বর্তির বিল ভ্রমণ (পর্ব-০১)।। নভেম্বর-১৭/১১/২০২২।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
বর্তির বিল নিয়ে পর্ব তৈরি করব, এই কথা আমার একটা পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের অনেক আগেই জানিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল বর্ষাকালে বর্তির বিলে গিয়ে কিছু ফটো সংগ্রহ করবো। কারণ শীতকাল, বর্ষাকাল এবং গরমকাল এই তিন ঋতুতে বর্তির বিলের চেহারা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তবে আমার কাছে মনে হয় বর্ষাকালে এবং শীতকালটা বর্তির বিল আরো সুন্দর সাজে সেজে ওঠে। আমাদের সকলের পছন্দের blacks দা এর খুব পছন্দের জায়গা এটা। হয়তো অনেকেই ব্যাপারটা জানেন। সত্যি কথা বলতে এই জায়গা আবিষ্কার করেছিলাম আমি আর দাদা প্রথমে। তার আগে এখানে বিশেষ লোকজন যেতনা। এখন তো বলতে গেলে এটা অনেকটাই টুরিস্ট স্পট হয়ে গেছে। বর্তির বিল আসলে অনেক বড় তাই একটা নির্দিষ্ট সাইড ধরে ধরে এগোব, যাতে পুরোটাই কাভার করতে পারি। অর্থাৎ পার্টিকুলার একটা সাইডের ফটো শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক এক এক করে ফটো গুলো, আর তার সাথে থাকবে টুকটাক বর্ণনা।

20221110_160128.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

বিলের এই সাইটটা আসলে বলতে গেলে শুরুর দিক। অর্থাৎ গ্রামের মেঠো পথ পেরিয়ে বিলে ঢুকতেই এই জায়গাটা চোখে পড়ে। দূরে বাঁশের তৈরি যে বেড়ার ঘরটা দেখা যাচ্ছে, ওটা আসলে চায়ের দোকান। এর আগে আমি যখন এসেছিলাম তখন চায়ের দোকানটা দেখিনি। খুব সম্ভবত ৫-৬ মাস হবে দোকানটা হয়েছে।

20221110_160121.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221110_160135.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

এখন আপনারা যে রাস্তাটা দেখতে পাচ্ছেন, জানলে অবাক হবেন যে, সারা বছরই এ রাস্তাটা জলের নিচে থাকে। শুধুমাত্র শীতকাল হলেই এই রাস্তাটা শুকিয়ে যায়। আমরা যখন বর্ষাকালে এই জায়গাটা আসতাম তখন এই রাস্তার উপর দিয়েই নৌকা করে ঘুরে বেড়াতাম। আর দূরে দেখা যাচ্ছে একটা ছোট বাগানের মত ওখানে গিয়ে আড্ডা দিতাম।

20221110_160112.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221110_160118.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221110_160125.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

শিশির ভেজা বিকেলে এই জায়গাটায় দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু পুরো বিলটাই ফাঁকা তাই এই রাস্তার মাঝখানে দাঁড়ালেই সকালবেলা সূর্য উদয় এবং বিকেল বেলা সূর্যাস্ত খুব সুন্দর করে দেখা যায়। আমরা তো বিকালে গিয়েছিলাম, সে জন্য শুধুমাত্র সূর্যাস্তটাই দেখতে পেয়েছি। আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে।

20221110_160642.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

20221110_160639.jpg
স্থান: নীলগঞ্জ, বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.

রাস্তা ধরে বেশ কিছুটা এগিয়ে ভিতরের দিকে যেতেই দেখলাম, একটা জায়গার জল এখনো ভালো করে শুকায়নি এবং সেখানে রয়েছে প্রচুর কচুরিপানা এবং ফুটে রয়েছে তাতে অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ফুল। সবথেকে যে বিষয়টা ভালো লাগলো সেটা হল কচুরিপানার ভেতর অসংখ্য ছোট ছোট মাছ ছিল যেগুলো লাফালাফি করছিল এবং আমি খুব স্পষ্ট ভাবে শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। খুব ইচ্ছা হচ্ছিল এখানে নেমে মাছ ধরতে কিন্তু এই ঠান্ডা জলে নামলেই আমার শরীর খারাপ হয়ে যাবে সেই কথা চিন্তা করে এবং সাপের ভয় নামতে পারিনি।


যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️

Sort:  
 2 years ago 

বর্তির বিল নামটা দারুণ কিন্তু জায়গাটা ও অনেক সুন্দর। যে রাস্তাটা সারা বছর জলের ভিতর থাকে কিন্তু শীতকাল এলে শুকিয়ে যায় দারুণ ব্যাপার তো। সত্যি বলেছেন ভাইয়া শিশির ভেজা বিকেলে সূর্যাস্ত দেখতে খুবই ভালো লাগে। কচুরিপানার মাছগুলোর কথা শুনে ধরতে অনেক ইচ্ছে করছে -হা হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য। ছোটবেলায় আমিও প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরতাম। বিলে মাছ ধরতে আমার বেশ ভালই লাগতো।

 2 years ago 

ভাইয়া এটা জেনে ভাল লাগলো যে আমি আর ব্লাক দাদা মিলে মানুষের নিকট বর্তির বিলের খবর পৌছে দিয়েছেন। বর্তির বিলটা বিশাল বড় দেখা যায়। সব থেকে বড় কথা হলো বিলের মাঝখানে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে এমন একটি চায়ের দোকান পেলে আর কি লাগে। বিকালে সময় কাটানোর সুন্দর একটি জায়গা হলো বর্তির বিল। আর যদি বর্তির বিল আপনাদের বাড়ির পাশে হতো তাহেলে ঠিকই ঐ পানিতে নামতেন মাছ ধরতে,হা হা হা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমি তো চা খাইনা, তাও ওখানে গিয়ে মাটির ভাঁড় এ এককাপ চা খেয়েছিলাম। মন ভালো করে দেওয়ার মতো একটা জায়গা 🙂

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 63862.88
ETH 2754.56
USDT 1.00
SBD 2.64