কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন । প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন।সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজ থাকছে বৃষ্টি ভেজা কাঠগোলাপ ফুলের কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি করার ক্ষেত্রে আমার দক্ষতা খুব বেশি একটা নেই, তবে মুহূর্ত ক্যাপচার করে ধরে রাখতে আমার বেশ ভালই লাগে। এজন্যই মূলত ফটোগ্রাফি করা। মোটামুটি সুযোগ-সুবিধা পেলেই ফটোগ্রাফি করি। ঐরকম কিছু ফটো থাকছে আজকের পর্বে। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

গত পরশুদিন আসলে একটু বাইরে বেরিয়েছিলাম এবং ঘরে ফেরার পথে প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয় এবং আমি পুরোপুরি ভিজে যাই যেহেতু আমি বাইকে ছিলাম। তারপর থেকে শরীরটা বেশ খারাপ। গতকাল সামান্য মাথাব্যথা এবং হালকা জ্বর ছিল। কিন্তু আজকে দেখলাম অসুস্থতার পরিমাণ একটু বেড়েছে মাথাব্যথা তো রয়েছে তার সাথে জ্বরও একটু বেড়েছে। যাইহোক কি আর পাওয়া যাবে লেখালেখি তো করতেই হবে কষ্ট হলেও। তারপরও যতটা সংক্ষেপে করা যায় আজকের পর্ব শেষ করে দেব। আচ্ছা আর বেশি কথা না বলে আজকের টপিক্সে ফিরে যাওয়া যাক। বেশ কিছুদিন আগে আমি একটা পর্ব তৈরি করেছিলাম গোলাপ ফুল নিয়ে আমার বাংলা ব্লগে। ওটা ইকোপার্ক গিয়ে তোলা হয়েছিল। আজকের পর্বটাও ইকো পার্ক ভিত্তিক। তাছাড়া ভবিষ্যতে অনেক পর্ব হবে যেগুলো ইকো পার্ক ভিত্তিক। আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যখন আমরা সবাই ইকো পার্কে ঢুকি তখন আসলে মুষলধারে বৃষ্টি নেমে পড়ে। সুতরাং আমাদের পার্ক ঘোরা অনেকটা অসম্ভব হয়ে গেছিল। এতে করে আমাদের মনও কিছুটা খারাপ হয়, যেহেতু বন্ধুরা মিলে অনেকদিন পর ঘুরতে এসেছি এবং এটাই শেষ ঘোরা ছিল তাদের সাথে আমার।

মোটামুটি একটু দৌড়াদৌড়ি করে পার্কের ভিতর একটা সুন্দর ক্যাফে তে গিয়ে বসলাম এবং সেখানে গিয়ে চা, সিঙ্গারা এবং চিকেন পকোড়া অর্ডার করে খেতে লাগলাম। টুকটাক গল্প এবং তার সাথে হাসি ঠাট্টা করে ভালোই সময় কাটছিল। কিন্তু আমার মন পড়ছিল পার্কের বিভিন্ন জায়গা, যেখানে ফুটে রয়েছে অসম্ভব প্রজাতির ফুল এবং অনেক সুন্দর সিনারি যেটা দেখার জন্য মন উৎফুল্ল হয়ে উঠছিল। মোটামুটি ঘন্টা খানেক পরে বৃষ্টি কিছুটা থামল। এবং বন্ধুদের বললাম এবার তাহলে পার্কটা ঘুরে দেখা যাক। কিন্তু তারা মোটেই রাজি হলো না। তারা কোন প্রকার বৃষ্টিতে ভিজতে উৎসাহিত নয়। তবে যেহেতু ফটোগ্রাফি করা আমার একটা প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। তাই তাদের বলে আমি একা একাই বেরিয়ে পড়লাম ফটো তোলার উদ্দেশ্যে।

মোটামুটি হাঁটতে হাঁটতে পার্কের ঠিক মিডিল পয়েন্টে একটা উঁচু জায়গায় কাঠ গোলাপ ফুলের গাছটি দেখতে পেলাম। তবে সেখানে শুধু একটি কাঠ গোলাপ গুলো ফুলের গাছ ছিলনা, ছিল অসংখ্য কাঠগোলাপ ফুল এবং তাদের নানা ধরনের প্রজাতি। বিশেষ করে লাল কাঠ গোলাপ যেটা সচরাচর দেখা যায় না ওটা অন্য কোন পর্ব শেয়ার করব। যাইহোক কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো এই যে মোটামুটি কাঠগোলাপ ফুলের ফটো তুলতে গেলে আমাকে কাদা ভেঙে তারপর ওখানে যেতে হবে। যেহেতু চামড়ার চটি পরেছিলাম সুতরাং কাদা ভাঙাটা বেশ দুসাধ্য মনে হচ্ছিল আমার কাছে। তবে ফুলগুলো এত সুন্দর দেখাচ্ছিলো এবং বৃষ্টিতে ভিজে এতটা আকর্ষণে মনে হচ্ছিল তাই ফটো তোলার লোভটা সামলাতে পারলাম না। মোটামুটি পায়ের চটি খুলে হাতে নিয়ে তারপর গাছের গোড়ায় চলে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়েও ফটো তোলা বেশ কষ্টকর ছিল। কারণ বৃষ্টির কারণে গাছ পুরো ভিজে আছে এবং টিপটিপ করে বৃষ্টির জল নিচে পড়ছে। এতে করে আমার ক্যামেরায়ও জল পড়তে লাগলো। যাইহোক অনেকটা রিস্ক নিয়ে ফটোগুলো তুলে ফেললাম। যেগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। যাইহোক আজকের পর্ব আর বেশি বড় করব না।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।