কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। তা প্রায় দুই মাস আগের কথা আমি গিয়েছিলাম ভোপালে, আমার একটা বন্ধুর সাথে। সে ওখানকার একটা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করার জন্য এডমিশন নিয়েছিল। যেহেতু ওর বাবা-মা কেউ সাথে থাকে না সুতরাং আমাকেই যেতে হয়েছিল তার সাথে দুই তিন দিনের জন্য। সেখানে গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করে দিয়ে তারপর আমি বাড়ি আসি। ভোপালে সামান্য কয়দিন বেড়াতে গিয়েও আমার বেশ কিছু মেমোরি এড হয়েছে। তবে সেগুলো আস্তে আস্তে শেয়ার করব। আজ ওখানকার একটা বিখ্যাত রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের ফটো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

ভোপালে গিয়েই আমরা সরাসরি ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে ওঠেনি বাইরের হোটেলে দুইদিন ছিলাম। কারণ হোস্টেলে থাকার জন্য প্রচুর কেনাকাটা এবং অনেক কিছু ম্যানেজ করার প্রয়োজন ছিল। যাই হোক আমাদের সবকিছু যখন সম্পন্ন হয়ে গেল কেনাকাটা এবং অন্যান্য কাজ তখন আমরা একটা ভালো সময় দেখে হোস্টেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে ইউনিভার্সিটিটা অনেকটা ভেতরের দিকে অর্থাৎ পাহাড়ি এলাকার ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করার জন্য আমাদের যেতে বেশ অনেকটা সময় লেগেছিল। তাছাড়া ইউনিভার্সিটি হোস্টেল থেকে ভোপাল এর বাজার বেশ খানিকটা দূরে। অটো করে আসতে মোটামুটি আধা ঘন্টা মত সময় লাগে।

হোস্টেলে পৌঁছে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে হালকা একটু ঘুম দিয়ে মোটামুটি উঠতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে যায়। যেহেতু এখানে আমরা নতুন ফলে এখানকার তো কিছুই চিনিনা। সুতরাং কোথায় বেরোবো এই সন্ধ্যার সময় এটা নিয়ে টুকটাক কথাবার্তা হচ্ছিল আমাদের ভিতরে। হঠাৎ করে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথেই খুব কাছ থেকে একটা মন্দিরের ঘন্টা বেজে উঠলো। অনেকটা স্বস্তি পেলাম, এত দূরে এসেও এত ফাঁকা জায়গায়, এত সুন্দর করে মন্দিরে ঘন্টা বাজছে। যাই হোক কোন কিছু না ভেবেই বেরিয়ে পড়লাম দুইজন মন্দিরের উদ্দেশ্যে।

ইউনিভার্সিটির মেইন গেটে এসে হলো আরেক ঝামেলা।এখানে নাকি সন্ধ্যার পরে বাইরে বেরোতে গেলে অনুমতির দরকার আছে সুতরাং অনুমতি নিয়ে তারপরে বাইরে বের হতে হবে। কি আর করা যাবে, আবার হোস্টেলে ফিরে অনুমতি নিয়ে তারপর ইউনিভার্সিটি বাইরে বের হলাম। ইউনিভার্সিটি থেকে দু মিনিট হেঁটে গেলেই এই মন্দির। যাই হোক এত দূরে এসে এত সুন্দর একটা রাধা কৃষ্ণ মন্দির, যেটা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম আমরা। আর সব থেকে বড় কথা হলো ঐদিন মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠান চলছিল এবং টুকটাক খাওয়া-দাওয়া এবং মন্দিরের ভিতরে অনেক সুন্দর আয়োজন ছিল ঐদিন।

তবে আমরা কেউ মন্দিরে ভেতরে ঢুকিনি বাইরে থেকে ফটো তুলে নিয়েই বাড়ি চলে এসেছিলাম। এর পেছনে দুটি কারণ ছিল এক হচ্ছে ওই দিন আমরা মাংস খেয়েছিলাম আর মাংস খেয়ে মন্দিরে ঢুকতে নিজেরই কেমন একটা লাগে। অন্যদিকে হাফপ্যান্ট পরে বাইরে বেরিয়েছিলাম। ওখানে যারা ছিল সবাই ফিটফাট এবং পরিপাটি, এজন্য আর মন্দিরে ঢোকার খুব বেশি একটা সাহস হয়নি তবে বাইরে দাঁড়িয়ে সামান্য কিছু ফটো সংগ্রহ করি ভিতরে গেলে হয়তো আরো সুন্দর করে মন্দিরের ভেতরটা দেখানো যেত আপনাদের। তারপর কিছু সময় দাঁড়িয়ে মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে হোস্টেলে ফিরে চলে আসি।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।