কিংকর্তব্যবিমূঢ় ।। আগস্ট -০৪/০৮/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
আমাদের মানব জীবন অনেকটাই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে, অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করে তারপর জীবন এ একটা জায়গায় পৌঁছানো যায়। তবে সে সফলতা অর্জন করতে অনেক মানুষের সারা জীবন লেগে যায়। কিছু কিছু মানুষ হয়তো অতি দ্রুত ভাগ্যের জোরে সফলতা পেয়ে গেলেও কিছু মানুষের পরিশ্রম করতে করতে শরীরের রক্ত একেবারে জল হয়ে যায়। যদিও আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি না। আমার মনে হয় পরিশ্রম না করলে সফলতা অর্জন করা কোন প্রকারই সম্ভব নয়। কেউ যদি বংশ সূত্রে আধিপত্য বা প্রচুর ধনসম্পত্তি পেয়ে যায়,তাহলেও সেটা রক্ষা করার জন্য তাকে যথেষ্ট পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়। আপনার অনেকেই ভাবতে পারেন যে এই কথাগুলো আমি কেন বললাম। আসলে এই কথাগুলোর পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আজকের প্রত্যেকটা কথাই আমার বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া। আমি প্রতিনিয়ত এমন এমন কিছু সমস্যার সম্মুখীন হই এবং সেগুলো থেকে বেরোনোর চেষ্টা করতে গিয়ে রীতিমতো আমাকে অনেক বেশি বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হয়। সেই ছোটবেলা থেকে একটা মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি যে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে তারপর একটা বড় চাকরি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সেই সময়টাতে হয়তো খুব বেশি বুঝতাম না। তবে দিন যত যাচ্ছে এই মানসিক চাপ কেন জানিনা গাঢ় অন্ধকার ছায়ার মত চারিদিক থেকে ঘিরে ধরছে আমায়। যেখানে এই বয়সে এসে আমার পরিবারের হাল ধরার কথা সেখানে আমি এখনো পর্যন্ত এমন কিছুই করতে পারলাম না যা দিয়ে আমার পরিবারের মানুষকে খুশি করা যায়। যদিও আমি যতটা সিরিয়াসলি কথাগুলো বলছি এতটা সিরিয়াসলি না বললেও হয়। কারণ যেহেতু এখনও আমি পড়াশোনার ভিতরে রয়েছি তাই অতটাও গুরুত্বপূর্ণ না ব্যাপারটা। তারপরও মাঝেমধ্যে পরিবারের মানুষের দিকে তাকালে মনে হয় যে তারা প্রত্যেকেই চায় আমি একটু নিজের পায়ে দাঁড়াই। মাঝখানে তো বাবা অনেকবার বলেছে। আসলে বাবার এই কথাগুলোর মানে আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পারি। আর সেই জন্যই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজেকে কিভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করা যায়। তবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যে অবস্থা তাতে চাকরি পাওয়া অনেকটাই আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত। ইউনিভার্সিটি লাইফের পড়াশোনা এখনো শেষ হয়নি। এখনো প্রায় এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে আমাকে মাস্টার্স ডিগ্রী কমপ্লিট করতে হবে।
মাঝেমধ্যে মাঝরাতেই হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায় টেনসনে। এমনিতেও কমিউনিটির এত কাজ, তারপর ইউনিভার্সিটি দৌড়াদৌড়ি, পরীক্ষা, আমি আসলে কি করব সেটাই বুঝতে পারছিনা। মাঝেমধ্যে তো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাই। নিজের পেছনে যে একটু ভালো করে সময় দেবো সেটাও আসলে পারি না। আমি যে লাস্ট কবে নিজের মুখের যত্ন নিয়েছিলাম সেটাই ভুলে গেছি। কলেজ লাইফে থাকা অবস্থায় প্রচুর সময় পেয়েছি বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা মারা এবং ঘুরাঘুরি করার জন্য। তবে এই সময় এসে দাঁড়িয়ে নিজের চাকরির পড়া, তারপর ইউনিভার্সিটি, তারপর আবার বাড়ির কাজ, তারপরে আবার কমিউনিটির কাজ, সব মিলিয়ে এমন একটা হ য ব র ল ব্যাপার হয়ে গেছে যে মাঝেমধ্যে নিজেকেই আয়নায় দেখে চিনতে পার না। হয়তো আমার বয়সী সমস্ত ছেলে মেয়েদের এই একই অবস্থা। নাকি আমি মানসিকভাবে একটু দুর্বল তাই আমার কাছে এরকম মনে হচ্ছে।
যাইহোক তারপরও প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নিজেকে শক্ত রাখার জন্য এবং মানসিকভাবে কিছুটা হলেও শান্তিতে থাকার জন্য। আমরা আসলে যতই বলি না কেন যে আমি খুব শান্তিতে আছি, কিন্তু ভেতর ভেতরে প্রত্যেকটা মানুষের ভিতরে বেশ ভালো রকমের চাপা কষ্ট কাজ করে। আমারতো দিনশেষে শুধু একটা কথাই মনে হয় যে আজকের সারাদিনে কি করলাম আমি। এত কিছু করার পরেও আসলে মনে হয় যে সারাদিন হয়তো নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তেমন কিছুই করতে পারলাম না। ইদানিং তো সকালের খাবার সেই দুপুরে খেতে হচ্ছে, আর যেদিন ইউনিভার্সিটি থাকে ওই দিন তো দুপুরের খাবার সেই রাতে এসে খেতে হয় বাড়িতে। তবে আশা করি আমার এই সমস্ত সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত হয়ে যাবে। সে অপেক্ষায় থাকলাম আর কি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং। |
---|
এই রকম সমস্যা আমাদের সবার জীবনে কম বেশি রয়েছে। তবে তোমার যেহেতু এখন ঘুরে দাড়ানোর সময় এবং পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় তাই হয়তো তোমার চিন্তা একটু বেশি। আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গ তে চাকরির কি অবস্থা সেটা তো আমরা সবাই জানি। যাইহোক আশাকরি তোমার এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
আমাদের পশ্চিমবঙ্গে চাকরির অবস্থা আসলেই খুব বেহাল। তারপরও চেষ্টা করতে হবে আর কি যতটা সম্ভব। পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব বেশী চাপের মধ্যে আছেন।কি করতে হবে , কি করতে হবে না তা বুঝতে পারছেন না।চাকরির পড়া,ইউনিভার্সিটি, কমিউনিটির কাজ,বাসার কাজ সবমিলিয়ে খুব চাপে আছেন বেশ বুঝতে পারছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই আপনি আপনার চাপ কমাতে পারবেন।নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে ভাইয়া।আত্মবিশ্বাসীরা কখনও কোনকিছুতে হার মানে না। আমি জানি আপনি পারবেন।অনেক ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ইদানিং তো চাপ আর টেনশন আরো অনেক বেশি বেড়ে গেছে আপু। তারপরও চেষ্টা করছি নিজেকে যতটা সামলানো যায় আর কি।
আপনাকে ধন্যবাদ এত গভীরভাবে মনের কথাগুলো গুছিয়ে পোষ্ট করার জন্য। আসলেই আমরা যতই বলি যে "ভালো আছি", তারপরেও প্রত্যেকটি মানুষই কোন না কোন বিষয় নিয়ে চিন্তায় বা কষ্টে থাকে। আর শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের যত্ন নিন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো...
আমরা আসলে নিজের কষ্টটাকে অন্যের সামনে প্রকাশ করতে চাইনা অনেক সময়। এজন্যই আর কি এরকম কথা বলি। তবে ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই কম বেশি দুঃখী। সেটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
আপনার মতো আমিও ভাগ্যে বিশ্বাসী না ভাই। পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা আসবে। যাইহোক আপনি এখন যে-ই দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, এই সমস্যার মধ্যে অনেকেই পড়ে। সন্তান যখন ইনকামের উপযুক্ত হয়,তখন প্রতিটি বাবা মা সন্তানের কাছে কিছু আশা করে। আপনাদের ওখানকার মতো আমাদের বাংলাদেশেও ভালো চাকরি সোনার হরিণ। তবে দুশ্চিন্তা না করে নিজের উপর ভরসা রাখুন। আর জিদ করুন যে জীবনে সফল হবোই। ভালো কিছু অর্জন করতে হলে অবশ্যই আত্নবিশ্বাসী হওয়া প্রয়োজন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি ভাই কখনোই ভাগ্যে বিশ্বাসী না। আমি মনে করি পরিশ্রম করলে তার একটা ফল অবশ্যই হবে। পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আনন্দ বিব্রত ও উপস্থিত হলে চলবে না। সব ঝামেলাকে কাটিয়ে উঠতে হবে আপনার। ভাইয়া আমাদেরও সাংসারিক কাজ, কেউ বা বাচ্চা পালা, আবার সংসারিক ঝামেলা নিয়েও এভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সবকিছুই পাশে রেখে মানসিক শক্তি নিয়ে কাজ করি। খারাপ বলেননি আপনি প্রত্যেকটা মানুষের ভিতরেই চাপা একটি মানসিক চাপ কাজ করে। যাই হোক আমাদের উচিত এগুলো কাটিয়ে ওঠা। আপনি নিজের পায়ে দাঁড়ান শুভকামনা রইল।
আমাদের আসলে সবারই কমবেশি মানসিক অশান্তি এবং অন্য ঝামেলা থাকে। তারপরও জীবনটা যতটা সম্ভব উপভোগ করা যায় আর কি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।