ডোমিনোজ এর পিজ্জা।। ফেব্রুয়ারি-২৫/০২/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল এবং টুকটাক শপিংও করছিলাম। গত পরশুদিন কিছু শপিং করতে স্টারমালে গিয়ে সেখান থেকে সরাসরি ডোমিনোজ রেস্টুরেন্টে ঢুকে যাই। আগে যে জায়গাটাতে ডমিনোজ এর রেস্টুরেন্ট ছিল সেখান থেকে এটা আরো বেশি ফ্রন্টে। মোটামুটি সবার চোখ একবার হলেও রেস্টুরেন্টের দিকে যাবে, যারা স্টার মলে শপিং করতে আসবে। আমার সাথে আমার খুব কাছের একজন বন্ধু ছিল তাকে নিয়েই আসলে সেখানে যাওয়া। যেহেতু সে কলকাতার বাইরে থাকে এবং খুব বেশি একটা দেখা হয় না। আর এমনিতেও তাকে একটা ট্রিট দেওয়ার কথা ছিল আমার। সেই জন্য তাকে নিয়ে সেখানে চলে গেলাম। প্রথমে ঢুকেই মেনু কার্ডে চোখ দিতেই দেখলাম যে পিজ্জার দামের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে তুলনায় দাম কিছুটা বেড়েছে। যদিও ঠিক বুঝতে পারলাম না, এটা কি আম্বিয়েন্সের জন্য নাকি পিজ্জার কোয়ালিটিতে কোন পরিবর্তন হয়েছে।
বেশিরভাগ সময়ে আমরা কম্ব অফার টাই বেশি নেই। কারণ তার সাথে একটা সফট ড্রিংকস এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থাকে। যেটা আমার খুবই পছন্দের। আর তার থেকে বড় কথা বেশ কিছুটা সাশ্রয় হয়। যেহেতু ট্রিট আমি দেবো তাই চয়েজ আমার বন্ধুকেই করতে দিলাম। তবে সে আবার আমার খুব কেয়ার করে তাই দামের দিকটা সে মাথায় রেখেই অর্ডার করল। দুটো স্মোকি চিকেন পিৎজা উইথ এক্সট্রা চিজ অর্ডার করা হলো। মোটামুটি ১০ মিনিটের ভিতরেই আমাদের সামনে পিজ্জা চলে আসলো। এদের সার্ভিসিং ব্যবস্থা দেখলাম আগের থেকে বেশ কিছুটা উন্নত হয়েছে। আগে অর্ডার করে বসে থাকতে হতো অনেক সময় ইদানিং দেখছি তারা খুব তাড়াতাড়ি সার্ভিস দিচ্ছে।
ডোমিনোজ এর পিৎজা নিয়ে আসলে রিভিউ করার মত কিছু নেই। এদের টেস্ট সারা জীবনই একই রকম থাকে। তবে যদি পিজ্জার ভিতর এক্সট্রা মেয়োনিজ বা চিজ দেওয়া হয় তাহলে টেস্টের কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। তবে পিজ্জার থেকেও আমার কাছে যে জিনিসটা সবথেকে ভালো লেগেছিল সেটা হল ফ্রেন্স ফ্রাই। আসলে এত সুন্দর খেতে ছিল যেটা আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এমনিতেও অনেক রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়েছি, তবে আগের দিনের যে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ছিল ওটা মুখে লেগে থাকার মত টেস্ট ছিল। আর এদের কোল্ডড্রিংসটাও অন্যরকম হয় খেতে। যাইহোক পিজ্জার সাইজ যেহেতু ছোট ছিল তাই দুটো পিজ্জাতে আমাদের মোটামুটি পেট ভরেছিল। এরপর আমরা বাইরে এসে আবার টুকটাক কিছু খাবার খেয়েছিলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ব্লগিং |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | কলকাতা। |
এত পিজ্জা খাওয়া ঠিক না। খালি পিজ্জা কেন কোন ফাস্টফুডই বেশি খাওয়া ঠিক না। যাক এমন কেয়ারিং বন্ধু খুবই কম পাওয়া যায়। আপনার সাশ্রয় এর বিষয় টা দেখেছে।তবে এর আগে ডমিনোজ এর ব্যাপারে বাজে রিভিউ দেখেছিলাম।ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
খেতে ইচ্ছা করলে আর কি করা যাবে রে ভাই।
আর আমার বন্ধুবান্ধবগুলো এমনিতেই খুব ভালো। যদিও আমি বন্ধু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ ফলো করি।
আমি দিয়েছিলাম নাকি...?
আপনার মত পিজ্জা আমারও খুব ফেভারিট মাঝে মাঝে খাওয়া হয়।
জেনে খুব ভালো লাগলো যে ছোটবেলা থেকেই পিজ্জা প্রতি আপনার দুর্বলতা কাজ করে এর মানে আপনার খুব ফেভারিট একটি খাবার।।
আসলে সবারই এমন কিছু খাবার থাকে যা খেতে খেতে একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় না খেলে যেন আর ভালো লাগেনা।।
পিজ্জা আমার এতটাই পছন্দ যে যদি আমাকে সারা জীবন শুধু পিজ্জাই খেতে দেওয়া হয় তাহলে হয়তো আমি খেতে পারবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তুমি তো দেখছি পিজ্জাপ্রেমি দাদা।হি হি ,বন্ধু নিশ্চয়ই ট্রিট পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে।তোমার খরচের দিকে বন্ধুটি কেয়ার করে জেনে ভালো লাগলো।ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার ও খুব ভালো লাগে খেতে।খুবই লোভনীয় লাগছিল পিজ্জাটি,ধন্যবাদ।
একদমই খুশি হয়নি। বলছিল যে এর থেকে KFC তে খেলে আরো বেশি ভালো হতো,আর পিজ্জা আমার খুবই পছন্দ। সামনে দেখলেই লোভ সামলাতে পারিনা।