আমার কবিতার খাতা থেকে (🖤বাস্তবতা 🖤) জুন -০৫/০৬/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
অনেকদিন পর আজ আপনাদের সামনে আবারো নতুন একটা কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে আজকের কবিতাটা অনেকটাই আমার জীবনের সাথে মিল রয়েছে। আমার মনে হয় যে পুরুষ মানুষের আসলে টাকা ছাড়া কোন মূল্য নেই। তোমার যতই রূপ, যৌবন থাকুক না কেন টাকা না থাকলে কেউ তোমাকে ঠিকঠাক করে মূল্য দেবে না। একটা বয়সের পর আসলে নিজের কাছেও ব্যাপারটা অনেকটাই খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে তো মনে হয় যে এত পড়াশোনা করে কি হল, যদি তার থেকে টাকার পেছনে দৌড়াতাম, তাহলে এতদিনে হয়তো অনেক টাকা ইনকাম করতে পারতাম। আপনার যত ভালোই সার্টিফিকেট থাকুক না কেন অভিজ্ঞতা না থাকলে কেউ তেমন চাকরি দিতে চায় না। আর আমাদের পশ্চিমবাংলাতে এখন চাকরি অনেকটা আকাশের চাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছি। যাইহোক আর বেশি কথা বলব না, আপনার কবিতাটা পড়লেই হয়তো কিছুটা বুঝতে পারবেন।
🖤বাস্তবতা 🖤
দৃষ্টিহীন এই ঘুনে ধরা সমাজটাকে,
করলাম অনেক অবলোকন।
কেউ বলছে পেতে হবে চাকরি, করতে হবে বিয়ে;
বাবা-মায়ের সম্মান রাখতে হবে,
সরকারি চাকরি দিয়ে।
ছুটছি শহর, ছুটছি নগর,
পাড়ি দিচ্ছি সব বাধা।
মরীচিকাময় এই সভ্য সমাজ,
আস্ত গোলক ধাঁধা।
পায়ের নিচে পড়ছে ঠোসা,
ঝরছে গায়ের ঘাম;
তবুও যেন পাই না খুঁজে,
চাকরির সন্ধান।
মাঝে মাঝে হয়ে যাই দিকবিদিক শূন্য,
চোখ দিয়ে ঝরে জল;
তাহলে আমার মানব জীবন কি আসলেই বৃথা..?
চিন্তায় হারিয়ে ফেলি মনোবল।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | কবিতা। |
---|
যাইহোক আজকের কবিতা এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের কবিতাটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।
শুরুতে যা যা লিখেছেন এর চাইতে বাস্তব সত্য আর দুইটা নাই ভাই। অর্থ ছাড়া এক ফোঁটা দাম দেয় না কেউ। আর চাকরি তো সোনার হরিণ। সরকারী চাকরীর জন্য তৈরি হতে হতে এক সময় হতাশা এসে যায়। আর প্রাইভেট এর জন্য চাই মামা অথবা মামু। লবিং ছাড়া সব যেন অচল। পুরো কবিতায় আমার মনের কথাই বলে গেলেন অনরগল।
এটা শুধু আপনার মনের কথা না সজীব ভাই, এটা আমার নিজেরও মনের কথা। বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরি সোনার হরিণের থেকেও মূল্যবান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একদম ঠিক কথা বলছেন ভাইয়া মাঝে মাঝে জীবনটা অনেক বেশি বিষন্ন মনে হয়। কারণ পড়া লেখাতে এত বেশি সময় চলে যায় কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে নিজেকে আর সামলানো যায় না। কারণ অনেকদিন এভাবেই নিজেকে কাটুনি করার পরে যদি চাকরি বাজারে এত প্রতিযোগিতা চলে আসে তাহলে বলেন তো কত খারাপ লাগে। আজকাল তো ঠিক বলছেন চাকরি পাওয়া বেশ কষ্টের। বাস্তবতা নিয়ে কবিতাটি লিখেছেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। কবিতার প্রতিটি কথা অনেক অর্থবহ ছিল।
আমাদের পশ্চিমবাংলাতে তো চাকরির অবস্থা আরো খারাপ। ছেলে পেলে পাস করে বসে আছে চাকরির কোন খবর নেই। জানিনা এই সমস্যার সমাধান কবে হবে।
ওয়াও অসাধারণ আপনি অনেক সুন্দর করে বাস্তবতা কবিতা লিখেছেন। ঠিক বলেছেন পুরুষেরা টাকার পিছে ছুটে টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না। তবে অনেক সময় টাকা মানুষকে সুখ দেয় না। তবে চাকরি এখন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব জায়গাতে এখন একই অবস্থা। সত্যি বলতে আপনার কবিতা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে কবিতাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ে টাকা পয়সা ছাড়া আসলে মানুষের কোন মূল্যই নেই। দিন যত যাচ্ছে এই ব্যাপারটা তত বেশি অনুধাবন করতে পারছি। আপনাকে ধন্যবাদ আপু কবিতাটি পড়ার জন্য।
ভাইয়া আপনার বাস্তবতা কবিতাটি বাস্তবসম্মত বিষয়ের উপরে চমৎকার ভাবে লিখেছেন। আসলে ভাইয়া বর্তমান সময়ে চাকরির বাজারটা যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। সারা বছর লেখাপড়া করে অর্জন করা সার্টিফিকেট জানো চাকরির বাজারে মূল্যহীন হয়ে গেছে। খুবই সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের ভারতবর্ষ, তথা কলকাতার বর্তমান যে চাকরির পরিস্থিতি তাতে আমার মনে হয় সমস্ত বেকার যুবকের মুখে এরকম কবিতা ভাসতে থাকে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই কবিতাটা পড়ার জন্য।
আসলেই তাই ,একটা বয়সের পর ছেলেদের যতই সৌন্দর্য থাকুক না কেন ,যদি সে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে তাহলে এই সমাজে তার কোন দাম থাকে না।সে কতটা শিক্ষিত, বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এটা কেউ দেখে না, সবাই শুধু দেখে সে কত টাকা ইনকাম করছে। নিজের জীবনের সাথে মিল রেখে দারুন একটা বাস্তব জীবনের কবিতা লিখেছ ।খুবই ভালো লাগলো কবিতাটি পড়ে।
কবিতার কিছু কিছু জায়গা আসলে আমার নিজের জীবনের সাথে অবিরত ঘটে চলেছে। এ জন্যই আর কি এরকম একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কবিতাটা পড়ার জন্য।