ব্যারাকপুরের কিছু বিখ্যাত জায়গার ফটোগ্রাফি।। ডিসেম্বর-২২/১২/২০২২।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
---|
ব্যারাকপুর শহরকে আমরা একেক জন একেক ভাবে চিনি। তবে অধিকাংশ লোক সব থেকে যে জন্য বেশি চেনে সেটা হল বিরিয়ানি। কলকাতার সব বিখ্যাত এবং নামকরা বিরিয়ানি ব্যারাকপুরেই পাওয়া যায়। তবে এটা বলছি না যে কলকাতার অন্য কোথাও ভালো বিরিয়ানি পাওয়া যায় না, তবে আমরা দাদা বৌদির বিরিয়ানি কে কলকাতার সব থেকে নামকরা বিরিয়ানি বলি এবং সেই বিরিয়ানির দোকানের জন্মস্থানই হল ব্যারাকপুরে। যাই হোক এই বিষয় নিয়ে তেমন কোনো কথা বলার নেই। আজকের বিষয় নিয়ে কথা বলি। আমার এক বন্ধু রয়েছে যার বাড়ি ব্যারাকপুরে এবং বলতে গেলে গঙ্গার তীরেই তার বাড়ি। বেশ কিছুদিন আগে তার খুব কাছের কিছু বন্ধুদের বাড়িতে নেমন্তন্ন করেছিল। সেই সুবাদে আর কি তার বাড়ি যাওয়া। এবং সেখান থেকে তুলেছিলাম কিছু ফটোগ্রাফি সেগুলোই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব এবং টুকটাক বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর বেশি কথা বলে শুরু করা যাক।
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এই জায়গাটাতে এক সময় পুরোহিতরা বসবাস করত এবং তার পাশেই ছিল জগদ্ধাত্রী মায়ের মন্দির। তবে এখন জায়গাটা বলতে গেলে পরিত্যক্ত, শুধুমাত্র বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়ে জগদ্ধাত্রী পুজো করা হয়। মন্দিরের এই বিল্ডিংটা অনেক বেশি পুরনো বেশিরভাগ জায়গায় ফাটল ধরেছে।
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এই জায়গাটা হলো শীতলা মায়ের মন্দিরের ঠিক পাশেই গঙ্গার ঘাটের গেট। এখানে প্রচুর লোক স্নান করতে আসে বাইরে থেকে এবং বছরের একটা সময় এখানে অনুষ্ঠান হয়। তবে আমার সেটা দেখার সৌভাগ্য হয়নি শুধুমাত্র ঘাট দেখে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল।
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এটা হল পুরনো গঙ্গার ঘাটের গেটের ভেতরের অংশ। যেহেতু পাশেই রয়েছে মহাশ্মশান, তাই যাবতীয় সৎকার এবং যোগানুষ্ঠান এই ঘাটে বসেই করা হয়। তারপর মৃত মানুষের ছাই ভস্ম ভাসিয়ে দেয়া হয় গঙ্গা নদীতে। আমি যতবারই এই জায়গায় গেছি ততবারই দেখেছি কোনো না কোনো যোগ্য অনুষ্ঠান চলছে।
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এটা হল নতুন গঙ্গার ঘাট, এটা খুব বেশি বছর হয়নি বানানো হয়েছে এবং এই জায়গাটা শুধুমাত্র স্নান করার জন্যই এবং গঙ্গাজল নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং মানুষের ব্যবহারের সব উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সবসময় সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া থাকে। আমার সাথে যারা ঘুরতে গিয়েছিল তারা সবাই এখানে স্নান করেছিল শুধুমাত্র আমি বাদে, কারণ নদীতে নামতে আমার ভয় করে।
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এই জায়গা দুটো তেমন বিশেষ কিছু না। তবে যেহেতু ফটো তুলেছিলাম তাই শেয়ার করলাম আর কি। এর ভিতর একটা ফটোতে দেখানো হয়েছে একটি ব্রিজের মত আসলে ওই জায়গায় লঞ্চ এসে দাঁড়ায় এবং যাত্রী পারাপারের জন্য ব্যবহার করা হয় জায়গাটি। আর একটা জায়গা হল গঙ্গার পাড়ে বসে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা যেখানে এসে লোক গঙ্গার ঠান্ডা হাওয়া খায় এবং গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নেয়।
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান: ব্যারাকপুর, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
এর ভিতর একটি শিব মন্দির এবং অন্যটি হলো শীতলা মন্দির। শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই মন্দির গুলো খোলা হয় বাকি সময়টাতে মন্দির বন্ধ থাকে। শত শত বছরের পুরনো এই মন্দির গুলো রয়েছে এক অসাধারণ ঐতিহ্য, যেগুলো ওখানকার মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে আছে।
ব্যারাকপুরের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। নীচে বর্ননা দেয়াতে আরো ভাল করে বোঝা গেল।কলকাতার নামকরা বিরিয়ানি এই ব্যারাকপুরেই পাওয়া যায়। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক মন্দির দেখা হলো,আর সে সম্পর্কে জানা হলো।শিব ও শীতলা মন্দির বিশেষ বিশেষ সময়ে খোলা হয়,নয়ত বন্ধই থাকে।সবকিছু তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর ভাবে।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনি আমার পোস্টগুলো পড়েন এবং পড়েই মন্তব্য করেন। যেটা আমাকে অনেকটাই অনুপ্রেরণিত করে ভালো পোস্ট লেখার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুব সুন্দর করে ব্যারাকপুর থেকে তোলা অনেক গুলো ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।এ ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে বেশ ভালো লাগে কারণ এসব জায়গা গুলো তো সরাসরি কখনো দেখার সুযোগ হবে না।তবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখেই মনকে সান্তনা দেওয়া।গঙ্গার জলের যে ঘাট তৈরি করেছেন গোসলের জন্য এবং গঙ্গার জল নেওয়ার জন্য বেশ চমৎকার লাগছে আমার কাছে।সফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর এবং তথ্য মূলক ছিল।
অবশ্য সুযোগ হবে। যদি কোন সুযোগ পান তাহলে কলকাতা ঘুরে যাবেন। আশা করছি খুব ভালো লাগবে।
ব্যারাকপুরের কিছু দর্শনীয় স্থানের ফটোগ্রাফি করেছেন সত্যি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে নদীর অপার সৌন্দর্যের দৃশ্যগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। নদীর তীরে খুব সুন্দর মন্দির গড়ে উঠেছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর করে গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য।