সকালের নাস্তায় মজাদার ডিম-টোস্ট রেসিপি।। ফেব্রুয়ারি ২৬/০২/২০২৩।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

InShot_20230226_121153278.jpg

একটা রেসিপি পোস্ট করতে গেলে আসলে অনেক কিছু মেন্টেন করতে হয়। তাছাড়াও এটা বেশ সময় সাপেক্ষ বটে। এজন্য আমি রেসিপি পোস্টগুলো সবসময়ই এভয়েড করার চেষ্টা করেছি। তার বদলে অন্যান্য যে পোস্টগুলো সেগুলো বেশি করে দিতাম। তবে তার থেকেও একটা বড় বিষয় হল যে আমি রান্না ঘরে খুব বেশি একটা যাই না। যেহেতু যাবতীয় কাজ মা করে তাই রান্নাঘরে গিয়ে ফটো তোলা এবং মাকে রান্না করতে ডিস্টার্ব করা আমার মোটেই পছন্দ ছিল না। তবে ইদানিং আমাকেই যাবতীয় রান্না করতে হচ্ছে। যেহেতু মা বাড়িতে নেই সুতরাং মাস খানেক আমাকেই রান্না করতে হবে। আমার একটা সমস্যা হলো আমি কাজের লোকের রান্না খেতে পারি না, তাই যত কষ্টই হোক না কেন সব রান্না আমি নিজেই করছি। এজন্যই আসলে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে সমস্যা হচ্ছে না এখন। এখন থেকে মাঝেমধ্যেই টুকটাক রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করব আপনাদের সাথে।

এবার আসি আজকের টপিক্সে। আজ আপনাদের সামনে যে রেসিপিটা শেয়ার করব সেটা খুবই সহজ উপায়ে তৈরি করা যায় এবং আমার হোস্টেল লাইফে এটাই ছিল আমার সবথেকে পছন্দের এবং সহজ উপায় তৈরি করা যায় এমন খাবার। মাঝেমধ্যে হোস্টেলের খাবার এমন দিত মনে হতো ছাদের থেকে লাফ দিয়ে সুইসাইড করি। তাই নিজের রুমের ভিতর হালকা পাতলা এগুলো বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করতাম। আজ সকালে হঠাৎ করেই এই রেসিপিটা খেতে ইচ্ছা করছিল। তাই ঝটপট বানিয়ে ফেললাম। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বলে আজকের রেসিপির দিকে মনোনিবেশ করা যাক।

🥗প্রয়োজনীয় উপকরণ🥗



১. পাউরুটি।
২. ডিম।
৩. পেঁয়াজ।
৪. ধনেপাতা।
৫. টমেটো।
৬. তেল।
৭. নুন।
৮. গোলমরিচের গুঁড়।
৯. লংকা।
১০. টমেটো সস।
১১. সামান্য পরিমাণ চিনি।

InShot_20230226_121841332.jpg

🍅প্রথম ধাপ🍅

InShot_20230226_121633145.jpg

প্রথম ধাপে আমরা পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচালঙ্কা এবং ধনেপাতা কুচি কুচি করে কেটে নেব। তারপর দুটো কিংবা তিনটের ডিম একটা গামলার ভেতর ভেঙে রেখে দেব।

🍓দ্বিতীয় ধাপ🍓

InShot_20230226_121951694.jpg

এই ধাপে কেটে রাখা টমেটো পেঁয়াজ ধনেপাতা এবং লঙ্কাগুলো ডিমের ভিতর দিয়ে দেব। সাথে দেব একটু নুন এবং সামান্য চিনি আর একটুখানি গোলমরিচের গুঁড়ো এবং তারপর সেটা ভালো করে ফেটে নেব। তারপর পাউরুটি গুলোকে মাঝখান থেকে চারকোনা করে কেটে আলাদা করে নেব। যাতে করে পাউরুটির ভিতর ডিম রাখার জায়গা তৈরি হয়।

🍈তৃতীয় ধাপ🍈

InShot_20230226_122039137.jpg

এই ধাপে প্রথমে কড়াইতে সামান্য পরিমাণে তেল দেব এবং তার উপর কেটে রাখা পাউরুটি দিয়ে দেব। কিছু সময় পর সেই পাউরুটির ভেতরকার ফাঁকা জায়গায় ডিম দিয়ে দেব এবং ৩০ সেকেন্ডের মত সেভাবে দেখে তার ওপর বাকি যে পাউরুটি ছিল সেটা দিয়ে দেবো। ৩০ সেকেন্ড এভাবে থাকার পর পাউরুটি উল্টে পাল্টে ছেঁকে নেব।

🍇চতুর্থ ধাপ🍇

InShot_20230226_122250840.jpg

পাউরুটি ভালো করে ছেকা হয়ে গেলে তারপর সেটা থালায় করে নামিয়ে নেব এবং তারপর সামান্য টমেটো সস শসা এবং স্লাইস করে কেটে রাখা টমেটো দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নেব। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল ঝটপট সকালের নাস্তার ডিম টোস্ট রেসিপি।

পোস্ট বিবরণ


শ্রেণীরেসিপি পোস্ট
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@rupaie22
লোকেশনকলকাতা।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🎯ধন্যবাদ সবাইকে🎯

Sort:  
 last year 

একদম ঠিক বলেছেন দাদা রেসিপি পোস্ট করা সত্যিই অনেক ঝামেলার তার চেয়ে জেনারেল পোস্ট করাই অনেক সহজ।কিন্তু কি আর করা আমরা গৃহিণী মানুষ তাই যদি রেসিপি পোস্ট না করি তাহলে তো আর গৃহিণীর ঐতিহ্যের কোনো কিছু থাকবে না। 😁😁😁😁তাই কষ্ট হলেও রেসিপি শেয়ার করি। হি,হি,হি।মাসিমা না থাকায় তাহলে আপনার বেশ ঝামেলায় হয় গেছে একা,একা রান্না করে খেতে হচ্ছে।মেসের খাবারের কথা নাই বা বলি কারন এগুলো বলা মানেই ছাত্রদের মনে কষ্ট দেওয়া।ডিম পাউরুটির টোস্ট রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে দেখতে,খেতেও টেস্টি হবে তা বোঝা যাচ্ছে। অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন এবং গুছিয়ে পোস্ট টি শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।

আমি যেহেতু প্রথম প্রথম রেসিপি পোস্ট করছি এজন্য হয়তো আমার কাছে অনেক বেশি ঝামেলার মনে হচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে হয়তো ব্যাপার ঠিক হয়ে যাবে। তবে এটা সত্যি কথা, অন্য পোস্টগুলো তুলনায় রেসিপি পোস্ট যথেষ্ট কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ।

 last year 

হ্যা রেসিপি পোষ্ট করা একটু ঝামেলা বটে। তবুও আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে।
মেস আর হোস্টেলের খাবার সত্যিই ভীষণ অখাদ্য, তবুও জীবন বাঁচাতে খেতে হয় আরকি।
তবে আপনার ডিম-টোস্ট রেসিপি কিন্তু দারুন হয়েছে 👌 আর খেতে এটা বেশ স্বাদের হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার গোছানো পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

প্রথমদিকে রেসিপি পোষ্ট আমার কাছে বেশ কষ্টসাধ্য মনে হতো তবে ইদানিং বেশ কয়েকটা রেসিপি পোস্ট তৈরি করে রেখেছি। এখন বেশ ইজি এবং ভালো লাগছে।

 last year 

সকালের নাস্তায় ডিম-টোস্ট রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে দারুণভাবে শেয়ার করেছেন। কিন্তু আপনার সকালের নাস্তা দেখে আমার একটি কথা মনে পড়ে গেল আজকে সকালে আমাদের মেসে খালা আসেনি তাই খাওয়া হয়নি আপনার খাবার গুলো পেলে খুব মজা করে খেতাম ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে যদি খাওয়াতে পারতাম তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক ভালো হতো। তবে সেই সুযোগ তো নেই। তবে যদি কোনদিন সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই খাওয়াবো।🌝

 last year 

ভাইয়া আপনি তাহলে এক মাস ধরে রান্না করতে হবে আপনার মা যেহেতু বাড়িতে নেই। তবে বুঝা যাচ্ছে আপনি রান্না বান্না বেশ পারদর্শী। নইলে এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করতে পারতেন না। আসলেই সকালের নাস্তায় এত চমৎকার একটি রেসিপি হলে আর কি লাগে। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে।

আমি অনেক আগে থেকেই রান্না করতে পারি। কারণ এক সময় নিজে নিজে রান্না করে খেতে হতো। তবে বেশ কয়েক বছর হল সেই সুযোগ আর হয় না। এজন্য ভুলে গেছিলাম, তবে এখন আস্তে আস্তে আবার শুরু করব ভাবছি।

 last year 

ভাইয়া আমার সকালের নাস্তার মধ্যে ফেবারিট একটি নাস্তা হলো ডিম টোস্ট। সকাল বেলা খেতে অনেক ভাল লাগে। আমি প্রায় সময় এই রেসিপিটা খেয়ে থাকি। আপনার কাটিংটা অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

সকালবেলা এই খাবারটা খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে এবং অনেক সময় ধরে পেটে থাকে। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে খুব সহজে এই রেসিপি তৈরি করা সম্ভব।

 last year 

ডিম টোস্ট আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি। খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। রেসিপিটি অল্প সময়ে তৈরি করা যায়। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে।

এই রেসিপিটি আসলেই অল্প সময়ে তৈরি করা সম্ভব। তবে খেতে কিন্তু দুর্দান্ত টেস্ট হয়। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া একজন রান্না করলে তখন তাকে ডিস্টার্ব করতে ভালো লাগেনা। তাই নিজে রান্না করে ছবি উঠালে তখন আর সমস্যা হয় না। কিন্তু আমার আম্মু বিরক্ত হয় না আম্মু বলে দেখতে দেখতে শেখা হয়। আপনি খুব সুন্দর করে পাউরুটি দিয়ে ডিম টোস্ট করেছেন। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। এই রেসিপিটা আমি বেশির ভাগ বিকেলে নাস্তা হিসেবে তৈরি করে থাকি।

এত বড় হয়ে গিয়েছি এখনো যদি রান্না করে গিয়ে মাকে ডিস্টার্ব করি, তাহলে খুন্তি নিয়ে তাড়া করে। হা হা হা... এইজন্য ভয়ে আর ওমুখো হয়না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

একটা বিষয়ে আপনার সাথে আমি একমত ভাই। রেসিপি পোস্টগুলো করতে অনেক সময় লাগে কারণ একটা রান্না প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত না হওয়া পর্যন্ত সেখানে সময় দিতেই হবে। তবে আপনি সকালে নাস্তায় মজাদার ডিম টোস্ট রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। রেসিপিটি তৈরি অনেক লোভনীয় ছিল। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে আপনি শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।

রেসিপি পোস্টগুলো করতে আসলেই অনেক সময় লাগে রে ভাই। তবে রেসিপি পোস্ট করতে মজাও লাগে অনেক।

 last year 

এই একই কারনে আমিও রেসিপি পোস্ট করতে পারি না। মা সেই বকা দেয় রান্না ঘরে ঘুরঘুর করলে।এটা আমারো সেই প্রিয় একটি খাবার। তবে আমি আরো সিম্পল করে নিয়েছি।ডিম ফেটিয়ে নিয়ে,ডিমের মাঝে পাউরুটি চুবিয়ে ভেজে নিই।একটু গোলমরিচ আর নুন দেই অবশ্য। ধন্যবাদ প্রিয় খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপনি যেভাবে করেন ওই ভাবেই আমি বেশিরভাগ সময় করি। এটা তো জাস্ট শেয়ার করব তার জন্য একটু ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 65345.02
ETH 2944.90
USDT 1.00
SBD 3.76