বর্তির বিল ভ্রমণ (পর্ব-০৪)।। নভেম্বর-৩০/১১/২০২২।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
বর্তির বিল ভ্রমণ নিয়ে লেখা চতুর্থ পর্বে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এর আগেই হয়তো একটা পর্বে আপনাদের বলেছিলাম যে বর্তির বিলের এক এক অংশে এক এক রকম সৌন্দর্য। যারা আমার আগের পোস্টগুলো পড়েছেন তারা এই বিষয়ে মোটামুটি অবগত। আজও তেমন কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, যেগুলো দেখলে হয়তো আপনাদের পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যেতে পারে অথবা যারা গ্রাম ভালবাসেন তাদের কাছে আরও অনেক বেশি সুন্দর লাগবে। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বলে আজকের মেইন টপিক্সে ফিরে যাওয়া যাক।

20221110_162838.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বেড়াবাড়ি, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

এই ফটোটা রীতিমতো আমাকে ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। যখন ছোটবেলায় দাদুর সাথে বিলে যেতাম শীতকালে, তখন আমাদের জমির পুরনো নোংরা গুলো ঠিক এভাবেই আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হতো।আর যদি বিকেলবেলা যেতাম, তাহলে সেখানে বসে কিছুটা আগুন ছেকে নিতাম গায়ে। আসলে এই মানুষগুলো খুবই সহজ সরল ছিল, এদের সাথে কথা বলে খুব মজা পেয়েছিলাম ওইদিন।

20221110_162858.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বেড়াবাড়ি, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221110_162904.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বেড়াবাড়ি, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221110_162909.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বেড়াবাড়ি, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

আগের ফটোটা এবং এই ফটোগুলো অনেকটাই একই রকম তবে একটা বিশেষ পার্থক্য রয়েছে সেটা হচ্ছে ধোয়ার মাঝখান দিয়েও পড়ন্ত বিকেলের লাল টুকটুকে সূর্যটা খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছে সেজন্যই আসলে ফটোটা তুলেছিলাম। আসলে শীতের বিকেলে এভাবে বিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে পশ্চিমে ঢুলে যাওয়া সূর্য দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে।

20221110_162731.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বেড়াবাড়ি, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221110_162728.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বেড়াবাড়ি, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

এই ফটোটা রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটা ফাঁকা জমির মধ্যে দাঁড়িয়ে তুলেছিলাম। দূরে দেখা যাচ্ছে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি অস্থায়ী চায়ের দোকান এবং স্কুটিতে বসে আছে আমাদের রঙিন বাবু। এবার চায়ের দোকানটা অস্থায়ী কেন বললাম, কারণ এটা শুধুমাত্র শীতকালেই বসে। বর্ষাকালে এই চায়ের দোকানটা এখানে থাকে না। দূর থেকে দেখতে বেশ ভালই লাগছিল তাই ঝটপট ফটোটা তুলে নিলাম।

20221110_164223.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বেড়াবাড়ি, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

একদম শেষের দিকটাতে চায়ের কাপ এর একটা ফটো তুলেছিলাম। আমি চা সাধারনত খাই না, কিন্তু ওই দিন রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চায়ের দোকানের মহিলাটা বলছিল যে আজ নাকি তার কোন রকম কেনাবেচা হয়নি। তাই আমরা যদি দুই এক কাপ চা খাই তাহলে তার বেশ উপকার হবে। এজন্যই প্রধানত চা খেয়েছিলাম। তবে বিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের পেয়ালায় চুমুক দেয়ার মজাই আলাদা।

20221110_162847.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বেড়াবাড়ি, ইন্ডিয়া।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

এই জায়গাটা বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল এবং কিছু শুকনো গাছের ডাল এবং কিছু বুনো ঘাসপালা সেখানে পড়েছিল। তাই প্রায় তিন চার পর সেখানে বসে কিছুটা আগুন ছেঁকে নিলাম। তবে এতটাই তাপ দিচ্ছিল যে, সেখানে বসে থাকা বেশ চাপের হয়ে গেছিল। তাই বেশ কিছুটা পিছিয়ে একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম এবং সেখানে কিছু সময় বসেছিলাম।


যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️

Sort:  
 2 years ago 

গ্রামের পরিবেশ আর খালবিল সবকিছু আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর সবথেকে যেটা ভালো লাগে তা হলো সাধারণ মানুষের নির্মল হাসি।
বিল পরিষ্কার করে এরকম আগুন দিতে দেখেছি অনেক জায়গায়। শীতকালে এগুলো এরকম বেশি দেখা যায়। যাক মাটির কাপে চুমুক তাহলে দিলেন। ভালো লেগেছে পোস্টটি দাদা, ভালো থাকুন।

গ্রামের মানুষ গুলো আসলেই খুব অমায়িক হয়। শহরে থাকতে থাকতে আসলে বোঝা যায়, গ্রামের মানুষ কতটা সহজ সরল এবং ভালো। পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

 2 years ago 

আহারে মহিলাটা শুধু চায়ের কথা বলেছিলো,আর কিছু বলেনি😜?এই ধরেন চায়ের সাথে টা।বর্তির বিলের এ সম্পর্কে আপনার আরও অনেক পোস্ট দেখেছি।শীতকালে এইরকম আগুন পোহানো মজাই আলাদা।ছবিগুলো বেশ ভালো তুলেছেন।ধন্যবাদ

অনেক কিছুই বলেছিল তবে আমি শুধু চা খেতেই রাজি হয়েছিলাম। কারণ বাইরের কোনো জিনিষ তো আমি খুব বেশি খাইনা। আর রাস্তার জিনিষ তো একদমই না।

 2 years ago 

গ্রামের পরিবেশ খুব ভাল লাগে আমার। আমিও যখন শীতে গ্রামে যেতাম ,তখন জমির ময়লা এভাবে পোড়াতে দেখতাম।আমার ও ছেলেবেলার কথা মনে পরে গেল।আর চা খেতে দারুন লাগে সব সময় ।আপনি যে কেন পছন্দ করেন না ,বুঝি না।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে আমি নিজেও জানিনা, আমার চা খেতে কেন ভালো লাগে না। তবে মাঝেমধ্যে কফি খাই, ওটা আমার বেশ পছন্দের।

 2 years ago 

এই ধরনের পরিবেশ সবসময়ই মন আকর্ষণ করার মত হয়। আমি তো ভেবেছিলাম আপনার এই ভ্রমণের পর্ব অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।এটা যে এখনো শেষ হয়নি ভাবতেই পারিনি। যাই হোক ছবিগুলোর মধ্যে অ্যাঙ্গুলার ভাবে যে ছবিটা নিয়েছেন যেখানে সূর্যটা একটু দেখা যাচ্ছে ওই ছবিটা বেশ আলাদা রকম লাগছে। আর মাটির ভাঁড়ে কিন্তু চা খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। বিশেষ করে একটু মোটা ধরনের মাটির ভাঁড় হলে চা-টা দেওয়ার পরে বেশ একটা সোঁদা গন্ধ হয়। সেটা চায়ের স্বাদ যেন আরো দ্বিগুণ করে দেয়।

আপনি তো দেখছি মাটির ভাঁড়ের চা এক্সপার্ট। হা হা হা.... তবে এখনও বর্তির বিল নিয়ে লেখা শেষ হয়নি। আরো একটা পর্ব হবে মনে হয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 63683.34
ETH 2754.57
USDT 1.00
SBD 2.64