খড়দহ বিখ্যাত এগ চিকেন রোল।। আগস্ট -১৭/০৮/২০২৩।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

অন্যান্য শহরগুলোর কথা বলতে পারব না, তবে আমাদের কলকাতা শহরে এগ রোল বা মাটন রোল এতটাই বিখ্যাত যে প্রত্যেকটা স্ট্রিট ফুডের দোকানে এটা এভেলেবল থাকে। তাহলে আমি এটাকে স্পেশাল এগ চিকেন রোল কেন বললাম এটা নিয়ে আপনাদের একটু কৌতুহল থাকতে পারে। তবে আশা করি সেই কৌতুহল কিছু সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। খড়দহ হল আমার কাকু বাড়ি। তাই মাঝেমধ্যে সময় সুযোগ পেলে সেখানে ঘুরতে চলে যাই। আর ওখানকার খাবার দাবার অনেক ভালো সেটা আপনাদের আগেও বলেছি। বিশেষ করে সেখানকার মোমো এবং বিরিয়ানি অনেক বেশি বিখ্যাত। যদিও সেখানে আমার খুব বেশি একটা যাওয়া হয় না তবে আমার খুব কাছের একজন বন্ধু সেখানে থাকে তাই তার কাছ থেকে সবসময় আপডেট পেতে থাকি, যে কোথাকার খাবার ভালো এবং কোথা থেকে খাবার খেলে মোটামুটি একটু স্যাটিসফেকশন পাওয়া যাবে। যাইহোক সে আমাকে বলল যে তুই যদি এরপর কখনো খড়দহ আসিস তাহলে আমাকে ফোন করিস, তোকে এক জায়গায় নিয়ে যাব। সেখানকার এগ রোল বা এগ চিকেন রোল অনেক বিখ্যাত।

InShot_20230817_151905982.jpg

গত সপ্তাহের শেষের দিকে কাকুর বাড়ি আবার যেতে হয়েছিল জমির দলিল আনার জন্য। সেই সুযোগে আসলে আমার বন্ধুকে ফোন করেছিলাম। যদিও প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল এজন্য কাকুর বাড়িতে আবার জমির দলিল রেখে বন্ধুর সাথে ছাতা মাথায় দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম সেই দোকানের উদ্দেশ্যে। সাধারণত আমি ট্রেন জার্নি অনেক বেশি কমফোর্ট মনে করি। এজন্য বেশিরভাগ সময় ট্রেনে করেই যাতায়াত করি। সুতরাং বাড়ি থেকে ট্রেন ধরে দমদম স্টেশনে এবং সেখান থেকে আবার ট্রেন ধরে চলে গেলাম খড়দহ। যাইহোক বন্ধুর সাথে দেখা হতেই বলল চল অটোতে করে চলে যাই অনেকটাই দূর আছে এখান থেকে। তবে আমি তো বিকেল বেলা একটু হাটাহাটি করতে পছন্দ করি। এই জন্য বললাম চল ভেতরে দিক দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমরা চলে যাই যদিও আমাদের আধা ঘন্টার মত সময় লাগবে তবে গল্প করতে করতে যাওয়া যাবে। তবে আমার কথায় সে অমত পোষণ করেনি, এজন্য ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সুখ-দুঃখের গল্প করতে করতে রওনা দিলাম গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

20230813_195302.jpg

শহরের এসব গলি গুলোর ভিতর দিয়ে আসলে হাটাহাটি করতে অনেক ভালো লাগে। তার ওপর আবার বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেক জায়গায় জল জমে গেছে। এজন্য অনেকটা অকওয়ার্ড লাগছিল। তারপরও যথেষ্ট মজা করতে করতে যাচ্ছিলাম। যাইহোকায় ৪০ মিনিট হাঁটার পর আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত ফাস্টফুডের দোকানে এসে হাজির হলাম। এগ রোল তো আমি এর আগে অনেকবার খেয়েছি ইনফেক্ট আমাদের বাড়ির পাশে খুব সুন্দর একটা এগ রোল এর দোকান রয়েছে এবং এটাও খুব বিখ্যাত। তবে তার কাছে নাকি খড়দহ এর বিখ্যাত মনে হয়েছে এই ফাস্টফুড এর দোকানটা। যদিও দোকানের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে আমার কাছে তেমন কিছু একটা মনে হয়নি। তারপরও ভাবলাম যে তাহলে খেয়ে দেখা যাক কেমন লাগে। যদিও শুধুমাত্র আমরা এগ চিকেন রোল অর্ডার করেছিলাম তা নয়, আমরা অর্ডার করেছিলাম চিকেন ফ্রাই এবং অন্য কি একটা আইটেম যেন, মনে নেই। সেটা নিয়ে অন্য কোন একদিন রিভিউ পোস্ট করবে। যাই হোক আমরা খাবারের অর্ডার দিতেই মোটামুটি ১৫ মিনিট এর ভিতরে আমাদের রোল এসে সামনে উপস্থিত হলো।

20230813_195310.jpg

আসলে সত্যি কথা বলতে এদের এগ চিকেন রোল বানানোর প্রসেসটা আমার কাছে একটু অন্যরকম লেগেছিল। ভেতরে তারা যে চিকেনের স্টাফিং টা ব্যবহার করে সেটা চিলি চিকেনের খুব সম্ভবত এবং চিকেনটা অনেক বেশি জুসি। অন্যদিকে ভিতরে কি একটা গ্রেভি দেয় যেটা অনেক বেশি ফ্লেভারফুল। যাই হোক সবশেষে দিল তান্দুরি সস এবং হালকা পোড়ানো পেঁয়াজ। সাধারণত অন্যান্য দোকানগুলোতে এরকম কম্বিনেশন দেয়া হয় না, যেটা এখানে দিয়েছিল। এজন্য একটু হলেও ভিন্নতা আমি অনুভব করেছি। তার থেকেও বড় কথা এখানে চিকেনের পরিমাণ অন্যান্য দোকানের থেকে অনেক বেশি দেয়। চিকেন রোল বাবদ আমাদের থেকে মনে হয় ৭০ টাকা করে নিয়েছিল। যাইহোক চিকেন রোল টা হাতে ধরিয়ে দিতেই প্রথমে একটা ফটো তুলে নিলাম তারপর দুজনে মুখে নিয়ে একটা কামড় দিতেই মনে হল যে আসলেই এটা স্পেশাল। কারণ এই চিকেন এগ রোলের টেস্ট অন্যান্য গুলো থেকে অনেক বেশি আলাদা ছিল এবং খেতে এত সুস্বাদু ছিল বিশেষ করে মাংসটা এত টেস্টি এবং এত জুসই ছিল মনে হচ্ছিল আরো দুটো রোল খেয়ে ফেলতে পারব।
20230813_195335.jpg
যাইহোক আমার কাছে এটা আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হয়েছিল অন্যান্য জায়গা তুলনায়। এরপর আমরা সেখান থেকে বাকি খাবার গুলো খেয়ে রওনা দিলাম অন্য জায়গায়। তবে অন্যান্য খাবারগুলো খুব যে ভালো লেগেছিল সেটা বলবে না। এরপর আবার সেখান থেকে কোল্ড ড্রিংকস খেতে খেতে গলি ধরে হাঁটতে লাগলাম।

20230813_195934.jpg

20230813_200017.jpg

20230813_200020.jpg

20230813_201511.jpg

পোস্ট বিবরণ


শ্রেণীফুড রিভিউ পোস্ট।
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@rupaie22
লোকেশনখড়দহ, কলকাতা।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🎯ধন্যবাদ সবাইকে🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

বৃষ্টির দিনে আপনারা দেখছি ভালই মজা করেছেন। চিকেন এগ রোল খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আসলে বৃষ্টি হলে এখন শহরগুলোতে বেশিরভাগ জায়গাতেই পানি জমে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়।

 last year 

এমন বন্ধু কয়নের ভাগ্যে জুটে যে বিখ্যাত আর অতি সুস্বাদু খাবারের আপডেট জানায়। খড়দহ বিখ্যাত এগ চিকেন রোলের কালার দেখেই বুঝে নিয়েছি যে এটা দারুন স্বাদ হবে। বর্ণনাতে ও তাই পড়লাম। সব দিক দিয়ে মিলে গেল,হে হে হে । ধন্যবাদ।

 last year 

এগ চিকেন রোলটা দেখছি সত্যিই তাহলে বিখ্যাত। মাংসটা যখন অনেকটা জুসি ছিল আবার গ্রেভিটা অন্যরকম কিছু একটা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, তার মানে নিশ্চয়ই এটা অনেক টেস্টি ছিল । যদি কখনো খড়দহ যাওয়ার সুযোগ হয় তাহলে তোমার থেকে ঠিকানা নিয়ে এই ফাস্টফুডের দোকানে একবার যেতেই হচ্ছে এর চিকেন রোল খেতে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58482.75
ETH 2615.94
USDT 1.00
SBD 2.42