আজকের ব্লগটা অনেকটাই ছোট করে করবো। তবে অবশ্যই সেটা নিয়ম মেনে। গতকাল আমাদের এই দিকটাতে এক পসরা ভালোই বৃষ্টি হয়ে গেল। আবার দুই দিন হলো কিছু কাছের বন্ধু কলকাতা ফিরে এসেছে তাদের ছুটি হয়ে গেছে তাই। সুতরাং কালকে বৃষ্টি হওয়ার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে বাইরে ঘুরতে যাব সন্ধ্যার পর। কারণ আমাদের এই দিকটাতে বেশ সুন্দর একটা জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টির পর পরিবেশটা বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হয়ে যায়। যদিও তখন অল্প অল্প করে মেঘ ডাকছিল, তারপরেও সবাই অনেকটা সাহস সঞ্চয় করে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম মাথায় একটা ছাতা দিয়ে। সবার দেখা হল একসাথে স্টেশনে এবং তারপর করি আমরা সেখান থেকে রওনা দিলাম আমাদের গন্তব্য স্থানে। পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের মোটামুটি আধা ঘন্টার মত লেগে যায়। যাইহোক অনেক কথা তো বলে ফেললাম এবার আস্তে আস্তে ফটোগুলো দেখে নেওয়া যাক এবং তার সাথে অল্প বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।।

রাস্তার পাশের একটা পরিত্যক্ত বাড়ির গেট থেকে তোলা ফটোগ্রাফি। আমি জন্মের পর থেকেই দেখছি এই বাড়িটা পরিত্যক্ত। কোন লোকজন আসেও না, আবার এই জমি কেউ কেনেও না। কি জানি কি কাহিনী। যদি কোনদিন জানতে পারি তাহলে অবশ্যই সেটা নিয়ে একটা গল্প লিখব।

এরা দুজনই আমার খুব কাছের বন্ধু। একজন চলে গেছে নর্থ বেঙ্গল পড়াশোনা করার জন্য আর একজন ভোপালে। হঠাৎ করে রাস্তার ভিতরে তাদের ইচ্ছা হল ছাতা মাথায় একটা পোজ দিয়ে ফটো তুলবে। যাই হোক তাদের ইচ্ছা রক্ষার্থে ফটো তুলে দিতে হলো আর কি।

ফাঁকা রাস্তায় যখন একা একা হাঁটছিলাম তখন তুলেছিলাম এই ফটোটা। জায়গাটা এবং পরিবেশটা অনেক ভালো লেগেছিল। কারণ রাস্তাটা ছিল বৃষ্টি ভেজা এবং অনেকটাই যানজট মুক্ত। এর আগেও আমি এ রাস্তায় অনেক বার এসেছি। সন্ধ্যা হলেই এই জায়গাটা কেমন জানি ভুতুড়ে হয়ে যায়।

এটা আমার বন্ধু সৌরভ। সে তো রীতিমতো ফটো তোলার জন্য বৃষ্টিতে প্রায় ভিজেই গেছিল। তবে প্রথম ফটোটা দেখে তার নাকি বেশ ভালো লেগেছিল। তাই সে আর একটা ফটো তুলতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। তবে ফটোটা আমার বেশ ভালো লেগেছিল তাই শেয়ার করলাম।

বৃষ্টির কারণে এই জায়গাটা ফাঁকা মনে হলেও বিকালের দিকে এই জায়গাটায় মানুষজন গমগম করে। অধিকাংশ সময়ে এই জায়গাটাতে আমাদের চায়ের আড্ডা বসে। সময় কাটানোর জন্য খুব সুন্দর একটা জায়গা।

ঠান্ডার সময় কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া আমার একটা নেশা। যদিও কোলড্রিংস খুব বেশি একটা খাওয়া ঠিক না তারপরও আমি লোভ সামলাতে পারি না। সুযোগ পেলেই দু-একটা খেয়ে নেই। যেহেতু হাতে ছিল তাই একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম।

এই জায়গাটা বেশ ভুতুড়ে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই জায়গায় আসতে ভয় পেতাম। প্রচুর শেয়াল থাকতো একসময় এখানে। তবে এখন বসতবাড়ি উঠে যাওয়ার কারণে তেমন একটা ভয় নেই। তারপরও রাতে এখান দিয়ে হাঁটতে গা ছমছম করে এখনো।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।