা সরণি (পূর্বনাম পার্ক স্ট্রিট) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা মহানগরীর অন্যতম প্রধান রাস্তা। জওহরলাল নেহেরু রোড ও পার্ক সার্কাস - মল্লিক বাজার অঞ্চলের যোগাযোগকারী সরণীটি পার্ক স্ট্রিট নামে পরিচিত৷ এটি বহুকাল ধরেই কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য হিসাবে বিবেচিত হয়। আর এই জায়গাটা বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সব থেকে যেটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটা হলো সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ। ২৫শে ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের দিন এই জায়গাটায় আলোয় আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে এবং এই লইটিং দেখতে আসে হাজার হাজার মানুষ।
সাধারণ কলকাতাবাসীর কাছে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলটি এখনও, এই একুশ শতকেও সাহেবপাড়া হিসেবে পরিচিত। ইউরোপীয় ধাঁচের জীবনচর্যা, খাওয়াদাওয়া, পানীয়, পোশাক-আশাক, গানবাজনা ইত্যাদি যেন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই জায়গার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এশিয়াটিক সোসাইটির থেকে শুরু হয়ে ভিতরের রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকলে একের পর এক বিখ্যাত রেস্তরাঁ, বইয়ের দোকান, গয়না বা ছবির দোকান চোখে পড়বে। সেই সব কিছুই যেন একটুখানি অন্য রকম। কলকাতা শহরের কেন্দ্রস্থলেই খোঁজ মিলবে অন্য এক কলকাতার। আমার আগের একটা পর্বে বলেছিলাম আমি ২৫শে ডিসেম্বর কেন পার্ক স্ট্রিটে যায়নি।
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এইবার আসি আমার পার্কস্ট্রিট ঘোরার গল্প নিয়ে। দুইদিন আগে একটা পোস্ট এখানে শেয়ার করেছিলাম ময়দান নিয়ে। সেটা তো আপনারা অনেকেই জানেন যারা আমার পোস্ট পড়েছেন। ময়দান থেকে পার্ক স্ট্রিটের এই রাস্তা হেটে মোটামুটি ১০ থেকে ১২ মিনিটের মতো সময় লাগে। যেহেতু আমরা ২৫ তারিখ ওখানে যেতে পেরেছিলাম না প্রচন্ডরকম ভিড়ের কারণে, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েই ২৬ তারিখ পুরো কলকাতা একবার ভালো করে ঘুরে দেখব। বিশেষ করে ময়দান, মিউজিয়াম এবং পার্ক স্ট্রিটের সেই বিখ্যাত রাস্তা। মোটামুটি সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলে আমরা ময়দান থেকে পার্ক স্ট্রিটের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এবং সেখানে পৌঁছে সব থেকে যে ব্যাপারটা বেশি নজর কেটেছিল সেটা হল পুরো রাস্তা জুড়ে রয়েছে রংবেরঙের আলোকসজ্জা। সাধারণত বড়দিনের দুইদিন আগে থেকে দুই দিন পরে পর্যন্ত এ রাস্তা আলোকিত থাকে নানা রঙের লাইটে। তাছাড়া এই কয়দিন এই রাস্তায় সকল যানজট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের চলাচলের সুযোগ করে দেয়ার জন্য এবং ভালো করে সবাই যাতে চার্চ ঘুরে দেখতে পারে।
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
যাইহোক পার্ক স্ট্রীটে গিয়ে আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যে চার্চে মোমবাতি জ্বালিয়ে আশপাশটা একটু ঘুরে দেখব। তবে আমরা পৌঁছাতে হয়তো একটু দেরি করে ফেলেছিলাম। কারণ চার্চ তখন সাধারণ জনগণের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরপর আমরা সেখানে বেশি সময় দাঁড়ায়নি। শুধুমাত্র পার্ক স্ট্রিটের পুরো রাস্তাটা হেঁটে কিছু ফটোগ্রাফি করে সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আমি কলকাতার ছেলে হলেও পার্ক স্ট্রিটে এই প্রথমবার গেছিলাম ক্রিসমাস উপলক্ষে। এর আগে শুধু টিভিতে দেখেছি এবং গল্প শুনেছি পার্ক স্ট্রিটের ২৫ ডিসেম্বর কে নিয়ে।
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: কলকাতা , ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
হুম হুম দেখেছিলাম আগের পর্ব,সেখানে মেয়েদের ছবি তোলেছেন 😜,যাক ১৫ মিনিট হেটে আলোকিত কলকাতার পার্কস্ট্রিট এসেছেন।আপনি নিশ্চয়ই গয়নার দোকান গুলোর সামনে দাড়িয়ে ছিলেন মেয়ে দেখার জন্য🤣🤣।যাই হোক ফটোগ্রাফি গুলো রাতের ছবিগুলো বেশ সুন্দর লাগছে।ধন্যবাদ
আমি মেয়েদের দেখিনা, মেয়েরাই আমাকে দেখে। ধন্যবাদ এত সুন্দর অপমান করে মন্তব্য করার জন্য।🤣
পার্ক স্ট্রিট নামের একটা সাবান ও আছে না দাদা? আর আপনার পোস্টে এত ফাকা দেখতেছি,টিকটক আর ইউটিউবে না দেখলাম লোকেলোকারণ্য। তবে দাদা লাইটিং গুলো এত সুন্দর যে এত মানুষ দেখতে আসলেও অবাক হব না।আপনার মোম জ্বালানো হল না জেনে খারাপ লাগল একটু। যাই হোক সুন্দর লাইটিং এর ছবিগুলো ও ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মুখেই প্রথমবার শুনলাম।😁
আমি একদিন পরে গেছিলাম এই জন্য ফাঁকা ছিল। ভিড় পছন্দ না আমার।
অসাধারণ আলোক সজ্জার আলোচিত্র দেখে সত্যি হৃদয় জুড়ে গেলো। পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে রাতের বেলা অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে শীতের রাতের বেলা এত সুন্দর আলো সজ্জার দৃশ্য উপভোগ করার মতন। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য।
সত্যি দাদা মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার আজকের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আলোকিত কলকাতার পার্কস্ট্রিটটে অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এত সুন্দর কিছু আলোকসজ্জা দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছে। বেশ ভালো ছিল ফটোগ্রাফি গুলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য।