অবশেষে হাতে পেলাম।। ডিসেম্বর-২০/১২/২০২২।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
---|
মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য মাইগ্রেশন সার্টিফিকেটটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়েছে আজ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে। এরপর ছিল মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার চিন্তা। কিন্তু সেটাও সফলভাবে হয়ে যায়। তবে আমার যাবতীয় ভর্তির প্রসিডিওর অনলাইনে হয়েছিল তাই অফলাইনে ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন করার জন্য আমাকে একটা নির্দিষ্ট ডেট দিয়ে দেয়া হয়। মাস্টার্স এ ভর্তি হওয়ার মাসখানেক আগে থেকে আমি মাইগ্রেশন সার্টিফিকেটের জন্য স্টেট ইউনিভার্সিটিতে একটা অ্যাপ্লিকেশন দেয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাদের কাজের গতি এতটাই স্লো যে বলে বোঝানো যাবে না। ইউনিভার্সিটিতে মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য দুটো প্রসেস ছিল, একটা হচ্ছে এক মাসের ভিতর দেবে এবং অন্যটা তিন দিনের ভিতর দেবে। যেটা এক মাসের ভিতর দেবে সেটাতে কোন টাকা লাগবে না, তবে যেটা তিনদিনের ভিতর দেবে সেখানে বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন ছিল। যেহেতু আমার খুব বেশি একটা ইম্পরট্যান্ট ছিল না, তাই আমি ফ্রিতে করার সিদ্ধান্ত নেই। তবে ফ্রি জিনিস কেমন হয় সেটা তো আপনারা সকলেই জানেন আমিও সেরকমই বুঝতে পেরেছিলাম।
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
মোটামুটি আমাকে মাসখানেক পরে একটা ডেট দিয়ে দেওয়া হয় যে এই ডেটে এসে আপনি মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে যাবেন। তবে তার থেকে দু একদিন পরে গেলেও কোন সমস্যা হয় না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে দুই এক দিন পরেই যাবো, কারণ আমি এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে ইউনিভার্সিটি যাওয়ার জন্য সময় বের করতে পারছিলাম না। এদিকে আমার ক্লাস চলছে এবং পরীক্ষাও নিয়মিত দিতে হচ্ছে। যাই হোক আমি মোটামুটি দুই তিন দিন দেরি করেই ইউনিভার্সিটি গেলাম। আমার বাড়ি থেকে পুরনো ইউনিভার্সিটিতে গাড়িতে করে বেশি সময় লাগে না। ১৫ মিনিটের মত সময় লাগে। যাইহোক প্রথম দিন গিয়ে তো রীতিমত আমি অবাক হলাম। কি একটা ব্যাপার নিয়ে ইউনিভার্সিটিতে খুব ঝামেলা হচ্ছে এবং অফিসের স্টাফগুলো সেদিন আসেনি সুতরাং আমাকে অনেকটা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হলো।
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এদিকে আমাকে নতুন ইউনিভার্সিটি থেকে অনেকটাই প্রেশার দেয়া হচ্ছে অফলাইন ডকুমেন্ট সাবমিট করার জন্য। একটা চাপেই পড়ে গেলাম তাই তার দুইদিন পর আবার স্ট্রেট ইউনিভার্সিটিতে গেলাম মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট তোলার জন্য। কিন্তু সেদিন গিয়েও একই ব্যাপার হল, মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট যিনি দেবেন তিনি ওই দিন অফিসে আসেননি। তাই আমাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হলো। আমি ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষা করার পর আবার অফিসে গিয়ে দেখলাম তিনি এখনো আসেনি। পরবর্তীতে সেখানকার একজন স্টাফের কাছে জানতে পারলাম উনি নাকি আজকে আসবেনই না। কি আর করব এমনিতেই মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিল। আবার মাথাও গরম করা যাবে না, তাই ভালোভাবে শুনে এবং আমার সমস্যার কথা বলে একটা নির্দিষ্ট টাইম ফিক্সড করে ইউনিভার্সিটি থেকে ওই দিনের মতো চলে আসলাম।
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আমার ইউনিভার্সিটিতে অফলাইন ডকুমেন্ট সাবমিটের তারিখ ছিল আগের মাসের ২১ তারিখ। তাই ১৯ তারিখ একটা পাকা ডেট ফিক্সট করে বাড়ি চলে আসলাম। তবে ১৯ তারিখ গিয়ে তো আমি রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছিলাম। ওইদিন আবার ছিল ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা। এদিকে ইউনিভার্সিটিতে এত পরিমাণে ভিড় মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য যে বলে বোঝানো যাবে না। আমাকে দুপুর একটার দিকে যেতে বলা হয়েছিল। আমি মোটামুটি বারোটা নাগাদ ইউনিভার্সিটিতে পৌঁছে যায় তবে গিয়ে দেখি আমার সামনে প্রায় ১০০ থেকে দেড়শ ছেলেপেলের লাইন। তবে যাই হোক না কেন, সিদ্ধান্ত নিলাম আজ মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট নিয়েই বাড়ি যাব।
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
প্রায় ঘন্টাখানেক পর আমার কাছে এসে স্লিপ টা নিয়ে গেল। তার মানে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে আর দু এক ঘন্টা দাঁড়ালেই মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে আজ বাড়ি যেতে পারবো। আমি বারোটার সময় উনিভার্সিটিতে আসলেও আমার সিরিয়াল আসতে আসতে বিকেল চারটা বেজে গেল। এরপর আমাকে অফিস রুমে ডাকা হল। এবং সমস্ত প্রসিডিউর কমপ্লিট করে শেষ পর্যন্ত মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট আমার হাতে পেলাম। তবে তারপরও পুরো কাজ হয়নি, অর্ধেক কাজ কমপ্লিট হলো। অর্থাৎ ইউনিভার্সিটির ঝামেলা মিটানোর জন্য যতটুক দরকার ঠিক ততটুকুই পেলাম।
স্থান: ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
তার মানে অনেক প্রতীক্ষার প্রহর গুনে সার্টিফিকেটটি অর্জন করতে পেরেছেন। যদিও কয়েকবার যাওয়ার পরে এটা সফলতায় পরিণত হয়েছে। যাক ধন্যবাদ আপনাকে পুরো অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
অভিজ্ঞতা হয়েছে এটা সত্যি কথা, তবে প্রচুর পরিমাণে কষ্ট হয়েছে যেটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে পোস্ট পড়ার জন্য।
সেটা বুঝতে পেরেছি ভাই, অনেক কষ্ট করেই অবশেষে হাতে পেলেন ধন্যবাদ।
যাক শেষমেষ অনেক প্রতীক্ষার পর নিজের সার্টিফিকেটগুলো পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে এই কাজগুলো বেশ সময় সাপেক্ষ হয়। তাই তো অনেক অপেক্ষা করতে হয়। তবে ভাইয়া আপনার পোস্টের টাইটেলে বোধয় হতের জায়গায় হাতে হবে মনে হচ্ছে।
সময় সাপেক্ষ তো বটেই, তবে আমি সার্টিফিকেটের জন্য অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছিলাম মাসখানেক আগে। তারপরেও এত টাইম কেন লাগলো বুঝতে পারলাম না।
যাই হোক ভাইয়া অনেক কষ্টের পর আপনি আপনার সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। এগুলো অনেক সময় সাপেক্ষ কাজ ভাইয়া। বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পেয়েছি তবে পুরোটা পাইনি আর কি। তারপরেও কাজ চলার মত হয়েছে তাতেই খুশি আমি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।
এত কষ্ট, দুর্ভোগের পর মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন এটাই তো সবচেয়ে বড় কথা। নতুন ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে এই সার্টিফিকেটটা খুবই প্রয়োজন সেটা তো বুঝতে পেরেছি। কিন্তু এরকমই ফ্রিতে কোন জিনিস ভালোভাবে প্রাপ্তি হয় না যা আপনার আজকের পোস্ট পড়ে বুঝলাম। এতদিন অপেক্ষা করার পর আপনি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সার্টিফিকেটটি নিতে পেরেছেন এটাই তো ভাগ্যের বিষয়।
আসলে আমার খুব বেশি একটা প্রয়োজন ছিল না তাই ফ্রিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে তারা যে এতটা ঝামেলা করবে সেটা বুঝতে পারিনি।
যাক শান্তি এত ঘুরাঘুরি করে অবশেষে আপনি আপনার মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট টি হাতে পেলেন তাহলে। আসলে সরকারি বলেন আর বেসরকারি বলেন কোথাও আজকাল একবারে কাজ হয় না।
বেসরকারি সেক্টর গুলো তাও নিয়মিত কাজ করার চেষ্টা করে। তবে সরকারি জায়গা গুলো এতটাই ফালতু হয়ে গেছে যে বলে বোঝানো যাবে না। এরা কাজ তো করবেই না উল্টে লোককে ঝুলিয়ে রেখে দেবে মাসের পর মাস।
অনেক কষ্ট ও দূর্ভোগের পর আপনি আপনার মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন। এটা জেনে খুব ভাল লাগলো।এ নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি, ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।পোস্টের টাইটেলে ভাইয়া হাতে হবে।পোস্টটি শেয়ার করার চেষ্টা অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি এতবার চেক করার পরেও টাইটেল এর একটা বানান ভুল গেল। পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
স্টেট ইউনিভার্সিটি সব সময় এইরকম ঝামেলা করে, এটা নতুন কিছুনা। আমার নিজের বেলায়ও খুব ঝামেলা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পেয়েছো এটাই অনেক। ওরা তো সময় মতো কোনো কাজই করেনা।
স্টেট ইউনিভার্সিটি সত্যিই খুব ঝামেলা করে। এর আগেও আমার বেশ কিছু কাজে অনেকবার দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছিল। মাঝেমধ্যে তো মনে হয় ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে আন্দোলন করি।🤭
ঠিকই বলেছেন ফ্রী জিনিস মানেই ঝামেলা , কষ্ট করিয়ে সেটা উসুল করে নেবে। আপনিও অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন সেই রকমই। তাও আপনি শেষ পর্যন্ত আপনার ইউনিভার্সিটি এর কাজটা মেটাতে পারলেন সেটা খুব ভালো একটা বিষয়। এরপর আপনার বাকি অর্ধেক কাজ ভালোভাবে হয়ে যাবে আশা করি।
বাকি অর্ধেক কাজও মনে হয় হবে না, ওটার জন্যও আরো দুই তিন মাস ঝুলিয়ে রাখবে। স্টেট ইউনিভার্সিটি ভাব গতি খুব বেশি একটা ভালো না।
😂😂😂 আপনি একেবারে দুই তিন মাস ধরে রেখেছেন
অলরেডি এক মাস হয়ে গেছে। এখনো কোনো খবর নেই। এই জন্য বললাম🤭
😂😂😂😂