মানুষের মুখোশধারী জানোয়ার ( শুভ দত্ত)।। নভেম্বর-২৮/১১/২০২২।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
কাল রাতে হ্যাংআউট শেষ হওয়ার পর থেকেই মন মানসিকতা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে বলে বোঝানো যাবে না। গতকাল রাতে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা আমার কাছে সেই মুহূর্তের জন্য কাল্পনিক মনে হচ্ছিল। আমি তো বেশ কয়েকবার এটাও ভেবেছি যে, আমি স্বপ্ন দেখছিনাতো। আমার বাংলা ব্লগে আমি খুব বেশি দিন আসেনি, কিন্তু এই অল্প কয়দিনেও কিছু কিছু মানুষের সাথে আমার এত ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে যে তাদেরকে খুবই কাছের এবং আপনজন মনে হয়। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি কখনো এটা কল্পনাও করতে পারিনি যে, কালকের ওই ব্যাপারটা আমাকে কোনোদিনও ফেস করতে হবে।
আমাদের সকলের প্রিয়জন @rme দা বেশ কিছুদিন আগে অ্যানাউন্সমেন্টে শুভ দত্তের ব্যাপারটা নিয়ে সামান্য কিছু হিন্ডস দিয়েছিল। তবে আমি তখনও বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা আসলে কি। কালকের হ্যাংআউটের মধ্য দিয়ে আমার সেই কৌতূহল পুরোপুরি নিবারণ হয়েছে। কিন্তু আমার এখন মনে হচ্ছে এই কৌতুহলটা আসলে কৌতুহল হিসেবে থাকলেই মনে হয় ভালো হতো। একটা মানুষ এতটা খারাপ হয় কি করে এটাই আমি চিন্তা করে পারছি না। যে মানুষটা আমাদের জন্য সারাদিন কষ্ট করে। খাওয়া ঘুম বাদ দিয়ে আমাদের দিনের পর দিন সাপোর্ট দিয়ে যায়। এমনকি বাইরে ঘুরতে গেলেও আমাদের সবার কথা মাথায় থাকে তার। এতগুলো দিন আমাদের দাদা বাইরে ঘুরে আসলো, সেখানে গিয়েও তার কোনো রিলাক্স করার সময় নেই। রাত জেগে আমাদের ভোট দিয়েছে, যদি কখনো সময় না পেয়েছে তবে পরের দিন অবশ্যই সেই গ্যাপটা পূরণ করে দিয়েছে। আর সেরকম একজন সৎ মনের মানুষের সাথে এরকম ব্যবহার বা তাকে নিয়ে কটুক্তি করা এটা একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আমার তো মনে হয় জানোয়ারও এত খারাপ হতে পারে না। তাদেরও কিছু নীতি বা আদর্শ থাকে।
শুভ দত্তের লেখা গতকালের পোস্টটা সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই। আসলে একটা মানুষের ভিতরে কতটা নোংরা মানসিকতা থাকলে এই ধরনের ভাষা ইউজ করা যায় একটা পাবলিক প্ল্যাটফর্মে। যেখানে মেয়ে ছেলে নির্বিশেষে সমস্ত এডমিন মডারেটরদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আমি জীবনে আজ অব্দি এত নোংরা ভাষায় কখনো কাউকে গালিগালাজ করতে শুনিনি। আমরাও বন্ধু বা খুব কাছের মানুষের সাথে মাঝেমধ্যে দুই একটা গালি দিয়ে ফেলি,তবে সেটা আলাদা ব্যাপার। তবে একজন অচেনা মানুষকে এইভাবে গালি দেওয়া তাও আবার পুরো গ্রুপের সবাইকে ট্যাগ করে এটা কোন ধরনের মানসিকতা সেটাই আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
যত টা আমি বুঝতে পেরেছি সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে পাওয়ারডাউন দেওয়া নিয়ে। প্রত্যেক কমিউনিটির একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। আমরা তো চাইলেও সেই নিয়মের বাইরে কিছু করতে পারিনা। কিন্তু এডমিন মটরদারদের সাথে নম্রভাবে কথা না বলে প্রথম থেকেই তাদের সাথে উদ্ধত আচরণ শুরু করে দেয় সে। আমি অ্যানাউন্সমেন্টে শেয়ার করা প্রত্যেকটা মেসেজ খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি, সেখানে শুভ দত্তের প্রত্যেকটা মেসেজে যে জিনিসটা বুঝা গেছে সেটা হল, সে ইচ্ছে করেই কমিউনিটির ভিতর একটা ঝামেলা তৈরি করতে চেয়েছিল। তাছাড়াও ধর্মীয় কোলাহল সৃষ্টিরও আপ্রাণ চেষ্টা করেছে সে। আমি @blacks দা কে এর আগে কখনো এতটা রেগে যেতে দেখিনি। দাদা এতটাই নম্র এবং ভদ্র স্বভাবের মানুষ সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি তো রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছিলাম জীবনে প্রথমবার দাদাকে এতটা রাগতে দেখে।
এবার কথা হচ্ছে আমাকে বা আপনাকে যদি কোন কারনে কমিউনিটি থেকে সাপোর্ট না দেওয়া হয়, তাহলে আপনি বা আমি যা ইচ্ছা বলে যাব এখানে, এটা কি ভদ্রতা। ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশের প্রতি আমার একটা আলাদা টান কাজ করতো। কিন্তু কেন করতো সেটা আমি জানি না এবং এখানে আসার পর থেকে কিছু কিছু মানুষের ব্যবহার এত ভালো পেয়েছি যে তাদেরকে খুবই কাছের মনে হয়েছে। তবে এখন তো আমি ভয় পাচ্ছি আপনাদের ভেতর থেকে আরো দুই একজন শুভ দত্ত না বেরিয়ে যায়। যে মানুষগুলো আপনার, আমার সবার জন্য দিনরাত অপ্রাণ চেষ্টা করে কমিটির উন্নতি সাধন করে যাচ্ছে, আমাদের সবারই উচিত তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া।
আর কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে না। শুধু গতকালের ব্যাপারগুলো মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে। আমি তো গতকাল থেকে কমিউনিটিতে কোন প্রকার মেসেজ বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করিনি। ইনফ্যাক্ট কোন প্রকার কমেন্ট করারও মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি, আশা করছি আপনাদের মতামত আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।
আমি কালকে হ্যাংআউটে ছিলাম না ভাইয়া তাই আপনার মতো শুভ দত্ত কে নিয়ে আমারও অনেক কৌতুহল ছিল আগে থেকে,আমি সব বিষয় এখনও জানিনা।হ্যাংআউটে থাকলে হয়তো আমার ও কৌতুহল দূর হতো।কিন্তু সবার কথা যেটা শুনছি।পাওয়ার ডাউন নিয়ে উনি ঝামেলা সৃষ্টি করেছে প্রথমে তারপর এত কিছু ।সত্যি সবাই কেমন নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।কি আর বলবো,আমারও একই কথা আর যাতে এরকম কেউ না বেরিয়ে আসে আমাদের কমিউনিটিতে। ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গতকালের hangout এ থাকলে হয়তো আপনি পুরো ব্যাপারটা ক্লিয়ারলি বুঝতে পারতেন। তবে এই ব্যাপারটা যত না জানবেন ততই ভালো।
গতকালকের হ্যাংআউটে আমি জয়েন করতে পারিনি। এমন কি জানতাম না হ্যাংআউট হয়েছে। তাহলে হয়তো পুরো বিষয় আরো ভালোভাবে জানতে পারতাম। আসলে শুভ দত্তের বিষয়টি সত্যি খুবই ঘৃণিত। যারা আমাদেরকে এতটা সাপোর্ট দিচ্ছে তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা উনার একেবারেই উচিত হয়নি।
বিবেক বুদ্ধিহীন হলে যা হয় আর কি। যে থালে খাবার খায়, সেই থালই ফুটো করে।
দাদা ও বাংগালী নামের কলংক।আমার তো মনে হয় উনি নেশা করা শুরু করেছেন নেশার ঘোরে বিবেক বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে একজন মহৎ মানুষের নামে এমন কুৎসা রটাচ্ছে।উনার জন্য আমরা নিজেরাও লজ্জিত।আশা করি এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর ঘটবে না। তবে শুভ দত্তর উপর কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
নেশাখোর না হলে এরকম কথা কারোর মুখ দিয়ে বের হতে পারে বলে আমার মনে হয় না। এইবার কি হবে সেটা দাদারা সিদ্ধান্ত নেবে।
আসলে গত কালকের হ্যাংআউট পর থেকে কারোই মন ভালো ছিল না। আর শুভ দত্তের বিষয়টি সবার মনকে হতভম্ব করে ফেলেছে। সে যে কর্মকাণ্ড করেছে সেটি আসলে মহাপাপ। কারণ সে যেখানে খেয়েছে সেখানেই বেইমানি করেছে।
বিবেক এবং জ্ঞানশূন্য হলে যা হয় আর কি। এই মানুষগুলো সমাজের বোঝা।
সত্যিই ,দাদা বিষয়গুলি তো আমার কাছেও অধরা ছিল।গতকাল রাতে হঠাৎ হ্যাংআউট থেকেই প্রথম জানতে পারলাম বিষয়টি কি।এটা আসলেই মেনে নেওয়া যায় না।তাছাড়া ব্ল্যাক্স দাদাকেও প্রথম এত কঠিন হতে দেখলাম।উনার বাজে ভাষা ব্যবহার করাটা উচিত হয়নি।
মানুষের মানসিকতা যখন নিচু পর্যায় নেমে যায়, বিবেক শূন্য হয়ে পড়ে, তখন আসলে সে বুঝতে পারেনা কোথায় কি কথা বলতে হয়।
সত্যি বলতে এইরকম জানোয়ারের মতো মেসেজ করলে বা পোস্ট করলে যে কোন শান্ত মানুষ রাগ করতে বাধ্য।আরে আমরা তো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ। তাই অসুস্থ অ্যাক্টিভিটি দেখলে নিজেকে সামলে রাখা তো দায়। কালকে আমিও রীতিমতো ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।অত চিৎকার চেঁচামেচি শুনে। কারণ সবসময়ই দাদাদের দেখেছি কখনো জোড়ে কথা বলে না।সবসময়ই নিরীহভাবে কথা বলেন দুজনে। আর ব্ল্যাকস দা কে তো কখনো কথা বলতেই শুনিনি আমি সেইভাবে। সেখানে দাঁড়িয়ে কালকে এতটা রেগে গিয়েছিলেন। পরে যখন পোস্টটা পড়লাম,তখন বুঝতে পারলাম যে অনেক কমই রাগ দেখিয়েছেন। আমি হলে হয়তো কি করতাম নিজেও জানিনা।
আসলে ওর টেন্ডেন্সি ছিল এখানে ঝামেলা করার, তাই সবার সাথে খারাপ ভাবে কথা বলেছে। এটা তো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মেসেজগুলো পড়ে।
এমন সুন্দর একটি কমিউনিটি তে এমন জানোয়ার নামক মানুষ এতো দিন ছিল কিভাবে ৷ আজ একজনের জন্য সমস্ত মানুষ লজ্জিত ৷যদিও আমি গতকাল হ্যাংআউট শুনি নি ৷ তবে পরে জানতে পারলাম যে এমন একটি বাজে ঘটনা ঘটেছে ৷
যে দাদা অনেক সুন্দর মনের মানুষ যার জন্য আমরা এতো সুন্দর একটি পরিবার ব
পেয়েছি ৷
সত্যিই বলতে আমি নিজেই অনেক দুঃখিত এমন একটি ঘটনা ঘটে যাওয়া জন্য ৷
কিছু করার নেই, এই শ্রেণীর মানুষ সব জায়গাতেই থাকে। তাদেরকে এভোয়েড করে নিজের মত করে চলতে পারলে কোন সমস্যা হবে না।
ঠিক বলেছেন আপনি কালকে হ্যাংআউট শেষ হওয়ার পর থেকে আমাদেরও মনটা অনেকটা খারাপ হয়ে গেছিল। একজন মুখোশধারী জানোয়ারের জন্য কতজন মানুষ না অসুবিধায় পড়তে ছিল। কিন্তু আমাদের দাদা এত কিছু সহ্য করেও আমাদের পাশে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। এর থেকে পাওয়ার বিষয় আর কি হতে পারে। দিনরাত শুধু দাদা আমাদেরকে নিয়েই চিন্তা করতে থাকে। আর একজন খারাপ মানুষ দাদাকে কতটাই না পচালো। এর থেকে বেশি খারাপ আমাদের আর কি লাগতে পারে। দাদাকে এত খারাপ ভাবে বলা আসলেই জানোয়ার টা ঠিক হয়নি।
মানুষ যখন বিবেক শূন্য হয়ে পড়ে, তখন সে বুঝতে পারে না কি বলছে বা কি করছে। যে মানুষটা আমাদের জন্য নিজের ঘুম পর্যন্ত বিসর্জন দেয় তাকে অন্তত এই কথা গুলো বলা চলে না
কি আর বলবো ভাইয়া কেন জানি আর ভালো লাগছে না এ বিষয়গুলো। কি থেকে যে কি হয়ে গেল তা আসলে বুঝতেই পারছি না। নিজেকে এখনো বিশ্বাস করাতে পারছি না। মনে হচ্ছে এক রাজাকার শুভ দত্ত। এটাই দোয়া করি যেন আর কোন শুভ দত্ত এখান থেকে বের না হয়। তাহলে আর রক্ষে নেই, দু একটা মানুষের জন্য সব বাঙালি আমরা এখন দাদার কাছে খারাপ 😑। আমরা লজ্জিত।
আমরা কেউই দাদার কাছে খারাপ না। দাদা জানে সবাই সমান হয় না। তবে দাদার মন ভেঙে গেছে, এটা চিন্তা করলেই খারাপ লাগছে।
যত এডমিন মডারেটররা রয়েছি, আমরা সবাই সবার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করি এবং তাদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করি তারা কেন একটিভ নন, তাদের কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা কিন্তু এতকিছুর পরও যদি প্রতিদানে এরকম কিছু পেতে হয় তাহলে সেই বিষয় থেকে বেরিয়ে আসাই উত্তম বলে মনে করি। আমি সব সময় একটি পরিবার ভেবেই কাজ করি। শুভদত্তর বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই, তবে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি।
এটা আমাদের পরিবারই সিয়াম ভাই। কে কি বলে গেলো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের নিজেদের জায়গা ঠিক থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না। আর আমি জানি আপনারা কত কষ্ট করেন। এটা যারা না বোঝে, আমি তাদের বোকা ছাড়া আর কিছু বলবো না।